বাহরাইনে পূর্ণ হল রাজতন্ত্র-বিরোধী গণবিক্ষোভের ১০০০ দিন

বাহরাইনে বৈষম্য ও রাজতান্ত্রিক শাসনের অবসান এবং গণতন্ত্রসহ নাগরিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠার দাবিতে সেদেশের গণ-বিক্ষোভের এক হাজারতম দিনে বিশ হাজারেরও বেশি নাগরিক গণ-প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়েছেন।

গতকাল (শুক্রবার) রাজধানী মানামায় প্রতিবাদীরা দেশটির সংকটের সর্বদলীয় রাজনৈতিক সুরাহার দাবি জানান।

প্রতিবাদীরা 'অবমাননা মানি না' বলে শ্লোগান দেন। সরকার বিরোধী প্রধান রাজনৈতিক জোটগুলোর ডাকে এই গণ-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

বাহরাইনে ২০১১ সালের মধ্য-ফ্রেব্রুয়ারিতে আলে খলিফা সরকারের পতনের দাবিতে গণ-বিক্ষোভ শুরু হয়। একই বছরের মার্চ মাসে দেশটির শান্তিপূর্ণ গণ-বিক্ষোভ নৃশংসভাবে দমন করতে ও স্বৈরতান্ত্রিক খলিফা সরকারকে সহায়তা দেয়ার জন্য সেখানে সেনা পাঠায় সৌদি আরব ও আরব আমিরাত।

প্রতিবাদীদের ওপর সরকারি দমন অভিযানে ৪০ জনেরও বেশি নিহত হয় এবং আটক করা হয় শত শত নাগরিককে।

মানবাধিকার সংস্থা 'ফিজিশিয়ান ফর হিউম্যান রাইটস' বলেছে, বাহরাইনের বহু চিকিতসক ও নার্সকে বন্দি রাখা হয়েছে এবং তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে বলেও সংগঠনটি দাবি করেছে। সরকারের পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী যে প্রতিবাদীদের ওপর নানা ধরনের নির্যাতন চালিয়েছে তার প্রমাণ রয়েছে বলেও সংগঠনটি উল্লেখ করেছে।

নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা বলছেন, বাহরাইনের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ শিয়া মুসলমান হওয়ায় পাশ্চাত্য ও রাজতান্ত্রিক আরব সরকারগুলোর কাছে সেখানকার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন মোটেও গুরুত্ব পায়নি। বাহরাইনে রয়েছে আমেরিকার পঞ্চম নৌ-বহরসহ মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম মার্কিন নৌ-ঘাঁটি।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান