মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় নিয়ে সুর বদলালেন

মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় নিয়ে সুর বদলালেন

Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হাসান নাসরুল্লাহ , লেবানন, ইরান,  চীন, মালয়েশিয়া,  স্যাটেলাইট, কুয়ালালামপুর, বেইজিং, ভিয়েতনাম, মার্কিন, গোয়েন্দা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর, আল কায়েদা, তাকফিরী, ইখওয়ানুল মুসলেমিন, বাংলাদেশ, ভারত, জিহাদ, ফিলিস্তিন, ইহুদি, গাজা, শহীদ, জিহাদ, ক্ষেপণাস্ত্র, দূতাবাস, সৌদি আরব , কুয়েত, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, ভিয়েনা, পরমাণু, বাহারাইন, আফগানিস্থান, থাইল্যান্ড, হজরত ফাতিমা, মার্জিয়া, সিদ্দিকা, মোহাদ্দেসা, বাতুল, উম্মে আবিহা, যাহরা, মুবারেকা, যাকিয়া, তাহেরা, রাযিয়া, জিহাদুন নিকাহ, পোপ, পাদ্রি,
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় সংক্রান্ত স্থলসীমান্ত চুক্তির বিরোধীতাকারী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি লোকসভা নির্বাচনের মুখে তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন।

কোচবিহারের দিনহাটার সংহতি ময়দানে নির্বাচনী জনসভায় ছিটমহল প্রশ্নে কার্যত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, “ওখানকার মানুষ যা চান, তাই-ই হবে। আমি জোর করে কিছু চাপিয়ে দিই না। ওখানকার মানুষের যে ভাবে সুবিধা হবে, আলোচনার মাধ্যমে তা-ই করা হবে।”

মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “ভোট এলেই অনেকের ছিটমহলের কথা মনে পড়ে। ভোট তোলার ফায়দা নেয়। আমাদের সরকার জনগণনা করছে। সমীক্ষাও করেছে। আমি জোর করে বন্দুক দেখিয়ে জমি দখল করব না। আমি সমস্যার কথা জানি। আমাকে জ্ঞান দেয়ার চেষ্টা করবেন না।”

এর আগে গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে কোচবিহারের মাথাভাঙায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, “ছিটমহলের এক ছটাক জমিও হস্তান্তরের প্রশ্ন নেই।”

একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় ছিটমহল বিনিময় সংক্রান্ত স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল পেশ হওয়ার সময়েও তৃণমূলের তীব্র বিরোধিতা করে মমতার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। কেবল তাই নয়, বিলটির সমালোচনা করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, “রাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়া একতরফাভাবে বিলটি পেশ করার অর্থ জোর করে একটি বিষয়, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, অসম, ত্রিপুরা এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির উপরেও চাপিয়ে দেয়া। আমরা এটা মানছি না, মানছি না, মানছি না। আমাদের রাজ্যের এক ইঞ্চি জমিও দেয়া হবে না।“

কিন্তু চার মাস যেতে না যেতেই মুখ্যমন্ত্রী তার অনড় মনোভাব থেকে হঠাৎ কী সরে এলেন সে প্রশ্নই তুলেছেন ‘ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি’। কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, তৃণমূল নেত্রীর কথা শুনে অবাক হয়েছি। ছিটমহলবাসীদের আত্মীয় কয়েক হাজার মানুষের ভোট পেতেই মমতার এই অবস্থান পরিবর্তন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

‘ছিটমহল ইউনাইটেড কাউন্সিল’-এর উপদেষ্টা দেবব্রত চাকী বলেন, “ভারতীয় ছিটমহলের যারা প্রকৃত বাসিন্দা, একমাত্র তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই ছিটমহল-সমস্যার সমাধান করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী যদি সত্যিই সে পথে হাঁটেন, তা হলে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তি থেকেই উদ্ভব ছিটমহল সমস্যা। বর্তমানে বাংলাদেশের সীমানর ভেতরে রয়েছে ভারতের ১১১টি ছিটমহল। আর ভারতের সীমানার অভ্যন্তরে রয়েছে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল রয়েছে। বাংলাদেশের ছিটমহলগুলোর অবস্থান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কুচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায়। আর ভারতীয় ছিটমহলগুলোর অধিকাংশই রয়েছে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারিতে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন