কাজাখস্তানে সিরিয়া বিষয়ক তৃতীয় সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে

আগামী মঙ্গল ও বুধবার কাজাখস্তানে সিরিয়া বিষয়ক তৃতীয় সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলনে ইরান, তুরস্ক ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা ছাড়াও সিরিয়ার সরকার ও বিরোধীদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন।

কাজাখস্তানে সিরিয়া বিষয়ক তৃতীয় সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে

আগামী মঙ্গল ও বুধবার কাজাখস্তানে সিরিয়া বিষয়ক তৃতীয় সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলনে ইরান, তুরস্ক ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা ছাড়াও সিরিয়ার সরকার ও বিরোধীদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন।

কাজাখস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সিরিয়া বিষয়ক তৃতীয় সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি স্টিফ্যান ডি মিস্তোরা এবং আমেরিকা ও জর্দানের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, কাজাখস্তান সম্মেলনে সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি মেনে চলা, সেদেশে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা এবং জেনেভায় অনুষ্ঠেয় সিরিয়া বিষয়ক আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে কথাবার্তা হবে।

এর আগে গত ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি ইরান, তুরস্ক ও রাশিয়ার উদ্যোগে এবং সিরিয়ার  সরকার ও সশস্ত্র বিদ্রোহী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সব বৈঠকের পর সিরিয়ায় অনেকটাই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কাজাখস্তান বৈঠকে তিনটি বিষয় অগ্রাধিকার পাবে। প্রথমত, কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে আরো শক্তিশালী করা। কারণ সিরিয়ার কৌশলগত আলেপ্পো শহর মুক্ত করার পর দায়েশ ও আন্‌ নুসরা ছাড়া অন্য সব সশস্ত্র গ্রুপের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব  হয়েছে এবং সিরিয়ানদের মধ্যে আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বর্তমানে সিরিয়ার দামেস্ক, হোমস্‌, হামা, আলেপ্পো, লাজকিয়ে, তারতুস ও আল সোয়াইদা এলাকা পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

কাজাখস্তান আলোচনার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হচ্ছে, সিরিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা বা গ্রহণযোগ্যতা কোন্‌ কোন্‌ গ্রুপের রয়েছে সেটা নির্ধারণ করা যাতে করে সিরিয়ানরা নিজেরা নিজেরাই সংকট নিরসনে অবদান রাখতে পারে। সিরিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টিফ্যান ডি মিস্তোরা এ পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। কারণ সিরিয়ানদের মধ্যে সংলাপ শুরুর জন্য এই পদক্ষেপের বিকল্প আর কিছু নেই।

তৃতীয় বিষয়টি হচ্ছে, সিরিয়া সমস্যা সমাধানে সহায়তার জন্য ইরান ও রাশিয়ার কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় তুরস্কের অন্তর্ভুক্তি। গত জুলাই মাসে তুরস্কে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের ঘটনার পর আঙ্কারার নীতিতেও এর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। কারণ তুরস্ক সবসময়ই সিরিয়ায় পাশ্চাত্যের হস্তক্ষেপের প্রতি সমর্থন দিয়ে এসেছে। কিন্তু এখন খোদ তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তাই সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে হুমকির মুখে পড়েছে।

তারপরও তুরস্ক সরকার সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয়  আল বাব এলাকা দখলের জন্য ব্যাপক সেনা অভিযান চালাচ্ছে। অন্যদিকে কাজাখস্তান বৈঠক ব্যর্থ করে দেয়ার জন্যও কোনো মহল ষড়যন্ত্র করছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হবে বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন।

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন