ভারতের ১৬তম লোকসভায় রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ও ‘দাগি’ সংসদ সদস্য
ভারতের ১৬তম লোকসভায় রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ও ‘দাগি’ সংসদ সদস্য
ভারতের ১৬তম লোকসভার ৮২ শতাংশ সংসদ সদস্যই কোটিপতি। তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাবে এবারের লোকসভাই এ যাবত্কালের মধ্যে সবচেয়ে ধনী। একইসঙ্গে হবু সংসদ সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশই বিভিন্ন ফৌজদারি মামলার আসামি। ‘দাগি’ সংসদ সদস্যের সংখ্যার দিক থেকেও এবারের লোকসভা রেকর্ড গড়তে চলেছে।
নির্বাচনের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, তাতেই উঠে এসেছে এ সব তথ্য। হলফনামার তথ্য-পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর) জানিয়েছে, ষোড়শ লোকসভার সবচেয়ে ধনী সংসদ সদস্য হলেন চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি’র জয়দেব গাল্লা। সদ্য নির্বাচিত গুন্টরের এই সংসদ সদস্যের সম্পত্তির অর্থমূল্য ৬৮৩ কোটি টাকা। সবচেয়ে দরিদ্র সংসদ সদস্য পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের উমা সোরেন।
এডিআর-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী- এবার বিজয়ী এমপিদের মধ্যে ৮৬ শতাংশই কোটিপতি। ২০০৯ সালে কোটিপতি ছিল ৫৮ শতাংশ, ২০০৪ সালে ৩০ শতাংশ। সবচেয়ে ধনী হলেন টিডিপি, টিআরএস এবং ওয়াইএসআরসিপি’র এমপিরা। কংগ্রেস সংসদ সদস্যদের গড় সম্পত্তির আর্থিক মূল্য ১৬ কোটি টাকা। বিজেপি এমপিদের সম্পত্তির গড় ১১ কোটি টাকা। এদিক থেকে সিপিএম এমপিরা অনেকটাই দরিদ্র। তাদের গড় সম্পত্তির অর্থমূল্য মাত্র ৭৯ লক্ষ টাকা।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য হিসেবে যারা শপথ নিতে যাচ্ছেন তাদের ৩৪ শতাংশ অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশই ফৌজদারি মামলার আসামি। ২০০৯ সালে ‘দাগি’ আসামির সংখ্যা ছিল ৩০ শতাংশ। ২০০৪ সালে ছিল ২৪ শতাংশ।
এডিআর বলেছে, এবার ৫৪১ জন বিজয়ী প্রার্থী যারা সংসদে যাবেন, তাদের মধ্যে ১৮৬ জনের বিরুদ্ধেই চলছে ফৌজদারি মামলা। ‘দাগি’ এমপিদের তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে বিজেপি। তাদের ৩৫ শতাংশ এমপিই ফৌজদারি মামলার আসামি।
রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) চার এমপির সবার বিরুদ্ধেই মামলা ঝুলছে। শিবসেনার ১৮ সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৪ জনই দাগি। এনসিপি-র পাঁচজনের মধ্যে চারজনই ফৌজদারি মামলায় জড়িত। এআইডিএমকের ৩৭ জন বিজয়ী সংসদ সদস্যেদের মধ্যে ৬ জন জেল খেটেছেন। তৃণমূলের ৩৪ এমপির মধ্যে ৭ জনের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস রয়েছে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন