আজ হাইফা-হলোকাস্টের বার্ষিকী
আজ হাইফা-হলোকাস্টের বার্ষিকী
আজ হতে ৬৬ বছর আগে ১৯৪৮ সালের এই দিনে ফিলিস্তিনে ইউরোপ থেকে অবৈধভাবে আসা ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীরা ভূমধ্যসাগরীয় বন্দর নগরী হাইফা দখল করে।
তাদের এই সন্ত্রাসী অভিযানে শহীদ হয় ৫০০ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ ও শিশু। আহত হয় কয়েক'শ ফিলিস্তিনি। ভীত-সন্ত্রস্ত ফিলিস্তিনি নারী, শিশু ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা বন্দর বা জেটিতে আশ্রয় নিয়ে পালানোর পথ খোঁজার সময় তাদের ওপর আবারও নৃশংসভাবে হামলা চালায় বহিরাগত ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীরা। ফলে আরো ১০০'রও বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি শাহাদত বরণ করে এবং আহত হয় ২০০ জনেরও বেশি।
এ ছাড়াও ইহুদিবাদীরা অস্ত্রের মুখে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে নৌকায় ও জাহাজে উঠিয়ে সাগরে ঠেলে দেয়।
এভাবে বেশ কিছু গণহত্যা চালিয়ে ফিলিস্তিনে জবর দখল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ১৯৪৮ সালে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল গঠন করে ইহুদিবাদীরা।
পাশ্চাত্য এবং বিশেষ করে ব্রিটেন ও আমেরিকার মদদপুষ্ট ইহুদিবাদীরা অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল গঠনের পর কেবল ১৯৪৮ সালেই ৪৪টি গণহত্যা চালিয়েছিল ফিলিস্তিনিদের ওপর।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান নাৎসিরা কথিত হলোকাস্টে ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিল বলে ইহুদিবাদীরা দাবি করে থাকে। যদিও এ সংখ্যাকে অনেকেই অতিরঞ্জিত বলে মনে করেন এবং সে সময় নিহত ইহুদির সংখ্যা এই দাবির চেয়ে অন্তত দশ গুণ কম হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। প্রকৃত ঘটনা বা সত্য যাতে প্রকাশ হতে না পারে সে জন্য পাশ্চাত্যের হলোকাস্টের সত্যতা চ্যালেঞ্জ সংক্রান্ত গবেষণাকে আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জার্মানির হিটলারের বাহিনীর কথিত ওই গণহত্যার কথা প্রচার করে ইহুদিবাদীরা ইহুদিদের নামে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবির প্রতি পাশ্চাত্যের সহানুভূতি অর্জন করতে সক্ষম হয়। অথচ ইহুদিবাদীরা ফিলিস্তিনের বুকে এ পর্যন্ত লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং অন্তত ৫০ লাখ ফিলিস্তিনিকে বিতাড়িত করেছে তাদের মাতৃভূমি থেকে ।
তাই এটা স্পষ্ট, মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রকৃত হলোকাস্ট চালিয়ে যাচ্ছে পাশ্চাত্যের মদদপুষ্ট অবৈধ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইহুদিবাদী ইসরাইল।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন