ইসরাইলকে ইরানে হামলা চালাতে বললেন জন বোল্টন

ইরানের ওপর হামলা চালাতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন বোল্টন।

তিনি ডাব্লিউএবিসি রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, “ইসরাইল ইরানকে পরমাণু বোমা তৈরি করতে দেবে কি-না সে বিষয়ে এখনই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে; কারণ, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে ফেললে তা হবে তেলআবিরের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। এর আগে যেভাবে ইসরাইল তার দু’টি শত্রু রাষ্ট্রের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করে দিয়েছে এবারো তার উচিত হবে ইরানে সে ধরনের হামলা করা।”

জন বোল্টন বলেন, “আমার মনে হয় না ইসরাইলের হাতে যথেষ্ট সময় আছে। খোলাখুলিভাবে বলতে গেলে, তারা বহু বছর আগে একাধিকবার এ কাজ করেছে।”

ইরান যখন তার শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে আরেক দফা বৈঠক করতে যাচ্ছে তখন সাবেক মার্কিন কূটনীতিক বোল্টন তেলআবিবের প্রতি এ আহ্বান জানালেন। আগামী ৭ ও ৮ নভেম্বর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও ব্রিটেন এবং জার্মানীকে নিয়ে গঠিত ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের দু’দিনব্যাপী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বোল্টন ওই সাক্ষাতকারে ইরানের সঙ্গে সংলাপে বসার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “যদি ইসরাইলে এমন কেউ থেকে থাকেন যিনি আশা করতেন আমেরিকা ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে নিজের সামরিক শক্তি প্রয়োগ করবে তিনি এখন তার সে ধারণাকে পাল্টাতে বাধ্য হবে। ওবামা প্রশাসনের আমলে আর সেটি ঘটছে না। আমি আবারো বলছি, ওবামা প্রশাসন ইরানে হামলা করছে না।”

বোল্টনের এ মন্তব্যের কয়েকদিন আগে সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা বলেছিলেন, আমেরিকার আন্তর্জাতিক নীতিকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বার্থে ইরানের ওপর ওয়াশিংটনের হামলা করা উচিত। প্যানেট্টা বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইরানের ওপর ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করা সত্ত্বেও সামরিক হামলার পরিকল্পনা বাদ দেয়া ঠিক হবে না।

ইরান বারবার বলছে, বিদ্যুত উতপাদন ও চিকিতসাক্ষেত্রে ব্যবহারের লক্ষ্যে দেশটি পরমাণু কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এ কর্মসূচি আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র তত্ত্বাবধানে ও সংস্থাটির সার্বক্ষণিক নজরদারিতে পরিচালিত হচ্ছে বলেও তেহরান উল্লেখ করছে। কিন্তু আমেরিকা, ইসরাইল ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা অহেতুক ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টার জন্য অভিযুক্ত করছে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান