‘চীন-মার্কিন সম্ভাব্য সংঘাত পরমাণু যুদ্ধে রূপ নিতে পারে’

‘চীন-মার্কিন সম্ভাব্য সংঘাত পরমাণু যুদ্ধে রূপ নিতে পারে’


উদীয়মান অর্থনীতির দেশ চীনের সঙ্গে সামরিক সংঘাতে যাওয়ার গভীর আগ্রহ দেখাচ্ছে মার্কিন সরকার। আর এ দুই পরাশক্তির মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে তা পরমাণু যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।

এ মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট মার্কিন পরমাণু বিষয়ক বিশ্লেষক ডন ডেবার। তিনি ইরানের স্যাটেলাইন নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভিকে বলেছেন, “যদি আমেরিকা ও চীন সত্যি সত্যি যুদ্ধে জড়ায় তাহলে তা প্রচলিত যুদ্ধে সীমিত থাকবে না। চীন ও আমেরিকার মধ্যে কিংবা চীন ও রাশিয়ার মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। রাশিয়া হয় চীনের পক্ষ নিয়ে অথবা এ অঞ্চলে নিজের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।”

আগামী ছয় বছরের মধ্যে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সম্ভাব্য যুদ্ধে চীনের কাছে আমেরিকা হেরে যেতে পারে বলে একজন রুশ সমরবিদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করার পর ডেবার এ মন্তব্য করলেন।

গত সপ্তাহে ভয়েস অব রাশিয়ায় প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে রুশ বিশ্লেষক ভ্যাসিলি কাশিন বলেন, নিজের সেনাবাহিনীতে চলমান সংস্কার আনার পর চীন ২০২০ সাল নাগাদ পূর্ব এশিয়ায় স্থানীয় পর্যায়ের ছোট ছোট যুদ্ধে মার্কিন বাহিনীকে পরাজিত করতে পারবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমেরিকা অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছে। এ কারণে আমেরিকা ভবিষ্যত যুদ্ধে পরাজয় মেনে নেবে। রুশ এ গবেষক আরো বলেন, পরমাণু অস্ত্র ছাড়াই মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে চীন অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত করতে পারবে। ক্যাশিন বলেন, পূর্ব এশিয়ার মার্কিন বাহিনী যে ঘাঁটি গড়ে তুলেছে তা নিতান্তই চীনকে লক্ষ্য করে এবং চীনও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে, গত নভেম্বর মাসে চীন-মার্কিন যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- চীন দিন দিন সামরিক শক্তি বাড়িয়েই চলেছে। চীন এখন এ অঞ্চলের মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে আঘাত করতে সক্ষম।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন