সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হজরত মোহাম্মাদ (সা.) -১১

সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হজরত মোহাম্মাদ (সা.) -১১

সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হজরত মোহাম্মাদ (সা.) -১১

Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, hussain, mohammad, imam mahdi ,সূরা মরিয়ম, হজরত মরিয়ম, হজরত ঈসা, সূরা মারিয়াম, কুরআন, সূরা, মক্কা, হযরত যাকারিয়া, হযরত মারিয়াম, হযরত ইসা, হযরত ইয়াহিয়া, হযরত ইব্রাহিম, হযরত ইসমায়িল, ইদ্রিস, মারিয়াম, এশা, রিযিক, আধ্যাতিকতা, ইমাম মাহদী, চোখের জ্যোতি, মুমিন, ইমাম সাদিক, ইমাম আলী, খোদা, তেলাওয়াত, আল্লাহ, নবী, রাসূল, হযরত মুসা, মুজিযা, রিসালাত, মু’মিন, কিয়ামত, মানুষ, জাহান্নাম, গোনাহ, গোনাহগার, আয়াত, নবুওয়াত, নামাজ, ইবাদত, ওহী, মাদায়েন, মিশর, হিজরত, সূরা ত্বোয়াহা, সূরা আম্বিয়া, আম্বিয়া, সূরা, ফেরেশতা, হযরত লুত, নূহ, হযরত দাউদ, সোলায়মান, ইয়াহইয়া, হযরত ইউনুস, যাকারিয়া, নবী, রাসূল, নেয়ামত, আল্লাহ, ফাতিহা, মক্কা, সূরা আল ফাতিহা,
বিশ্বনবী (সা.)'র আরো কিছু অমূল্য বাণী ও সংক্ষিপ্ত উপদেশ :
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন : (মানুষের) সৌন্দর্য হলো জিহ্বায়।
তিনি বলেছেন : জ্ঞানকে জনগণের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া যায় না, কিন্তু যতক্ষণ অবধি জ্ঞানীরা থাকে ততক্ষণ জ্ঞানীদের অপহরণ করা হয় ফলে আর কোন জ্ঞানী অবশিষ্ট থাকে না, আর তখন জনগণ মূর্খদেরকেই নেতা হিসাবে গ্রহণ করে। ফতোয়া চাওয়া হয় আর তারা না জেনে ফতোয়া প্রদান করে। ফলে নিজেরাও পথভ্রষ্ট থাকে, আর অন্যদেরকেও পথভ্রষ্ট করে।
তিনি বলেন : আমার উম্মতের সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ হলো ফারাজ তথা মুক্তির অপেক্ষা করা (তথা ইমাম মাহদি –আ.’র বিশ্ব-বিপ্লবের সদস্য হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখা)।
আমরা (আমিসহ আমার আহলে বাইতের) আহলে বাইতের পৌরুষত্ব হলো যে আমাদের ওপর অত্যাচার করে তাকে ক্ষমা করা আর যে আমাদের প্রতি কৃপণতা করে তাকে দান করা।
তিনি আরো বলেন : আমার উম্মতের মধ্যে থেকে আমার সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বন্ধুরা হলো যে ব্যক্তির বোঝা হালকা, নামাজি, নির্জনে নিজ প্রতিপালকের উত্তম ইবাদত করে, জনগণের মধ্যে থাকে অজ্ঞাত, তার রুজি হয় দিনাতিপাত করার পরিমাণে এবং তার ওপরেই ধৈর্যধারণ করে থাকে। আর যখন মৃত্যুবরণ করে তখন তার উত্তরাধিকারের সম্পদ থাকে স্বল্প আর তার ওপর ক্রন্দনকারীর সংখ্যা হয় কম।
বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন : মুমিনকে কোনো কাঠিন্য, অসুস্থতা ও দুঃখ স্পর্শ করলে তাতে যদি তার সামান্য কষ্টও হয় আল্লাহ সেটির বিনিময়ে তার পাপগুলো মোচন করেন।
তিনি বলেন : যে ব্যক্তি ইচ্ছামত খায়, ইচ্ছামত পরিধান করে আর ইচ্ছামত বাহনে আরোহণ করে, আল্লাহ্ তার ওপর অনুগ্রহের দৃষ্টি ফেলেন না যতক্ষণ না সে তা হারায় কিংবা বর্জন করে (এবং তওবা করে)।
মহানবী বলেন : মুমিন হলো একটি গমের শীষের মতো যা কখনো মাটিতে নুয়ে পড়ে আবার কখনো নিজ পায়ে দাঁড়ায়। আর কাফের হলো শক্ত গাছের মতো যা সব সময় দাঁড়িয়ে থাকে এবং কোনো সংবেদনের অধিকারী নয় (যে ন্যায়ের কাছে মাথা নত করবে।)
তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, মানুষের মধ্যে কোন্ ব্যক্তি কঠিনতর পরীক্ষার সম্মুখীন? উত্তরে রাসূল (সা.) বললেন : নবীগণ, অতঃপর সত্য পথে তাদের অনুরূপ ও সদৃশতমগণ। আর মুমিনের ঈমানের মাত্রা ও সৎকর্মের পরিমাণ অনুযায়ী তাকে পরীক্ষা করা হয়। যখন তার ঈমান সঠিক এবং কর্ম সৎ হবে তখন তার পরীক্ষাও কঠিনতর হবে। আর যার ঈমান নিকৃষ্ট আর কর্ম দুর্বল হবে তার পরীক্ষাও কম হবে।
মহানবী (সা.) আরো বলেন : যদি আল্লাহর কাছে দুনিয়া(র মূল্য) একটি মশার ডানার সমানও হতো তা হলে কাফের ও মুনাফিকদেরকে কিছুই দিতেন না। দুনিয়া পরিবর্তনশীল (এক হাত থেকে আরেক হাতে আবর্তনশীল)। যা কিছু তোমার প্রাপ্য সেটা তোমার শত অক্ষমতা সত্ত্বেও অর্জিত হয়। আর (দুনিয়ার) যা কিছু তোমার জন্য অনিষ্টকর সেটা তুমি তোমার শক্তি দিয়ে প্রতিহত করতে পারবে না। যে ব্যক্তি তার হারানো জিনিস ফিরে পাওয়ার আশা ত্যাগ করে তার শরীর আরামে থাকে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তার জন্য যা কিছু বরাদ্দ করেছে তাতে সন্তুষ্ট থাকে তার চোখ উজ্জ্বল হয়।
হুজুর (সা.) বলেন : সত্যি কথা বলতে কি, খোদার কসম! এমন কোনো কাজই নেই যা তোমাদেরকে জাহান্নামের কাছে নেয় আর আমি তোমাদেরকে সে ব্যাপারে অবগত করিনি কিংবা তোমাদেরকে তা থেকে বারণ করিনি। অন্যদিকে এমন কোনো কাজই নেই যা তোমাদেরকে বেহেশতের কাছে নেয় আর আমি তোমাদেরকে সে ব্যাপারে অবগত করিনি কিংবা তার আদেশ করি নি। কারণ, রুহুল আমিন (জিবরাইল) আমার হৃদয়ে এ কথা প্রক্ষিপ্ত করেন যে, কখনোই কোনো প্রাণী মৃত্যুবরণ করে না, যতক্ষণ না নিজের নির্ধারিত রুজি লাভ করে থাকে। রুজির কামনায় মধ্যপন্থা অবলম্বন কর (ও বাড়াবাড়ি কর না)। বিলম্বে রুজি পৌঁছানো যেন তোমাদেরকে ঐ পথে ঠেলে না দেয় যে, আল্লাহর কাছে যা কিছু তোমাদের জন্য রয়েছে সেগুলোকে অবাধ্যতার পথ দিয়ে অন্বেষণ করো (হারামভাবে অর্জন করো) কারণ, যা কিছু আল্লাহর কাছে রয়েছে তা শুধু তাঁর আনুগত্যের মাধ্যম ছাড়া অন্য কোনোভাবে লাভ করা যায় না।
বিশ্বনবী (সা.) আরো বলেছেন : আল্লাহ্ দু’টি স্বরকে ঘৃণা করেন : বিপদের সময় চিৎকার করে কান্নাকাটি করা আর নেয়ামত লাভ ও খুশীর সময় বাঁশি বাজানো (গান-বাজনা করা)।
তিনি বলেন : সৃষ্টির প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষণ হলো তাদের (দ্রব্যগুলোর) মূল্য সস্তা হওয়া এবং তাদের শাসকের ন্যায়বিচারক হওয়া। আর সৃষ্টির প্রতি আল্লাহর ক্রোধের লক্ষণ হলো তাদের শাসকদের অবিচারক হওয়া এবং তাদের (পণ্য-দ্রব্যগুলোর) মূল্য চড়া হওয়া।
তিনি আরো বলেন, চারটি জিনিস যার মধ্যে থাকে সে আল্লাহর মহিমাময় জ্যোতি-সমৃদ্ধ হয় : যার সব কাজের আশ্রয়স্থল হয় আল্লাহর একত্ববাদ এবং আমি তাঁর প্রেরিত হওয়ার সাক্ষ্য প্রদান, তার ওপর বিপদ আপতিত হলে বলে ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ অর্থাত বলে, ‘নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি আবার আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব’।’আর ভালো কিছু লাভ করলে তখন বলে ‘আল হামদুলিল্লাহ্।’আর অপরাধ করলে বলে ‘আসতাগফিরুল্লাহ্ ওয়া আতুবু ইলাইহি। অর্থাত আমি আল্লাহর ক্ষমা চাচ্ছি ও আল্লাহর কাছেই ফিরছি।’
মহান আল্লাহর সর্বশেষ রাসূল (সা.) বলেন, যাকে চারটি জিনিস দেয়া হয় তাকে আর চারটি জিনিস দেয়া থেকে কুণ্ঠা করা হয় না : যাকে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ দেয়া হয় তাকে মার্জনা থেকে বঞ্চিত করা হয় না, আর যাকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে দেয়া হয়, তাকে বেশি অনুগ্রহ লাভ থেকে বঞ্চিত করা হয় না, আর যাকে তওবা করার (অনুতপ্ত হয়ে ফিরে আসার) তৌফিক দেয়া হয় তাকে তওবা গৃহীত হওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয় না। আর যাকে প্রার্থনার অনুমতি দেয়া হয় তাকে তা মঞ্জুর হওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয় না।
মহানবী (সা.) বলেন : জ্ঞান হলো গুপ্ত ভাণ্ডার তুল্য। আর তার চাবি হলো প্রশ্ন। অতএব, প্রশ্ন করো, আল্লাহ্ তোমাদের অনুগ্রহ করবেন। কারণ, চার ব্যক্তির জন্য পুরস্কার ও পারিশ্রমিক রয়েছে : প্রশ্নকারী, বক্তা, শ্রোতা আর তাদের ভক্তিকারী।
তিনি আরো বলেন : জ্ঞানীদের কাছে প্রশ্ন করো আর হাকিম ( বা প্রজ্ঞাবান)দের সাথে সংলাপ করো, আর দরিদ্রদের সাথে ওঠা-বসা করো।
মহানবী (সা.) বলেন : আমার কাছে জ্ঞানের মর্যাদা ইবাদতের মর্যাদার চেয়ে বেশি প্রিয়। তোমাদের সবচেয়ে বড় ধর্ম হল পরহিজগারিতা (আত্মসংযম)।
তিনি আরো বলেন : যে ব্যক্তি না জেনে জনগণের মধ্যে ফতোয়া প্রদান করে তার ওপরে আসমান ও জমিনের ফেরেশতারা অভিশাপ দেয়।
সূত্রঃ তেহরান রেডিও

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন