সূরা নূরের ফযিলত
সূরা নূরের ফযিলত
১- যদি কেউ সূরা নূরের তেলাওয়াত করে তাহলে খোদা তাকে দুনিয়ার সকল মুমিন ও মুমিনাতের যারা মারো গেছে এবং যারা জিবীত রযেছে তাদের সমপরিমাণ সওয়াব দান করবেন।
২- একজন বাবার দ্বায়িত্ব হচ্ছে সে যেন নিজের মেয়েকে সূরা নূরের শিক্ষা দান করে।
৩- ইমাম আলী (আ.) বলেছেন যে তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে সূরা নূরের শিক্ষা দাও কেননা তাতে অনেক ভাল নসীহত রয়েছে।
৪- ইমাম সাদেক্ব (আ.) বলেছেন তোমরা তোমাদের সম্পদ এবং নিজেদের যৌন শক্তিকে সূরা নূরের মাধ্যমে সংরক্ষণ কর। যদি কেউ উক্ত সূরাটি পাঠ করে তাহলে তার ঘরের সবাই জেনা করা থেকে বিরত থাকবে এবং তার মৃত্যুর সময় খোদা তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তাকে প্রেরণ করবেন যারা তার জানাযায় শরীক হবে এবং তার জন্য দোয়া ও আসতাগফার করবে।
৫- সূরা নূরের ৪০ নং আয়াতটি পাঠ করলে পলাতক ব্যাক্তি ফিরে আসে।
৬- সূরা নূরের ৪০ নং আয়াতটি লিখে এবং তা ধুয়ে তার পানি চোখে লাগানো হয় তাহলে তার চোখের দূর্বলতা ভাল হয়ে যাবে।
৭- ইমাম সাদিক (আ.) থেকে বর্ণিত যে কেউ উক্ত সূরাটি পাঠ করবে সে মানুষের দেয়া অপবাদ থেকে রক্ষা পাবে।
৮- রাসুল (সা.) থেকে বর্ণিত যে কেউ সূরা নূর পাঠে করবে আল্লাহ তাকে ১০টি সৎ কাজের সওয়াব দান করবেন যা সমস্ত মুমিন ও মুমিনাতের সৎ আমলের সমপরিমাণ।
৯- আব্দল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত যে কেউ সূরা নূরের তেলাওয়াত করবে তার চোখের জ্যোতি কখনও কম হবে না।
১০- যদি কারো চোখে ব্যাথ্যা হয় তাহলে সে যদি সূরা নূরের ৩৫ নং আয়াতটি تا "نور علی نور" পর্যন্ত পাঠ করে এবং নিজের চোখে ফুক দেয় এবং এই আমলটি তিন দিন ধরে সম্পাদন করে তাহলে তার চোখের ব্যাথ্যা ভাল হয়ে যাবে ।
১১- আয়াতে নূরকে যদি কেউ "بکل شیء علیم" পর্যন্ত পাঠ করে তাহলে ইমাম মাহদী (আ.) যিয়ারত হবে।
১২- যদি কেউ এশার নামাজের পরে আয়াতে নূরটি ২৫৬ বার পাঠ করে তাহলে তার রিযিক ও আধ্যাতিকতা বৃদ্ধি পাবে।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন