বিমান জগতের নজিরবিহীন রহস্য, বিমান নিখোঁজ
বিমান জগতের নজিরবিহীন রহস্য, বিমান নিখোঁজ
এখনো আশায় প্রহর গুনছেন নিখোঁজ বিমানযাত্রীদের স্বজনরা
মালয়েশিয়ার বেসামরিক বিমান সংস্থার প্রধান আজহারউদ্দিন আবদুর রহমান ২৩৯ জন আরোহীসহ ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ এর রহস্যজনক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে 'বিমান জগতের নজিরবিহীন রহস্য' বলে অভিহিত করেছেন। গত শনিবার বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার আগে কোনো বিপদ সংকেত বা 'ডিস্ট্রেস সিগন্যাল' পর্যন্ত দেয়নি।
হতভাগ্য বিমান বোয়িং ৭৭৭-২০০ইআরের আরোহীদের বেশিরভাগই ছিলেন চীনের নাগরিক এবং বিমানটির খোঁজে তল্লাশি জোরদার করার জন্য কুয়ালালামপুরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং। গত ১৯ বছর ধরে যাত্রী পরিবহনের করছে বোয়িং ৭৭৭-২০০ইআর এবং এর মধ্যে এমন মারাত্মক ও রহস্যজনক দুর্ঘটনা আর ঘটেনি।
এদিকে, মালয়েশিয়া বলেছে, গত শনিবার মধ্য আকাশ থেকে উধাও হয়ে যাওয়া বিমানের খোঁজে তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। মালাক্কা প্রণালী থেকে উত্তর চীন সাগর পর্যন্ত ব্যাপক অঞ্চলজুড়ে নয়টি দেশের উদ্ধারকর্মীরা এখন তল্লাশি চালাচ্ছেন। আজহারউদ্দিন আবদুর রহমান বলেছেন, বিমানটি হাইজ্যাকের প্রচেষ্টা নাকচ করে দেয়া হয়নি। বিমানটি নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে যে সব জল্পন-কল্পনা চলছে তার সবগুলোই খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। অবশ্য এ পর্যন্ত বিমান বা বিমানের কোনও চিহ্ন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেন তিনি।
এ ছাড়া, প্রায় দু’বছর আগে চুরি যাওয়া অস্ট্রিয়া ও ইতালির দুই নাগরিকের পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিমানটিতে দুই যাত্রী কী করে উঠতে পেরেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। থাইল্যান্ড থেকে খোয়া যাওয়া এ দুই পাসপোর্টের তথ্য ইন্টারপোলের ডাটাবেজে থাকা সত্ত্বেও কী করে তা ব্যবহার করা সম্ভব হলো তা নিয়ে নানা সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু নিখোঁজ বিমানটিতে আরোহণের জন্য ব্যবহৃত সব কাগজ-পত্র পরীক্ষা করে আরো কয়েকটি সন্দেহজনক পাসপোর্টের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ইন্টারপোলের এক মুখপাত্র।
নিখোঁজ বিমানটির প্রাথমিক তদন্তে জড়িত পদস্থ এক কর্মকর্তা মালয়েশিয়ায় বলেছেন, এ পর্যন্ত কোনো ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হওয়ার মধ্যদিয়ে মনে হচ্ছে, বিমানটি মাটি থেকে ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে ধ্বংসাবশেষ বিশাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করেন তিনি।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন