ব্রিটিশ নৌবাহিনী রুশ সাবমেরিনের ওপর নজরদারি চালাতে ব্যর্থ
ব্রিটিশ নৌবাহিনী রুশ সাবমেরিনের ওপর নজরদারি চালাতে ব্যর্থ
ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ার এইচএমএস ডন্টলেস, ইনসেটে-অ্যাডমিরাল সাইমন লিস্টার,
ব্রিটিশ ভাইস অ্যাডমিরাল সাইমন লিস্টার স্বীকার করেছেন, পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে সম্প্রতি রাশিয়ার পরমাণুচালিত সাবমেরিনের ওপর নজরদারি চালাতে ব্যর্থ হয়েছে ব্রিটেনের রাজকীয় নৌবাহিনী।
তিনি আরো বলেন, ব্রিটিশ সরকারের ব্যয় হ্রাস পরিকল্পনার ফলে রাজকীয় নৌবাহিনী কয়েকটি লক্কড়-ঝক্কড় রণতরী, মান্ধাতার আমলের ডুবোজাহাজ এবং মনোবলহীন নাবিকের সমাহারে পরিণত হয়েছে।
ব্রিটেনের একটি সামরিক জার্নালে লেখা প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন এসব সমালোচনা করেছেন দেশটির দায়িত্ব পালনরত ভাইস অ্যাডমিরাল সাইমন লিস্টার। ১৯৭৮ সালে পরমাণু এবং প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ হিসেবে ব্রিটিশ নৌবাহিনীতে যোগ দেন তিনি।
তিনি আরো বলেছেন, অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনী। যাত্রার আগে পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ না করায় সাগরের মাঝে ব্রিটিশ রণতরীগুলো অচল হয়ে পড়ার ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। সমস্যা নির্ণয় বা নিরসন করতে না পারায় নাবিকদের অসহায় অবস্থায় পড়তে হয়। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না দেয়ায় কারিগরি সংকট নিরসনে রাজকীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্ভর করতে হয় বেসামরিক জনশক্তির ওপর।
বিদ্যুৎ-সরবরাহ ব্যবস্থায় গোলযোগ দেখা দেয়ায় ফেব্রুয়ারি মাসে চলমান মহড়া থেকে সরে পড়তে বাধ্য হয় ডেস্ট্রয়ার এইচএমএস ডনলেস। এ যুদ্ধজাহাজকে পরে জরুরি মেরামত করতে হয়। একশ’ কোটি পাউন্ড স্টার্লিং ব্যয়ে নির্মিত এ জাহাজ ২০১২ সালে সেনেগালের উপকুলে একই সমস্যায় পড়েছে। এ ছাড়া, একই শ্রেণীর অপর যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস ডেয়ারিং ২০০৯ এবং ২০১২ সালে একই ধরণের সমস্যায় পড়েছে। নৌবাহিনীর প্রকৌশলীরা সাগরে এ সব জাহাজ মেরামত করতে পারেনি এবং পরে এগুলোকে নিকটতম বন্দরে আশ্রয় নিতে হয়।
এ ছাড়া বাজেট সংকটে কারণে ব্রিটিশ নৌবাহিনীকে দ্বিতীয় শ্রেণীর যন্ত্রপাতির ওপর নির্ভর করছে বলে অভিযোগ করেন ভাইস অ্যাডমিরাল লিস্টার।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন