কারজাইকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি

কারজাইকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি

কারজাইকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি

কারজাই, মার্কিন, আফগানিস্তান, ওবামা, ওয়াশিংটন, কাবুল, আমেরিকা, Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী সাকিফা, বণী সায়া
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই আমেরিকার সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির বিরোধিতা করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা এর পরিণতির ব্যাপারে কারজাইকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ওবামা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট কারজাই যদি নিরাপত্তা চুক্তিতে সই না করেন তাহলে ওয়াশিংটন তার সব সেনাকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে আনবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা চলতি বছরের শেষ নাগাদ আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন ওয়াশিংটন চায় কাবুলের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি সই করার মাধ্যমে আফগানিস্তানে তাদের সামরিক ঘাঁটি টিকিয়ে রাখতে। এ চুক্তির মাধ্যমে তারা আফগানিস্তানে অন্তত ১০ হাজার সেনা মোতায়েন রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেছেন, বিদেশি সেনারা বেসামরিক মানুষকে হত্যা করবে না-এ মর্মে প্রতিশ্রুতি দিলে তবেই তারা আমেরিকার সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তিতে সই করবে। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের এ দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

আফগানিস্তানের কর্মকর্তারা মনে করেন, আমেরিকা তাদের ওপর নিরাপত্তা চুক্তি চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। এ কারণে চীন ও রাশিয়াসহ কোনো কোনো দেশ নিরাপত্তা চুক্তি চাপিয়ে দেয়ার মার্কিন প্রচেষ্টার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে একে আফগানিস্তানের জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে।

মার্কিন টিভি চ্যানেল সিএনএন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ওবামা আফগান প্রেসিডেন্ট কারজাইয়ের সঙ্গে টেলিফোন সাক্ষাতের পর আফগানিস্তান থেকে ৩৩ হাজার সেনা সরিয়ে আনার জন্য প্রস্তুতি নিতে তার সেনাদের প্রতি নির্দেশ জানিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ধারণা করা হচ্ছে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ইরাকের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে। কারণ ইরাক সরকারও আমেরিকার সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি সই করতে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আমেরিকা সেদেশ থেকে তার সেনা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছিল। তবে আমেরিকা ভেবেছিল ইরাক সরকার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হবে এবং আবারো সেদেশে সেনা মোতায়েন রাখার সুযোগ তৈরি হবে। আফগানিস্তানের ব্যাপারেও পাশ্চাত্যের সংবাদ, রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের ধারণা সেদেশ থেকে বিদেশি সেনারা চলে গেলে তালেবানরা আবারো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে এবং দেশটির সরকার আমেরিকার সহায়তা চাইতে বাধ্য হবে।

এদিকে আফগানিস্তান বিষয়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে চালানো সর্বশেষ এক জরিপে দেখা গেছে, সেদেশের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় নিরাপত্তা বাহিনীর যোগ্যতা ও ক্ষমতার ব্যাপারে জনগণের মধ্যে পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আফগানিস্তানে সহিংসতা অব্যাহত থাকলেও জরিপে অংশ নেয়া প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, সেদেশের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রতি তাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

আফগানিস্তান বিষয়ক ফরাসি বিশেষজ্ঞ লোলা সেকশিনেল বলেছেন, জনমত জরিপের ফলাফল আমাদেরকে সত্যিই বিস্মিত করেছে। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের জনগণ সম্পর্কে আমাদের অন্য রকম ধারণা ছিল। কিন্তু এবারের জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারের প্রতি জনগণের গভীর আস্থা রয়েছে। আফগানিস্তানের বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করে গত কয়েক বছরে সরকার উন্নতির জন্য ব্যাপক কাজ করেছে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন