হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর জন্মদিবস পালন মুসলিম বিশ্বের একটি প্রাচীন রীতি
হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর জন্মদিবস পালন মুসলিম বিশ্বের একটি প্রাচীন রীতি
কুয়েতের শিয়া নেতা এক বিবৃতিতে হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর জন্মদিবস পালনের বিরুদ্ধে কিছু কিছু ওয়াহাবী মুফতির ফতওয়ার জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন : হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর জন্মদিবস পালন কোন ইবাদতও নয় আবার মহান আল্লাহর প্রতি শিরকও নয় বরং এটা হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের মুসলমানদের একটি প্রাচীন সুন্নত (রীতি-প্রথা)।
কুয়েতের শিয়া নেতা সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ বাকের আল মোহরী, হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর পবিত্র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে, বিশ্বের সমস্ত প্রান্তে ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের কথা উল্লেখ করে, হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর জন্মদিবসকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দিন হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন : হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর জন্মদিবস পালন করা ইবাদতও নয় এবং মহান আল্লাহর প্রতি শিরকও নয়। গোঁড়া ও মূর্খ ব্যক্তিরা ইবাদত ও কারো সম্মানার্থে অনুষ্ঠানের আয়োজন এ দুটি বিষয়ের মাঝে বিদ্যমান পার্থক্য বোঝে না।
তিনি বলেন : তারা মনে করে ইবাদত এবং আল্লাহর মনোনীত বান্দাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা উভয়ই একই জিনিস। আর তারা তাদের এ আকিদার কারণে পবিত্র রবিউল আওয়াল মাসে গৃহীত মিলাদ-মাহফিল ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে হারাম হিসেবে আখ্যায়িত করে।
দীর্ঘযুগ ধরে মুসলিম ওলামাদের ইজমা ও ইসলামি সমাজের সকল শ্রেনীর লোক এ মাহফিলের আয়োজনের বিষয়টিকে সত্যায়িত করেছেন –এ কথা উল্লেখ করে জনাব আল মোহরী বলেন : মহানবী (স.) এর অধিক স্মরণের –যেভাবে মহান আল্লাহ বলেছেন : ওয়া রাফা’না লাকা যিকরাক- অর্থ হচ্ছে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব, গুণাবলী, তাঁর মাহাত্ম এবং জিহাদের কথা স্মরণ করা।
তিনি তার ঐ বিবৃতিতে ‘তারিখুল খামিস’ ও ‘আল মাওয়াহেব আল দ্বীনিয়্যাহ’ গ্রন্থদ্বয়ের কথা উল্লেখ করে বিগত শতাব্দীগুলোতে হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর স্মরণে আনন্দ মাহফিল উদযাপনের দৃষ্টান্ত এবং তার হারাম না হওয়ার বিষয়ে দলীল উপস্থাপন করে লিখেছেন : সহিহ মুসলিমের দ্বিতীয় খণ্ডের ৮১৯ নং পৃষ্ঠায় (আরবী সংস্করণ অনুযায়ী) কিতাবুস সাওম (রোজা) –এ বর্ণিত হয়েছে যে, আল্লাহর রাসুল (স.) এর নিকট সোমবারের রোজা [মুস্তাহাব হওয়ার কারণ] সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন : এদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এদিন আমার উপর [পবিত্র কুরআন] অবতীর্ণ হয়েছিল।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন