বৈষম্য হ্রাস এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ: শেখ হাসিনা

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বুধবার দিবাগত রাতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) মূল সেশনে দেয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, বৈষম্য হ্রাসের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কৃষির ওপর গুরুত্বারোপের পাশাপাশি কৃষক, জেলে ও এ ধরণের পেশার মানুষদে

বৈষম্য হ্রাস এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ: শেখ হাসিনা

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বুধবার দিবাগত রাতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) মূল সেশনে দেয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, বৈষম্য হ্রাসের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কৃষির ওপর গুরুত্বারোপের পাশাপাশি কৃষক, জেলে ও এ ধরণের পেশার মানুষদের উন্নয়ন ও নারী উন্নয়নকে আরো গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতেও কাজ করছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের দেশগুলোর ক্ষেত্রে কৃষি খাতে গুরুত্বারোপের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। এভাবে কৃষকেরা তাদের কাজে আরো দক্ষ হয়ে ওঠেন। অর্থনীতির চাকা সচল রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আরো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

একই দিন দাভোসে কংগ্রেস সেন্টারে ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের প্লেনারি সেশনে শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের অস্তিত্বের বিষয়। বাংলাদেশ সবচেয়ে কম গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ করে অথচ আমাদেরই সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয়। লাখ লাখ মানুষ নীরবে স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হচ্ছে।

সুখী সমৃদ্ধ বিশ্ব গড়তে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে দায়িত্ব ভাগ করে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমৃদ্ধির জন্য বিশ্ব সম্প্রদায় দায়িত্ব ভাগ করে নেবে আশা করে বাংলাদেশ প্যারিস চুক্তি অনুসমর্থন করেছে। স্বল্প আয়ের ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে রক্ষা করার জন্য প্যারিস চুক্তিকে অবশ্যই সামনে এগিয়ে নিতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে নিজস্ব সম্পদ থেকে আমরা ৪০০ মিলিয়ন ডলারের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করি। ২০১২ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা কার্বন নিঃসরণ সীমা অতিক্রম করবো না। আমরা কম কার্বন নিঃসরণ উন্নয়নের দিকে যাই। আমাদের উৎপাদন ক্ষেত্রকে আমরা ‘গ্রিন’ প্রযুক্তিতে রূপান্তর করি।

সৌর বিদ্যুতের প্রসারে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে গুরুত্ব দিয়েছি। বাংলাদেশে সাড়ে ৪ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম বসানো হয়েছে। ১৫ লাখ মানুষ এখন সৌর বিদ্যুৎ পাচ্ছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোলার জাতি হিসেবে উঠে আসবে।

শেখ হাসিনা বলেন, কৃষিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত করার চেষ্টা করছি। চাপ সহনশীল জাত উন্নতকরণ ও উদ্ভাবন, পানি সহিষ্ণু ধান উৎপাদন, সৌর বিদ্যুৎ ভিত্তিক সেচ পাম্প চালু করছি।

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন