লিবিয়ায় হামলার কারণে সৌদি দূতাবাস ও কুটনীতিক প্রত্যাহার
লিবিয়ায় হামলার কারণে সৌদি দূতাবাস ও কুটনীতিক প্রত্যাহার
ত্রিপোলিতে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ মাহমুদ আল আলী
লিবিয়ায় কয়েক দফা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে রাজধানী ত্রিপোলিতে সৌদি দূতাবাস ও কনস্যুলেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ত্রিপোলিতে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ মাহমুদ আল আলী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে সব কূটনীতিক স্টাফকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে লিবিয়া সরকার জোর দিয়ে বলছে, ত্রিপোলির সংসদ ভবনে সাম্প্রতিক হামলা ও বেনগাজিতে মারাত্মক সংঘর্ষ সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
রোববার পার্লামেন্টের অধিবেশন বন্ধের কয়েক ঘণ্টা আগে লিবিয়ার অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী বিমানবিধ্বংসী কামান, মর্টার ও রকেট নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালায়। এ সময় রাজনীতিকেরা জীবন বাঁচাতে দৌড়ে পালিয়ে যান। বন্দুকধারীরা পার্লামেন্ট ভবন তছনছ করে। ভারী অস্ত্রসজ্জিত গোষ্ঠীটির হামলায় দু’জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়। তারা ২০ সংসদ সদস্যকে অপহরণও করেছে।
গত বৃহস্পতিবার জেনারেল খলিফা হাফতার লিবিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজিতে শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর থেকে লিবিয়ায় ব্যাপক গোলযোগ দেখা দেয়। হাফতারের এ অভিযানের নিন্দা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ছাড়া, সরকারিভাবে বেনগাজির আকাশে বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
হাফতার অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন লিবিয়ার সংসদ স্পিকার এবং সামরিক বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ নুরি আবু সামিয়ান।
২০১১ সালে গণঅভ্যুত্থানে সাবেক স্বৈরশাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির উৎখাতের পর দেশটির গণতান্ত্রিক উত্তরণে লিবিয়ার সংসদ ব্যর্থ হয়েছে বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন। গাদ্দাফির পতনের প্রায় তিন বছর পরেও দেশটিতে তীব্র অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন