মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরমাণু বিষয়ে বিরূপ মন্তব্যে ইরানের প্রতিক্রিয়া

মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরমাণু বিষয়ে বিরূপ মন্তব্যে ইরানের প্রতিক্রিয়া

মার্কিন, পরমাণু, কংগ্রেস, আমেরিকা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তেহরান,
গত ২৪ নভেম্বর জেনেভায় ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তি সইয়ের পর খুব বেশিদিন অতিক্রান্ত হয়নি। ২০ জানুয়ারি থেকে চুক্তি বাস্তবায়ন কাজ শুরু হলেও কোনো কোনো মার্কিন কর্মকর্তা ইরানের পরমাণু অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে নানা তালবাহানা করছেন। ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে তাদের বিরূপ মন্তব্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রচারণার খোরাকে পরিণত হয়েছে।

মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরমাণু আলোচনায় আমেরিকার আলোচক দলের সদস্য ওয়েন্ডি শেরম্যান গতকাল ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে যে বিরূপ মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। ওয়েন্ডি শেরম্যান মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির বৈঠকে কংগ্রেস সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেছেন, ইরান যদি পরমাণু চুক্তি মেনে চলে তাহলে বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ইরান যদি পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন করে তাহলে দেশটির বিরুদ্ধে সব রকম ব্যবস্থা নেয়ার পথ খোলা রয়েছে। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জনি পেসাকিও বলেছিলেন, আমেরিকা কোনো দেশের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকারকে স্বীকার করে না।

ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যানের বিরূপ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারজিয়ে আফখাম বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তারা এটা ভালো করেই জানেন যে, স্বেচ্ছাচারিতা, অপবাদ দেয়া এবং এমন সব বক্তব্য যা কেবল দেশের ভেতরে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগতে পারে আলোচনার টেবিলে সেসবের কোনো স্থান নেই। গত কয়েক বছর ধরে আমেরিকার এ ধরনের আচরণে তাদের কোনো লাভ হয়নি এবং এ বিষয়টি মার্কিন কর্মকর্তারাও স্বীকার করেন। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরো বলেছেন, ইরানের জনগণ জ্ঞান-বিজ্ঞানে তাদের অর্জিত সাফল্যকে কখনোই হাতছাড়া করবে না এবং বাইরের বলদর্পী ও স্বেচ্ছাচারী দেশগুলোর অন্যায় আবদারের কাছেও তারা মাথা নত করবে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তিনি এমন এক বাস্তবতা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন যা বহু বছর ধরে মার্কিন কর্মকর্তারা স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। বাস্তবতা হচ্ছে, ইরানের ব্যাপারে মার্কিন কর্মকর্তাদের এ বিদ্বেষী আচরণ পারস্পরিক অনাস্থা সৃষ্টির প্রধান কারণ এবং আলোচনার ক্ষেত্রে এটাই প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্বেষী আচরণের কারণে পাশ্চাত্যের প্রতি ইরানের কোনো আস্থা নেই। ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে মার্কিন কর্মকর্তাদের অন্যায় আচরণ এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

বর্তমানে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরমাণু আলোচনায় আস্থার পরিবেশ বজায় রয়েছে। কিন্তু কোনো কোনো মার্কিন কর্মকর্তা ইরানের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ কিংবা সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার যে হুমকি দিচ্ছেন তাতে ইরানের সঙ্গে পরমাণু বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। বর্তমানে পরমাণু বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে এমন এক ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়েছে যে, পারস্পরিক আস্থা সৃষ্টির জন্য সব পক্ষই এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে। কিন্তু ধারনা করা হচ্ছে, মার্কিন কর্মকর্তারা এ সুযোগকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

 

গত ২৪ নভেম্বর জেনেভায় ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তি সইয়ের পর খুব বেশিদিন অতিক্রান্ত হয়নি। ২০ জানুয়ারি থেকে চুক্তি বাস্তবায়ন কাজ শুরু হলেও কোনো কোনো মার্কিন কর্মকর্তা ইরানের পরমাণু অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে নানা তালবাহানা করছেন। ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে তাদের বিরূপ মন্তব্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর প্রচারণার খোরাকে পরিণত হয়েছে।

মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরমাণু আলোচনায় আমেরিকার আলোচক দলের সদস্য ওয়েন্ডি শেরম্যান গতকাল ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে যে বিরূপ মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। ওয়েন্ডি শেরম্যান মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির বৈঠকে কংগ্রেস সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেছেন, ইরান যদি পরমাণু চুক্তি মেনে চলে তাহলে বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ইরান যদি পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন করে তাহলে দেশটির বিরুদ্ধে সব রকম ব্যবস্থা নেয়ার পথ খোলা রয়েছে। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জনি পেসাকিও বলেছিলেন, আমেরিকা কোনো দেশের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকারকে স্বীকার করে না।

ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যানের বিরূপ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারজিয়ে আফখাম বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তারা এটা ভালো করেই জানেন যে, স্বেচ্ছাচারিতা, অপবাদ দেয়া এবং এমন সব বক্তব্য যা কেবল দেশের ভেতরে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগতে পারে আলোচনার টেবিলে সেসবের কোনো স্থান নেই। গত কয়েক বছর ধরে আমেরিকার এ ধরনের আচরণে তাদের কোনো লাভ হয়নি এবং এ বিষয়টি মার্কিন কর্মকর্তারাও স্বীকার করেন। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরো বলেছেন, ইরানের জনগণ জ্ঞান-বিজ্ঞানে তাদের অর্জিত সাফল্যকে কখনোই হাতছাড়া করবে না এবং বাইরের বলদর্পী ও স্বেচ্ছাচারী দেশগুলোর অন্যায় আবদারের কাছেও তারা মাথা নত করবে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তিনি এমন এক বাস্তবতা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন যা বহু বছর ধরে মার্কিন কর্মকর্তারা স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। বাস্তবতা হচ্ছে, ইরানের ব্যাপারে মার্কিন কর্মকর্তাদের এ বিদ্বেষী আচরণ পারস্পরিক অনাস্থা সৃষ্টির প্রধান কারণ এবং আলোচনার ক্ষেত্রে এটাই প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্বেষী আচরণের কারণে পাশ্চাত্যের প্রতি ইরানের কোনো আস্থা নেই। ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে মার্কিন কর্মকর্তাদের অন্যায় আচরণ এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

বর্তমানে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরমাণু আলোচনায় আস্থার পরিবেশ বজায় রয়েছে। কিন্তু কোনো কোনো মার্কিন কর্মকর্তা ইরানের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ কিংবা সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার যে হুমকি দিচ্ছেন তাতে ইরানের সঙ্গে পরমাণু বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। বর্তমানে পরমাণু বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে এমন এক ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়েছে যে, পারস্পরিক আস্থা সৃষ্টির জন্য সব পক্ষই এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে। কিন্তু ধারনা করা হচ্ছে, মার্কিন কর্মকর্তারা এ সুযোগকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন