নবীর ওয়ারিস ফাতেমা (সা.আ.) ও ফেদাক

নবীর ওয়ারিস ফাতেমা (সা.আ.) ও ফেদাক

নবীর ওয়ারিস ফাতেমা (সা.আ.) ও ফেদাক

শিয়া. সুন্নী, ইসলাম, আহলে সুন্নাত, কাফের, মুশরিক, মুনাফিক, ইরান, তালেবান, মুজাহিদ, তাকফিরি, সৌদি আরব, আমেরিকা, ইসরাইল, ওবামা, নারী, ধর্ষণ, shia, sunni, ahle bait, islam, পরমাণু, ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, তুর্কি, পরমাণু, থাইল্যান্ড, মোহাম্মাদ, হোসেইন, , ফেদাক, ফাতেমা, আবুবকর, ফদক, হজরত মোহাম্মাদ , স্ত্রী

রাসুলের দানের ভিত্তিতে ফাতিমার দাবীকে বিভিন্ন তালবাহানা করে বাতিল করে দেয়া হয়েছিল। তখন তিনি দাবী করলেন যে,রাসুলের উত্তরাধিকারিনী হিসাবে তিনিই ফদকের মালিক। ফাতিমা এ বিষয়ে বলেছিলেনঃ যদিও আপনি (প্রথম খলিফা) রাসুলের দানকে অস্বীকার করেছেন,কিন্তু ফদক ও খাইবারের রাজস্ব এবং মদিনার কাছে কিছু জমি যে রাসুলের ব্যক্তিগত সম্পত্তির কথা অস্বীকার করতে পারবেন না। কাজেই আমিই রাসুলের একমাত্র উত্তরাধিকারী। কিন্তু আবুবকর নিজেই একটি হাদিস ব্যক্ত করে ফাতিমার উত্তরাধিকারীত্ব অস্বীকার করলেন এবং বললেন রাসুল বলেছেন, “ আমরা নবীগনের কোন উত্তরাধিকারী নেই;আমরা যা কিছু রেখে যাই তার সবই জাকাত হিসাবে বায়তুল”( বুখারী,৪র্থ খন্ড,পৃঃ৯৬;৫ম খন্ড,পৃঃ২৫, ২৬,১১৫,১১৭;৮ম খন্ড,পৃঃ১৮৫;নায়সাবুরি,৫ম খন্ড,পৃঃ১৫৩-১৫৫; তিরমিজী,৪র্থ খন্ড,পৃঃ১৫৭-১৫৮;তায়লিসী,৩উ খন্ড,পৃঃ১৪২-১৪৩; নাসাঈ, ৭ম খন্ড,পৃঃ১৩২;হাম্বল,৪র্থ খন্ড,পৃঃ৪,৬,৯,১০;শাফী,৬ষ্ট খন্ড,পৃঃ৩০০; সাদ,২য় খন্ড,পৃঃ৮৬-৮৭;তাবারী,১ম খন্ড,পৃঃ১৮২৫;বাকরী,২য় খন্ড,পৃঃ১৭৩-১৭৪)।
তিনি ছাড়া রাসুলের এহেন উক্তি কারো জানা ছিল না। এমনকি সাহাবীদের মধ্যে আর কেউ এমন কথা শুনেননি। জালালুদ্দিন আবদার রহমান সয়ুতী(৮৪৯/১৪৪৫-৯১১/১৫০৫) এবং শিহাবুদ্দিন ইবনে হাজর হায়তামী (৯০৯/১৫০৪-৯৭৪/১৫৬৭) লিখেছেনঃ রাসুলের(সাঃ) ইন্তেকালের পর তাঁর সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল। আবু বকর বলেছিলেন যে,রাসুল(সাঃ) নাকি তাকে বলেছিলেন, “ আমরা অর্থাৎ নবীদের কোন উত্তরাধিকারী নেই এবং আমরা যা কিছু রেখে যাই সবই জাকাত হয়ে যায়”।এ বিষয়ে অন্য কেউ কোন কিছুই জ্ঞাত ছিলেন না(সয়ুতী,পৃঃ৭৩;হায়তামী,পৃঃ১৯১)।
কোন বিচার বুদ্বিসম্পন্ন মানুষ একথা বিশ্বাস করতে পারে না যে,যারা রাসুলের ওয়ারিশ ছিলেন তাদের কাউকে কিছু না বলে ৩য় ব্যক্তির নিকট বলে গেছেন যে তাঁর কোন উত্তরাধিকারী নেই এবং সবচাইতে বিস্ময়কর বিষয় হলো এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্বন্ধ্বে সাহাবাগন অবহিত ছিলেন না। আর এটা তখনই প্রকাশ করা হলো যখন ফাতিমা ফদক ফেরত দেয়ার জন্য দাবী করলেন যা আর কারো জানা ছিল না। তাহলে কিভাবে এ হাদিসটি গ্রহনীয় হতে পারে। যদি একথা বলা হয় যে,হজরত আবু বকরের মহৎ মর্যাদার কারনে এ হাদিসটি নির্ভরযোগ্য তাহলে ফাতিমার সত্যবাদিতা,সততা ও মহৎ মর্যাদার কারণে কেন রাসুলের দান সংক্রান্ত তাঁর দাবী করা হলো না? তাছাড়া কেন আমিরুল মু’মিনিন ও উম্মে আয়মনের সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল? যদি ফাতিমার দাবীর জন্য আরো সাক্ষীর প্রয়োজনীয়তা থেকে থাকে তা হলো এ হাদিসটি প্রমাণের জন্য অবশ্যই সাক্ষীর দরকার রয়েছে। কারণ এ হাদিসটি উত্তরাধীকার সংক্রান্ত কোরানের নির্দেশের পরিপন্থী। নবীদের উত্তরাধিকার সম্বন্ধ্বে কোরানে বর্নিত হয়েছেঃ “ এবং সোলায়মান ছিল দাউদের উত্তরাধিকারী(২৭ঃ১৬)। সুতরাং তোমরা নিজের থেকে আমাকে একজন উত্তরাধিকারী দাও যে আমার উত্তরাধিকারী হবে এবং ইয়াকুবের পরিবারের উত্তরাধীকারী হবে-বললেন জাকারিয়া(১৯ঃ৫-৬)।
সুতরাং ফাতেমা (সা.আ.) ছিলেন হজরত মোহাম্মাদ (সা.) এর উত্তোরাধিকারীনী কেননা যদি এমনটিই নাই হতো তাহলে কোন উম্মুল মুমিনিনগণই রাসুল (সা.) থেকে কোন কিছুই পেতেন না। কিন্তু আমরা দেখতে পাই যে, রাসুল (সা.) স্ত্রীগণ রাসুল (সা.) এর অবশিষ্ট সম্পদ থেকে তাদের প্রাপ্য অংশ ফিরে পান। তাহলে কেন ফাতেমা (সা.আ.) তার প্রাপ্য হক্ব ফেদাক পেলেন না ? তাহলে কি বেহেস্তের নারীদের সর্দারের দাবী বা অভিযোগ অনর্থক বা মিথ্যা ছিল?
চলবে:

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন