তাকফিরীদের শরীয়াত বিরোধি ও কলঙ্কজনক কর্মকান্ড /জিহাদুন নিকাহ হচ্ছে খোদার সাথে জিহাদ???
{flvremote}http://www.tvshia.com/farsi/hwdvideos/uploads/hgnpgmuoj5zacr.flv{/flvremote}
বিগত এক বছর পূর্বে বাসার এওয়ায নামক এক ব্যাক্তির সাথে আমার পরিচয় হয়। সে আমাকে জঙ্গিবাহিনীতে যোগদান করার প্রস্তাব দেয়।
অতএব আমি শাষন ব্যবস্থার বিরূদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতে এবং জঙ্গিবাহিনীতে যোগ দিতে রাজি হই এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিজ হাতে তুলে নেই।
পরে আমি ছুটি নিয়ে আসি এবং বাশার এওয়াযের নেতৃত্বে সাইফুল ইসলাম নামক জঙ্গিদলে যোগ দেই।
যা ছিল মোহাম্মাদ বাশার আলীর নেতৃত্বে সাগুরুশ শাম জেবহাতুন নাসর নামক জঙ্গিবাহিনীর তত্বাবধানে। বাশার এওয়ায আবু আব্দু আসে এবং আমাকে বলে তোমার কি তিনজন স্ত্রী রয়েছে?
আমি বললামঃ একজনকে তালাক্ব দিয়েছি এবং দুইজন আমার তত্বাবধানে রয়েছে। সে আমাকে বলেঃ আমি যেন আমার এক স্ত্রীকে নিয়ে আসি এবং সে যেন জিহাদুন নিকাহতে অংশগ্রহণ করে।
সে আমাকে বলেঃ উক্ত জিহাদ হচ্ছে খোদার জন্য এবং তুমি বেহেস্তবাসী হবে।
এই জঙ্গিবাহিনীদের এখানে কেউ নাই না স্ত্রী আর না কোন কিছু আছে। তখন আমি আমার স্ত্রী ফাতেমার সাথে যোগাযোগ করি....
সে আমাকে বলেঃ ফাতেমা অমুক বাগান বাড়িতে আস কিন্তু তোমার সন্তানকে সাথে নিয়ে এসো না, আমি বললামঃ ঠিক আছে। সে আমাকে মটরে তুলে নিলে আমরা বাগানবাড়িতে চলে যায়....
যখন আমরা বাগানে পৌছায়
দেখি সেখানে একজন লোক বসে ছিল যার উচ্চতা ছিল লম্বা, নীল চোখ এবং লম্বা দাড়ি এবং কেশহীন যাকে বাশার এওয়ায বা আবু আব্দু বলা হতো।
সে আমাকে জিজ্ঞাসা করে তুমি কি জিহাদুন নিকাহ করতে রাজি আছ? আমি বললাম সেটা কি? কেননা জিহাদুন নিকাহ সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান ছিল না এবং আমি শব্দটি প্রথমবার শুনি।
সে বলেঃ তুমি কি কয়েকজনের সাথে সঙ্গি হতে চাও? আমি জিজ্ঞাসা করলাম কিভাবে? সে বললোঃ কয়েকজনের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার মাধ্যেমে।
আমি বললামঃ ঠিক আছে তোমার সুন্দর নয়নের কারণে আমি রাজি কিন্তু আমি উক্ত কথাটি মজা করে বলেছিলাম।
সে আমাকে বলেঃ বাবা এ জিহাদ হচ্ছে খোদার জন্য এবং সকল জঙ্গিদের এখানে কেউ নাই এবং তারা নিজেদের স্ত্রী সন্তানদেরকে ছেড়ে এসেছে।
তারা আমার জন্য চা, কফি এবং খাবার নিয়ে আসে কিন্তু আমি তা খাইনা এবং আমি বুঝতে পারি যে আমি ফাঁদে ধরা পড়েছি।
আমি সেখানে আধা ঘন্টা ধরে বসে ছিলাম এবং আমার স্বামীকে টাকা দেয়ার পর আমি তাকে আর সেখানে দেখতে পেলাম না।
আমার স্বামী চলে যাওয়ার পর আমি রাত্রি এগারটা পর্যন্ত বসে ছিলাম, হঠাৎ ছয়জন পুরুষ প্রবেশ করে।
তারা আমার চোখ এবং হাতদ্বয়কে বাঁধে এবং আমাকে চড় মারে এবং আমাকে বিছানাতে নিয়ে যায়।
আমরা হচ্ছি ছয়জন পুরুষ এবং আমরা সবাই তোমার সাথে বিবাহ করতে ইচ্ছুক এবং এ সম্পর্কে শেইখ ফতুয়া দিয়েছে।
উক্ত বাহিনীরা খোদার পথে জিহাদের জন্য নিজেদের ঘর ছেড়ে এসেছে। তুমি মনে করো না যে এরা হচ্ছে জঙ্গিবাহিনী বরং এরা তোমার এবং তোমার সন্তানের এবং দেশ রক্ষার কাজে নিয়োজিত।
আমি তাকে বললাম যে কেন আমি এ কাজ করবো? সে আমাকে এক চড় মারে, আমি নীরবতা অবলম্বন করি এবং আর কিছু বলার সাহস পাই না। তারা বলেঃ যদি আর একটা কথা বল তাহলে তোমার এবং তোমার সন্তানের জীবন সমাপ্তি ঘটাব
আমি বললামঃ আমার জীবন উক্ত কাজের কারণে এমনিতেই শেষ হয়ে গেছে তার চেয়ে আমাকে এক গুলিতে এ জীবন থেকে মুক্তি দিয়ে দাও।
সে বলেঃ কথা বলো না এই বলে সে আমাকে গালি-গালাজ দেয়া শুরু করে। আমি আবার চুপ করে থাকি। তারা আমার চোখ এবং হাতদ্বয়কে খুলে দেয় এবং ছয়জন তিনজনকে বাইরে নিয়ে যায়।
এবং আরো তিনজনকে আমার কাছে রেখে যায়, তাদের মধ্যে একজন আরেকজনকে বলে কবুল? সে বলে হ্যাঁ কবুল, প্রথমজন বলে আমি আমার মোয়াক্কেলের সাথে তোমার বিয়ে দিলাম।
সে খোদার রাসুলের সুন্নাত অনুযায়ি সূরা তেলাওয়াত করে এবং দুই ঘন্টা ধরে আমাকে যৌন নির্যাতন করতে থাকে এবং তারপরে আবার একজন আসে এবং সেও পূর্বের ব্যাক্তির ন্যায় দুই ঘন্টা ধরে আমাকে যৌন নির্যাতন করতে থাকে।
এভাবে রাত্রি এগারটা পর্যন্ত প্রত্যেক দুই ঘন্টা পর একেক জন করে আসতে থাকে।
রাত্রি এগারটা সময় যখন আমার স্ত্রী রাগান্বিত অবস্থায় বাইরে আসে তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি ফাতেমা তোমার কি হয়েছে কেন তুমি রেগে আছ?
সে বলে তুমি এমন এক পুরুষ যে খোদাকে ভয় পায় না? আমি জানতাম না যে তোমার সাথে কি তাদের কি চুক্তি ছিল তারপরে আর কোন কথা বলে না।
সে বলেঃ আমাকে ছেড়ে দাও কেননা তোমার মতো পুরুষ আমার যোগ্য না। আমি তোমার সাথে আর কোন সম্পর্ক রাখতে চাই না এবং আমি তোমাকে ঘৃণা করি।
আমি তোমাকে ত্যাগ করতে চাই এবং তোমার সাথে আর থাকতে চাই না।
বিশ দিন পরে আমি তাকে (স্বামী) ফোন করি এবং জিজ্ঞাসা করি তুমি কোথায় আছ? সে বলে তুমি ফাতেমা? আমি অমুক বাগানে আছি, তাকে বলি যে আমি তোমার সাথে দেখা করতে চাই।
আমার স্বামী বলে বাগানে বাশার এওয়াযের কাছে আছি এবং আমি তোমার কাছে আসছি।
আমি তার কাছে যায়।
আমি বাশার এওয়াযকে বললাম যে ফাতেমা ফিরে আসতে চাই।
আবারও ঘটনা ঘটতে শুরু করে চারজনকে নিয়ে আসে এবং বলে এদের মধ্যে একজনতে নির্বাচন কর।
আমি বলি হে বাশার.... সে বলেঃ হে আমার সন্তান এ জিহাদ হচ্ছে খোদার জন্য এবং তুমি জান্নাতবাসী হবে এবং এটা কোন হারাম কাজ না এসবই হচ্ছে হালাল।
আমি একজনকে নির্বাচন করি।
এই সামরিক মৈত্রী হচ্ছে খোদা এবং রাসুলের সুন্নাত অনুযায়ি।
আধাঘন্টা পরে সে খালিদকে (স্বামী) পাঁচ হাজার লিরা দিয়ে চলে যায়। আমাকে বলে একজনকে নির্বাচন কর আমি মোতায নামক একজনকে নির্বাচন করি।
যে ছিল লম্বা, সূদর্শন এবং তার মুখে অল্প দাড়ি এবং মোচ সম্পূর্ণভাবে সেভ করা ছিল। তার গালে একটা তিল ছিল সে আমার সাথে দুই ঘন্টা যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে।
তারপরে সে আমাকে তালাক্ব দেয় এবং বলে তিনবার বলে যে, তোমাকে আমি তালাক্ব দিলাম। আরো একজন অসে তার নাম ছিল আহমাদ তার দাড়ি বড় ছিল।
সূদর্শন এবং উচ্চতা কম ছিল এবং তার চেহারায় ক্ষত ছিল।
প্রত্যেক দুই ঘন্টা অন্তর শেইখ খামিস এবং বাশার এওয়ায আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন লোকের সাথে বিয়ে দিত।
পরে তারা তাকে তালাক্ব দিত এবং অপর একজনের সাথে তার বিবাহ দিত।
তারপর তারা আরো অন্যদেরকে আনতো এবং বলতো যে এদের বিবাহ করতে হবে।
আমাকে আমার স্বামীর হওয়ার মূল্য স্বরূপ পাঁচ হাজার লিরা দেয়।
আমি তের বছর পূর্বে আমি বিয়ে করেছি কিন্তু দৈহিক এবং আত্মিকভাবে কখনও শান্তি অনুভব করিনি। একদা আমি ফলের বাজারে গেলে আবু যায়াব নামক এক লোকের সাথে সাক্ষাত হয়।
সে বলেঃ আমি আপনার সাথে পরিচিত হতে চায় আমিও রাজি হই। সে বলেঃ আমি অনেকদিন ধরে আপনাকে পছন্দ করি।
সে আমাকে তার বাড়িতে দাওয়াত করলে আমি তার বাড়িতে যায়। প্রথমবার সাক্ষাতেই আমি তার কাছে দশটি বন্দুক দেখতে পাই।
এবং একটি পতাকা দেখতে পাই তাকে জিজ্ঞাসা করি এটা কি? সে বলেঃ এটা হচ্ছে জেবহাতুন নাসরের এবং আমি হচ্ছি আসওয়াদুত তাওহিদের নেতা।
আমি তাকে বলি আমি এগুলো থেকে ভয় পাই, সে বলে ভয় পেও না আমি তোমার বন্ধু এবং তুমি আমাদের দলের নেতার সাথে আছ।
এখন আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। আমি তাকে বলি যে, আজকে আমার শরীর ভাল না দুই তিন দিন পরে আসবো।
দুই তিন দিন পরে আমি তার কাছে যেয়ে বলি যে আমি তোমার সাথে বিয়ে করতে রাজি আছি।
শেইখ আইয়াদ, আওয়াজান আবু নাযিরকে নিয়ে আসে এবং আমাকে বিয়ে করে। আমার হাতদ্বয়কে এভাবে রাখে এবং একটি কাপড় তার উপরে রাখে এবং সূরা হামদ পড়ে এবং পরে শেইখ আইয়াদ বাইরে চলে যায়।
সে দুই রাকাত নামাজ পড়ে এবং তারপরে আমাকে বিয়ে করে। তারপরে আমরা কিছুক্ষণ বসে থাকি তারপরে আমি আমার ঘরে চলে আসি। আমি কয়েকদিন পরপর তার কাছে গেছি।
প্রত্যেক সপ্তাহে কখনও একবার কখনও দুইবার আবার কখনও তিনবার ও যেতাম। সে আমাকে বলেঃ আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই। আমি বলিঃ কি বলতে চান? তুমি কি আমাদের সাথে কাজ করতে চাও?
আমি জিজ্ঞাসা করি আমাকে কি করতে হবে? সে বলে যেমনভাবে আমি তোমাকে বিয়ে করেছি অনুরূপভাবে
আমি তোমাকে অন্য কারো সাথে বিবাহ বন্ধবে আবদ্ধ করতে চাই। আমি বললামঃ অমি রাজি না তুমি উক্ত কথাটি বলে আমাকে বিস্মিত করেছ।
সে বলেঃ তুমি জান্নাতবাসী হবে এই কাজের কারণে তুমি সরাসরি জান্নাতে প্রবেশ করবে।
আমি তাকে বলি যে অমি এ সম্পর্কে চিন্তা করবো। সে বলে যেমন তুমি ভাল মনে কর। তার কাছ থেকে আসার পর আমি বাড়িতে এ সম্পর্কে চিন্তা করি।
যদি সরাসরি বেহেস্তে প্রবেশ করতে পারি তাহলে আমি তার সাথে কাজ করবো। যেমন চিন্তা তেমন কাজ, আমি রাজি হই। আমি আমার শত্রুদের বিরূদ্ধে
কাজ করলে সরাসরি বেহেস্তে প্রবেশ করতে পারবো। আমি তার কাছে যাই এবং তাকে বলি যে আমি তোমার সাথে কাজ করতে প্রস্তুত। সে একজন ব্যাক্তিকে নিয়ে আসে যার নাম ছিল শেইখ আয়াদ আওয়াজান আবু নাযির।
সে আমাকে তার সাথে বিয়ে দেয় , এবং হতের উপরে হাত রাখে এবং সূরা হামদ পাঠ করে এবং আমাকে বিয়ে করে এবং তাকে বলেঃ
তুমি যখন যাবে তখন তাকে তালাক্ব দিয়ে যাবে, কিন্তু যখন সে আমার সাথে সহবাস করতে চাই, আমি রাজি হই না
আধা ঘন্টা বা পয়তাল্লিশ মিনিট পরে সে আমার সাথে সহবাসে লিপ্ত হয় এবং যখন সে যেতে চাই তখন আইয়াদ আমাকে তালাক্ব দেয়। তারপর আধা ঘন্টা আমি বিশ্রাম করি।
আমার গোসল করতে যাওয়ার পরে আলী নামের একজন ব্যাক্তি আসে এবং সে আমার বিবাহের আক্বদ তার সাথে পাঠ করে এবং তাকে বলেঃ
যখন তুমি যাবে তখন তাকে তালাক্ব দিয়ে যাবে। তারপরে সে আমার সাথে প্রায় আধা ঘন্টা সহবাস করে এবং যখন সে বাইরে চলে যাই তখন আমিও গোসল করতে চলে যায়।
তারপরে মোহাম্মাদ আলী নামক এক ব্যাক্তি আসে তার সাথে আমার বিয়ের আক্বদ পাঠ করে এবং সেও পূর্বের ব্যাক্তির ন্যায় আমার সাথে সহবাস করে এবং যাওয়ার পূর্বে আমাক তালাক্ব দিয়ে চলে যায়।
পরে আমি যখন বাইরে যাচ্ছিলাম তখন আমার স্বামী আমাকে দেখতে পাই এবং যখন আমি বাড়িতে যায় তখন বুঝতে পারি যে আমার স্বামী রাগান্বিত এবং বিচলিত অবস্থায় রয়েছে।
আমি তাকে বলি ফয়সাল কি হয়েছে? সে বলে কিছু হয়নি। তখন আমি বলি যে সত্যি করে বল যে তোমার কি হয়েছে কেন তুমি এত রেগে আছ?
সে বলেঃ তুমি আবু দিয়াবের কাছে কি করছিলে? আমি বলি যে আমি আবু দিয়াবের কাছে ছিলাম না, সে বলেঃ আমার কাছে মিথ্যা বলনা, তুমি আবু দিয়াবের কাছেই ছিলে এবং সেখানে কি করছিলে?
জবাবে আমি বলিঃ আমি আবু দিয়াবের সাথে কাজ করি, সে জিজ্ঞাসা করে কি কাজ কর? আমি বলি জিহাদুন নিকাহ
তুমি কিভাবে এ কাজ করতে পারলে? আমি কথাটি বলার পর দেখতে পাই যে আমার স্বামীর মধ্যে কোন পরিবর্তন আসেনি এবং সে আর আমার সাথে কোন কথা বলছে না। আমি তখন আবু দিয়াবের কাছে যাই
তাকে সালাম করার পর তার কাছে বসলাম সে আসে এবং বলে শেইখ আইয়াদ আপনার কাছে আসতে চাই আমি তাকে বলি আজকে না আগামীকাল, আগামীকাল আবার যায় এবং ফিরে আসি।
আমি বললাম আমি রাজি আছি, সে বললো ঠিক আছে – শেইখ আইয়াদ আমাকে বিয়ে করে এবং পূর্বের ন্যায় হাতের উপরে হাত রাখে এবং দুই রাকাত নামাজ পড়ে
এবং আমার সাথে সহবাসে লিপ্ত হয় এবং পরে আমাকে তালাক্ব দেয়। শেইখ আইয়াদের কাজ শেষ হলে সে বাইরে চলে যায় এবং আমিও সেখান থেকে বাইরে চলে আসি। কিন্তু আমি সেখানে অনেকগুলো নারী এবং মেয়েদেরকে দেখতে পাই
যখন অনেক মেয়ে এবং নারীদেরকে দেখেতে পাই তখন আমি আবু দিয়াবের কাছে যায় এবং তাকে জিজ্ঞাসা করি এতগুলো নারী এবং মেয়েরা তোমার কাছে কি করছে?
তার মানে তুমি আমার সাথে মিথ্যা কথা বলছিলে এবং তোমার কাছে এতগুলো নারী ও মেয়ে আছে যাদের সাথে তুমি বিয়ে কর সে বলেঃ না পাগল মেয়ে।
এই নারী এবং মেয়েরা আমার জন্য না বরং তারা হচ্ছে যুবকদের জন্য কেননা এই সকল যুবকরা তাদের স্ত্রীদের কাছ থেকে দূরে রয়েছে। কিন্তু উক্ত বিষয়টি আমাকে চিন্তা করতে বাধ্য করে। আমি বলি আস বসি এবং তোমার সাথে কিছু কথা বলি। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি এই মেয়েগুলো যে তোমার কাছে আছে
এদের সাথে তুমি কিভাবে জিহাদ কর? সে বলেঃ শেইখ মুফতি এ ফতুয়া দিয়েছে।
মুফতি শেইখ আইয়াদ আওয়াজান আবু নাযির উক্ত ফতুয়া দিয়েছে যে পিছন দিক থেকে উক্ত মেয়েদের সাথে সহবাস করা যাবে।
কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে যে এরা হচ্ছে অবিবাহিত মেয়ে। সে বলে তুমি যথেষ্ট বুঝেছ তাহলে নারীদের হুকুম কি? সে বলে কয়েকজনের জন্য ...
সিরিয়ার ঘটনার পূর্বে যুদ্ধের সময় এবং জেবহাতুন নাসরের সদস্যরা তাদেরকে ব্যাবহার করতো।
আমি আলা কায়েদার সদস্য হওয়ার পূর্বে বুকমান শহরে দশম শ্রেণী থেকে মসজিদের ইমামের কাছে ইসলামী শিক্ষা অর্জন করতাম
সেই মসজিদেইরাক থেকে আবু মোহাম্মাদ নামক একজন শেইখ এসেছিলেন যিনি আল কায়েদার সদস্যদের দ্বীনি শিক্ষা দিতেন
প্রথমদিকে আমরা মাত্র ১০জন মেয়ে ছিলাম। কিন্তু পরে আরো মেয়ে আমাদের সাথে যোগ দেয় এবং এভাবে আমাদের দল আরো বড় হতে থাকে এবং তারা যে কাজটি বেশী করতো
তা হচ্ছে জিহাদুন নিকাহ। যে ব্যাক্তিরাই আল কায়েদার সদস্য ছিল, তাদের সাথে আমাদের দৈহিক সম্পর্ক ছিল
তারা প্রথমে কোরআনের আয়াত এবং রাসুল (সা.) এর হাদীসের ভুল ব্যাখ্য দিত
এবং আমরা যারা আলা কায়েদার সদস্য ছিলাম আমাদেরকে বলা হতো যে আমরা জেবাহাতুন নাসর এবং আলা কায়েদার সদস্যদের সাথে দৈহিক সম্পর্ক রাখতে পারি।
তারা বলতোঃ এ কাজ হচ্ছে আমাদের জন্য ওয়াজিব কেননা আমরা আল কায়েদার সদস্য। সিরিয়ার ঘটনার পরে আমি মেয়েদেরকে দ্বীনি শিক্ষা দিতাম।
এবং তাদেরকে দ্বীনের প্রতি উৎসাহ করতাম কিন্তু দেখতাম যে তারা ওযু ছাড়াই মসজিদে প্রবেশ করতো এবং নামাজ এবং কোরআন পড়তো।
ছেলে ও মেয়েদের যে দল তৈরী হতো যেহেতু আমি আল কায়েদার সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম, তাই তাদের জন্য অস্ত্র নিয়ে যেতাম
আমি মেয়েদেরকে দলে যোগদানের জন্য আহবান জানাতাম। প্রথমবার আহমাদ আমার সাথে জিহাদুন নিকাহ করতে চাই এবং উক্ত ফতুয়ার কারণে তা আমার উপরে ওয়াজিব হয়ে যায়।
যে জেবহাতুন নাসরের প্রত্যেকটি সদস্যর সাথে যেন দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করি এবং তারপরে তার ভাইয়ের সাথে সহবাসে লিপ্ত হই এবং বিদেশী লোকদের সাথে।
আমি শুধুমাত্র সিরিয়ার লোকদের সাথেই জিহাদুন নিকাহ করিনি বরং দুজন লিবিয়া, একজন তিউসিনিয়া, মরক্কো, মিশর, তুর্কি
ফ্রান্স, আরবস্থান, কাতার এর লোকদের সাথে সহবাস করি এবং আমি তাদের কাছ থেকে এর জন্য অর্থ নিতাম
যদি কেউ অস্ত্র হাতে তুলে না নিত বা যুদ্ধে যেতে অসম্মতি জানাতো এবং যদিও উক্ত কাজের জন্য জেবহাতুন নাসরের লোকেরা অর্থ দিত তাহলেও তাদের সাথে জিহাদুন নিকাহ করতাম না।
যারাই আমাদের সাথে সহবাস করতো তারা আমাদের ভিডিও বানাতো এবং আমাদেরকে ভয় দেখাতো যে যদি এ কথা কাউকে বল তাহলে এই ভিডিও ক্লিপটি আমরা প্রচার করে দিব।
তারা মোবাইল বা ডিজিটাল ক্যামেরার মাধ্যমে ভিডিও রেকর্ড করতো যেন আমরা তাদের এই সকল কাজের বিষয়ে কাউকে না বলি আমরা যাদের সাথেই সহবাস করতাম তারা আমাদের ভিডিও রেকর্ড করে রাখতো।
অনেকে মোবাইল আবার অনেকে ল্যাপটপে কপি করে রাখতো। আমি শামের সাহাবী নামক দলের হয়ে কাজ করতাম এবং তাদেরকে অস্ত্র পাচার করতাম।
আমি যুদ্ধের ময়দানেও অংশগ্রহণ করতাম এবং বিষ্ফোড়ক দ্রব্য সামগ্রী স্থানন্তরিত করতাম।
প্রত্যেক শেইখ এবং লিডাররা জিহাদুন নিকাহ সম্পর্কে আলোচনা করতো।
তারা নিজেদের হাতকে নারী বা মেয়েদের মাথার উপরে রাখতো এবং তিনবার বলতো আল্লাহু আকবার তারপরে সে নারী বা মেয়ে তার জন্য হালাল হয়ে যেত
আমি নিজে যে বিষয়টি দেখেছি তাহলো তারা যদি কোন সুন্দর নারীকে দেখতো তাহলে তারা সবাই সেই মেয়েটির চারিদিকে একত্রিত হতো এবং তাকবির বলতো এবং তার সাথে সহবাস করতো।
আত তৌহিদ যা ছিল জেহাদুন নাসরের অন্তর্ভূক্ত তাদের মধ্যে একটি দন্দ হয় এবং তারা একজন শেইখের মাথা কেটে নেয় এবং শিশান নামক এলাকার একজন তাদের একজনের মাথা কেটে নেয়।
মাথা কাটার কারণ হচ্ছে যে একজন শিশানবাসী কাসতান এলাকায় এক শেইখের স্ত্রীর কাছে যায়, তাকবির বলে এবং সহবাস করে যখন শেইখ তার স্ত্রীর কাছে আসে
এবং বুঝতে পারে যে শিশানবাসী তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছে শেইখ তাকে জিজ্ঞাসা করে কেন এ কাজ করেছো??? শিশানবাসী বলে যে আমি তোমার স্ত্রীর সামনে তাকবির বলেছি এবং সে আমার জন্য হালাল হয়ে গেছে।
শেইখ উক্ত কথা শোনার পর শিশানবাসীর স্ত্রীর কাছে যায় এবং তার মাথার উপরে হাত রেখে তিনবার তাকবির দেয়ার পর তার সাথে সহবাস করে
শিশানের লোকটি আসে এবং শেইখ কে বলেঃ তুমি এটা কি করছো??? শেইখ বলেঃ তুমি আমার স্ত্রীর কাছে তাকবির বলেছো আমিও তোমার স্ত্রীর কাছে তাকবির বলেছি। শিশানবাসী তাকে বলে তোমার জন্য এটা জায়েয না
যে তুমি আমার স্ত্রীর কাছে তাকবির বলবে। শুধুমাত্র আমি তোমার স্ত্রীর কাছে তাকবির বলতে পারবো। শেইখ প্রশ্ন করে কেন? তুমি যে খোদার অনুসরণ কর সেই খোদা কি আমাদের খোদা না??? (যার কারণে তোমার এবং আমার আহকাম আলাদা হবে)
পরে শিশানের লোকটি শেইখের মাথাকে কেটে ফেলে। আমি এই ঘটনা থেকে খুব ভয় পাই যে, এমন যেন না হয় যে তারা আমার স্ত্রীর কাছে এসে তাকবির উচ্চারণ করবে এবং আমার স্ত্রী তাদের জন্য হালাল হয়ে যাবে।
হালাবে একটি ঘটনা ঘটে যে মেয়েরা আমাদের সাথে এসেছিল তারা ছিল হালাববাসী শিশানবাসীরা রাস্তায় তাদের মধ্যে একজন মেয়েকে দেখতে পায় এবং তার কাছে তাকবির বলতে চাই
কিন্তু তার আগে মেয়েটির মা তিনবার তাকবির বলে বুঝাতে চাই যে সে যদি আমার মেয়ে হয় তাহলে সে হবে তোমাদের বোন। যদিও তারা শুধুমাত্র এক দুই ঘন্টার জন্য বিবাহ করে।
যদি কোন পুরুষ তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করার অভিযোগ করে তাহলে তারা সেই পুরুষের কাছে তাকবির বলে তার সাথে লাওয়াত (সমকামিতা) করতো
এবং তাকে সাথে জোর করে যৌন নির্যাতন করা হতো এবং এতে কোন সমস্যা ছিল না।
আমি জানি না যে আমাকে কিভাবে বুঝানো হয়েছিল যে উক্ত জিহাদটি হচ্ছে খোদার পথে জিহাদ এবং তা হারাম না অর্থাৎ একাধিক বিবাহ করা এবং তারা এভাবে আমাকে এ পথে নিয়ে আসে।
যে কেউ জায়সুল হুরের সদস্য হবে তার জন্য উক্ত কাজ জায়েয হবে। যদিও সে সাত বছরের হোক না কেন তাতে কোন সমস্যা নাই অর্থাৎ তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে।
তারা মাঝে মধ্যে প্রতিযোগিতা করতো যে যদি কেউ কারো কাছে তাকবির বলতে পারে তাহলে এক বা দুই ঘন্টার জন্য সে তার সম্পদ ও হালাল হয়ে যাবে।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন