মুনাজাতে রাগেবীন
মুনাজাতে রাগেবীন
হে আল্লাহ! যদিও তোমার রাস্তায় আমার পাথেয় ও নেক আমল খুবই কম। তবুও আমি তোমার নিকট আশাবাদী। হে আল্লাহ! আমি যে তোমার প্রতি ভরসা রাখি এবং তোমার রহমতের আশা রাখি আমার এ আশা তুলনামূলকভবে অত্যান্ত বেশী। হে আল্লাহ! আমার কৃত অপরাধগুলো আমাকে ভীত করে আমি তোমার শাস্তির ভয় পাই, তবুও আমি তোমার নীরাপত্তা দানের প্রতি আশাবাদী। আমি তোমার প্রতি আশাবাদী যে তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিবে। হে আল্লাহ! আমার কর্ম অনুযায়ি আমার শাস্তি কঠিন হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তারপরেও আমি তোমার করুণা এবং তোমার দয়ার প্রতি বিশ্বাস রাখি। হে আল্লাহ! আমি তোমার সানিধ্যে অর্জনের ক্ষেত্রে অনেক সময় আত্ম ভোলা হয়ে থাকি। আমি অনেক সময় তোমাকে ভুলে থাকি কারণ এ পৃথিবী ও শয়তান আমাকে ধোকা দেয় । কিন্তু তুমিতো আমাকে সচেতন কর। তুমিতো আমাকে তোমার ইবাদতের প্রতি আহবান কর। হে আল্লাহ! আমি গুনাহের ক্ষেত্রে কখনও কখনও বাড়াবাড়ি করে থাকি। যতটুকু গুনাহ থেকে আমার বিরত থাকা উচিত তার চেয়ে বেশি গুনাহ আমি করে থাকি। তারপরেও আমি তোমার দয়া ও মেহেরবাণীর প্রতি আশাবাদী, যে তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিবে। হে আল্লাহ! আমি তোমার সেই পবিত্র স্বত্তার এবং তোমার সেই পবিত্র নূরের দিকে আমি চেয়ে আছি। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট কাকুতি মিনতি করি। আমি তোমার নিকট অত্যান্ত বিনয়ের সাথে আবেদন করি। হে আল্লাহ! তুমি তোমার যে সৎ বান্দাদের প্রতি যে করুণা কর এবং তোমার যে দয়া আছে সেই দয়ার দরিয়াতে আমাকে নিয়ে যাও। হে আল্লাহ! আমি আশা রাখি তুমি তোমার অন্যান্য বান্দাদেরকে যেভাবে ভালবাস আমাকেও সেভাবে ভালবাসবে। হে আল্লাহ! তোমার পুরুষ্কার, নৈকট্য এবং করুণা কত সুন্দর। আমি তোমার সেই রহমতের দৃষ্টি থেকে উপকৃত হওয়ার আশায় রয়েছি। হে আল্লাহ! আমি তোমার সেই দয়ার প্রতীক্ষা আছি যে তুমি আমাকে তার অর্ন্তভূক্ত করবে। হে আল্লাহ! আমিতো তোমার সেই করূণার দিকে চেয়ে আছি যে করুণার বৃষ্টি মানুষের উপরে বর্ষিত হয়। হে আল্লাহ! এটা আমারই দোষ যে আমি তোমার নৈকট্য অর্জন না করে দূরে সরে গেছি। কিন্তু আমি আজ তোমার দরজায় এসেছি এবং আমি তোমার প্রতি আশাবাদী। হে আল্লাহ! আমি তোমার উত্তম প্রতিদানের প্রতি আশাবাদী। হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতি এমনভাবে করূণা কর যেন আমি তোমার করুণার সাগরে ডুবে থাকতে পারি। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ভিক্ষা চায়। তুমি কখনও আমাকে নীরাশ করো না, আমি তোমার নিকট বড় আশা করে এসেছি, তুমি আমার সে আশা পূরণ করে দাও। যখন কেয়ামতের দিন মানুষদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। সে সময়ও বান্দারা খোদার দয়ার মুখাপেক্ষি থাকবে তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে হে বান্দা! কেন তুমি আমার দিকে তাকিয়ে আছ? সে বান্দা বলবেঃ হে আল্লাহ! আমি জানি তোমার করুণা ও দয়া অসীম । আমি আশা করিনি যে জাহান্নামে যাব বরং আমি আশা করেছিলাম যে, তোমার কাছ থেকে ক্ষমা পাব এবং তোমার রহমতের অন্তর্ভূক্ত হব। তখন আল্লাহ নির্দেশ দিবেন যে আমার বান্দাকে বেহেস্তের দিকে নিয়ে যাও। সে আমার রহমতের আশায় ছিল।
(চলবে)
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন