ইমাম জাওয়াদ (আ.) এর আধ্যাতিক, নৈতিক এবং জ্ঞানগর্ভ বাণী -৩
ইমাম জাওয়াদ (আ.) এর আধ্যাতিক, নৈতিক এবং জ্ঞানগর্ভ বাণী -৩
১১- ইমাম জাওয়াদ (আ.) বলেছেনঃ যদি কেউ কোন কাজ না জেনে বুঝে সম্পাদন করে, তাহলে তার সুফলের চেয়ে কুফল বেশী।
১২- যদি কেউ তার নাফসের অনুসরণ করে তাহলে সে তার শত্রুর কাংঙ্খিত আশাকে পূর্ণ করলো।
১৩- যদি কেউ মানুষের কল্যাণ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখে তাহলে অস্বচ্ছন্দতা তার সঙ্গী হয় আর যদি কেউ কাজ করতে না জানে তাহলে তার জন্য সকল দরজা বন্ধ হয়ে যায়, আর যদি কেউ কোন ধরণের চিন্তা ভাবনা ছাড়ায় কোন কাজ সম্পাদন করে তাহলে সে পতনের মুখে পতিত হয়। (বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৬৮, পৃষ্ঠা ৩৪০, হাদীস ১৩)
১৪- খোদার প্রতি ভরসা হচ্ছে পৃথিবীর অতিমূল্যবান জিনিষের চেয়েও বেশী মূল্যবান এবং উচ্চাভিলাষের সিড়ি স্বরূপ।
১৫- বাহ্যিকভাবে খোদর প্রেমিক কিন্তু আন্তরিকভাবে খোদার শত্রু। (অর্থাৎ বাহ্যিকভাবে নিজেকে মুমিন হিসেবে উপস্থাপন করা কিন্তু আন্তরিকভাবে খোদার প্রতি শত্রুতা পোষণ করা আর এটা হচ্ছে খোদার সাথে মুনাফেকি করা)
১৬- মানুষের কাছে অমুখাপেক্ষি থাকায় হচ্ছে মুমিনের সম্মানের কারণ। (বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৭৫, পৃষ্ঠা ১০৯, হাদীস ১২)
১৭- ইমাম জাওয়াদ (আ.) বলেছেনঃ যদি কেউ আমার বাবার (ইমাম রেযা) জিয়ারতের জন্য যায় এবং এ কারণে সে বৃষ্টি, গরম অথবা ঠান্ডা সহ্য করে তাহলে খোদা তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন।
১৮- যদি কেউ অবৈধ চাহিদার প্রতি ধাবিত হয় তাহলে সে অবশ্যই ভুলে পতিত হবে।
১৯- সময় এবং কালের আবর্তনে মানুষের অনেক গোপন কাজ স্পষ্ট হয়ে যায়।
২০- ইমাম জাওয়াদ (আ.) বলেছেনঃ যে কেউ আমার ফুফু (হজরত মাসুমা (আ.) ) আগ্রহের সাথে এবং মারেফতের সাথে যিয়ারত করবে সে হবে জান্নাতবাসীদের একজন।(কামেলুয যিয়ারাত, পৃষ্ঠা ৫৩৬, হাদীস ৮২৭)
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন