সৌদি-কাতার দ্বন্দ্ব চরমে
সৌদি-কাতার দ্বন্দ্ব চরমে
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স সৌদ আল-ফয়সাল
মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমিনকে কেন্দ্র করে কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবের স্থল ও পানিসীমা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে রিয়াদ।
সৌদি আরব অভিযোগ করছে, মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে কাতার। সেইসঙ্গে বারবার হুঁশিয়ার করে দেয়া সত্ত্বেও কাতারের আল-জাযিরা টেলিভিশন ইখওয়ানের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পত্রিকা হাফিংটন পোস্ট সৌদি আরবের সর্বসাম্প্রতিক হুমকির খবর দিয়ে বলেছে, গত সপ্তাহে পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ- পিজিসিসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এ হুমকি দেয়া হয়। এরপর পরই কাতার থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সৌদি আরব।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স সৌদ আল-ফয়সাল বলেছেন, ইখওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি আল-জাযিরার সম্প্রচার বন্ধ করার মাধ্যমেই কেবল কাতার নিজের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এড়াতে পারে। কাতার সরকার সমূদ্রসীমা বন্ধ করে দেয়ার সৌদি হুমকিকে গুরুত্ব দেয়নি বলে জানা গেছে। তবে সংকীর্ণ স্থলসীমান্ত ইচ্ছা করলেই যে সৌদি আরব বন্ধ করে দিতে পারে সে ব্যাপারে দোহায় উদ্বেগ রয়েছে।
২০১২ সালে ইখওয়ান নেতা মুহাম্মাদ মুরসি মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই সৌদি রাজা আব্দুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত করতে রিয়াদ ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে মুরসি সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানে মদদ যোগায় সৌদি আরব। গত ৭ মার্চ সৌদি আরব মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমিনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। নয়া সৌদি আইন অনুযায়ী, যারা ইখওয়ানে যোগ দেবে অথবা ইখওয়ানকে সহযোগিতা করবে তাদেরকে পাঁচ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হবে। মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমিন সৌদি আরবের এ পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সৌদি আরবের দেখাদেখি ৮ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতও মিশরের ইখওয়ানকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। মার্কিনপন্থী এসব আরব দেশ অভিযোগ করছে, কাতারের আল-জাযিরা নিউজ চ্যানেল মিশরের ইখওয়ানের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন