কোমল পানীয় খেলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়ে; ফলের রসে দোষ নেই’

কোমল পানীয় খেলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়ে; ফলের রসে দোষ নেই’

দৈনিক এক বোতল বা তার চেয়ে বেশি কথিত কোমল পানীয় যারা খাচ্ছেন এবার তাদের সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। চিনিতে ভরপুর এ সব কথিত কোমল পানীয় গ্রহণের সঙ্গে শেষ জীবনে ডায়াবেটিস হওয়ার যোগসূত্র রয়েছে বলে নতুন এক চিকিতসা সমীক্ষায় দেখা গেছে। ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের পরিচালিত এ সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ডায়াবেটোলজিয়া নামের একটি স্বাস্থ্য সাময়িকীতে।

এতে বলা হয়েছে, মাসে যারা এক বোতল বা তার চেয়ে কম কোক-ফানটা-পেপসি অর্থাত কথিত কোমল পানীয় পান করেন তাদের তুলনায় যারা দৈনিক কোমল পানীয় পান করেন না তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা পাঁচ গুণ বেশি। আমেরিকায় এর আগে এ সব কথিত কোমল পানীয় নিয়ে গবেষণায় যে সব ফলাফল পাওয়া গেছে তার সঙ্গে নতুন সমীক্ষার ফলাফলের মিল রয়েছে। নতুন এ সমীক্ষা চালানো হয়েছে, ব্রিটেন, জার্মানি, ডেনমার্ক, ইতালি, স্পেন, সুইডেন, ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডে।

খাদ্য ও ক্যান্সারের সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজে বের করার জন্য মূলত এ সমীক্ষা চালানো হয়। এ চিকিতসা সমীক্ষা চালানোর জন্য সাড়ে তিন লাখ ব্যক্তিকে তাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে নানা প্রশ্ন করা হয়।

সমীক্ষার ফলাফলে বলা হয়, চিনিযুক্ত কোমল পানীয় গ্রহণ করলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বাড়ে। প্রতিদিন এক বোতল কোমল পানীয় গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশংকাও আরো বাড়ছে বলে এ সমীক্ষায় দেখা গেছে। এ কথাগুলো তুলে ধরেন নতুন এ সমীক্ষার প্রধান গবেষক লন্ডন ইমপেরিয়াল কলেজের ডোরা রোমগুয়েরা।

অবশ্য, বিশুদ্ধ ফলের রস গ্রহণের সঙ্গে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশংকার কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি এ গবেষণায়।

প্রতিবেদনের উপসংহারে চিনিযুক্ত কোমল পানীয় সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর কী ধরণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলছে সে বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানান ডোরা ও তার সহ গবেষকরা।
সূত্রঃ ইন্টারনেট

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন