শোকসমুদ্রে পরিণত হলো রাফসানজানির দাফন অনুষ্ঠান

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নীতি নির্ধারণী পরিষদের প্রধান আয়াতুল্লাহ আলী আকবর হাশেমি রাফসানজানির দাফন অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। রাজধানী তেহরানের দক্ষিণাঞ্চলে ‌ইসলামি বিপ্লবের নেতা হযরত ইমাম খোমেনীর মাযার প্রাঙ্গনে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।

শোকসমুদ্রে পরিণত হলো রাফসানজানির দাফন অনুষ্ঠান

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নীতি নির্ধারণী পরিষদের প্রধান আয়াতুল্লাহ আলী আকবর হাশেমি রাফসানজানির দাফন অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। রাজধানী তেহরানের দক্ষিণাঞ্চলে ‌ইসলামি বিপ্লবের নেতা হযরত ইমাম খোমেনীর মাযার প্রাঙ্গনে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।

এর আগে, গতকাল (রোববার) সকাল দশটায় তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়াতুল্লাহ রাফসানজানির নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। সেখান থেকে তার মরদেহ নেয়া হয় ইমাম খোমেনীর মাযার প্রাঙ্গনে। সেখানে লাখ লাখ মানুষের ঢল নামে; দাফন অনুষ্ঠান পরিণত হয় কার্যত জনসমুদ্রে। এতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, বিচার বিভাগের প্রধান এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা এবং সর্বস্তরের জনগণ দাফন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এর মাধ্যমে ইরানের জনগণ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক গ্রুপের মধ্যে দৃঢ় ঐক্যের প্রমাণ ফুটে উঠেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে মন্তব্য করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টেলিভিশন চ্যানেল আয়াতুল্লাহ রাফসানজানির দাফন অনুষ্ঠান সরাসির সম্প্রচার করে।

আয়াতুল্লাহ রাফসানজানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, তিনি পুরনো বন্ধুকে হারিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন, “আয়াতুল্লাহ রাফসানজানির মতো আর কোনো ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি নেই যিনি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এত বেশি অভিজ্ঞতা বিনিময় করে তাঁকে সহযোগিতা করেছেন।”   

এদিকে, বিশ্ব নেতাদের পক্ষ থেকে আয়াতুল্লাহ রাফসানজানি, ইরানের সরকার ও জনগণের জন্য শোক প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে শোক প্রাকশ করেছেন লেবাননের জাতীয় সংদের স্পিকার নাবিহ বারি। শোক প্রকাশ করেছেন ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি ও সেখানকার সংসদের স্পিকার ইউসুফ মোহাম্মাদ সাদিক, আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেল আজিজ বুতেফলিকা, কিউবার প্রেসিডেন্ট রিউল ক্যাস্ত্রো, জর্দানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ, আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট আলাসানে ওয়াত্তারা ও আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কারেন কারা পেটিয়ান। এছাড়া, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জোশ আর্নেস্ট শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

আয়াতুল্লাহ রাফসানজানির মৃত্যুর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইরানি দূতাবাসে শোক বই খোলা হয়েছে। এতে সই করছেন বিশ্বের বহু গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও ব্যক্তিত্ব। এছাড়া, দুই একদিনের মধ্যে আরো বিভিন্ন দেশে ইরানি দূতাবাসে শোক বই খোলা হবে।

গত রোববার সকালের দিকে আয়াতুল্লাহ রাফসানজানি বুকে ব্যথা অনুভব করলে তেহরানের শোহাদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি ওই দিনই সন্ধ্যার দিকে ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন