ইমাম কাযিম (আ.) এবং বেসরে হাফি
ইমাম কাযিম (আ.) এবং বেসরে হাফি
একদা ইমাম কাযিম (আ.) এক গলি দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি এক বাড়িতে গান, বাজনা এবং নাচের শব্দ শুনতে পান। হঠাৎ দেখেন যে, সে বাড়ি থেকে এক খাদেম বাইরে ময়লা অবর্জনা ফেলতে আসে। ইমাম (আ.) তাকে জিজ্ঞাসা করেন উক্ত ঘরের মালিক কি দাশ না স্বাধিন? সে উক্ত প্রশ্নটি শুনে বলেঃ উক্ত ঘরের অবস্থা দেখে আপনি বুঝতে পারছেন না যে সে দাশ না মুক্ত? এটা হলো বেশর নামক ব্যাক্তির বাড়ি এবং তার এ অবস্থা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে সে হচ্ছে মুক্ত। তখন ইমাম (আ.) বলেনঃ তুমি ঠিক বলেছ যদি সে দাশ হতো তাহলে সে এমনটি করতো না এবং এধরণের শব্দও তার ঘর থেকে ভেসে আসতো না। তারপরে ইমামের সাথে তার আরো কি কথা হয় তা আর ইতিহাসে উল্লেখ করা হয়নি। শুধুমাত্র বলা হয়েছে যে ইমামের সাথে তার কথপকথোনে একটু দেরী হয়ে যায়। তারপরে ইমাম (আ.) সেখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে যান। যখন সে দাসীটি ঘরে ফিরে যায় তখন বেশর তাকে জিজ্ঞঅসা করে কেন এত দেরী হল? তখন সে বলে একজন আমাকে প্রশ্ন করে যে আপনি মুক্ত না দাশ। তখন তিনি বলেনঃ তুমি ঠিক বলেছ যদি সে দাশ হতো তাহলে সে এমন কাজগুলো করতে পারতো না।
তখন বেশর তাকে জিজ্ঞাসা করে তিনি দেখতে কেমন ছিলেন? যখন দাশীটি তার চিহ্নাবলি বলে তখন সে বুঝতে পারে যে, তিনি ইমাম মূসা কাযিম (আ.) ছাড়া আর কেউ না। সে দাসীকে জিজ্ঞাসা করে তিনি কোনদিকে গেছেন? দাসীটি বলেঃ এ পথ দিয়ে গেছেন। তখন সে খালি পায়ে ইমাম (আ.) এর খোজে ছুটে যায় এবং জুতাও পরে না ভয় করে যে যদি সে জুতা পরতে যায় তাহলে হয়তো সে ইমাম (আ.) কে আর খূঁজে পাবে না। যখন সে ইমাম (আ.) কে দেখতে পায় তখন সে নিজেকে ইমাম (আ.) এর পায়ে নিজেকে লুটিয়ে দেয় এবং বলেঃ হে ইমাম (আ.) আমি এখন থেকেই খোদার প্রকৃত বান্দা হতে চাই। এবং সে তখন থেকে খোদার প্রকৃত বান্দা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলে এবং কালের আবর্তনে সে আধ্যাত্মিকতার চরম উৎকর্ষে পৌছায় এবং ইতিহাসে একজন আদ্যাত্মিক ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিতি অর্জন করে।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন