'ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সৌদি চেষ্টা মুসলিম উম্মার পিঠে ছুরি মারার শামিল'

তেহরানে ইরানের কয়েকটি প্রদেশ থেকে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থীর উদ্দেশে দেয়া ভাষণে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী মন্তব্য করেন যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সৌদি প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি বলেছেন, এর মাধ্যমে মুসলিম জাতিগুলোর পি

'ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সৌদি চেষ্টা মুসলিম উম্মার পিঠে ছুরি মারার শামিল'

সোমবার তেহরানে ইরানের কয়েকটি প্রদেশ থেকে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থীর উদ্দেশে দেয়া ভাষণে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী মন্তব্য করেন যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সৌদি প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি বলেছেন, এর মাধ্যমে মুসলিম জাতিগুলোর পিঠে ছুরি মারতে চায় সৌদি আরব।

তিনি বলেন, সৌদি সরকারের এ প্রচেষ্টা একটি বড় ধরনের অপরাধ। কিন্তু এই মহা অপরাধে মার্কিনীদের ভূমিকাও কম নয়। কারণ, সৌদি আরব মার্কিন সরকারের পদলেহী এবং  রিয়াদ সাধারণত ওয়াশিংটনের কথায় ওঠাবসা করে।

ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের ঘরবাড়ি, হাসপাতাল ও স্কুলে হামলা চালিয়ে সৌদি আরব হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করছে।  নারী ও শিশুসহ বেসামরিক ইয়েমেনি নাগরিকের রক্ত ঝরানো সৌদি সরকারের আরেকটি বড় অপরাধ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ভাষণের অন্য অংশে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে তার দেশের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা প্রমাণ করেছে, মার্কিন সরকারকে বিশ্বাস করা যায় না। তিনি বলেন, পরমাণু আলোচনায় উপস্থিত কর্মকর্তারা এখন একথা বলতে বাধ্য হচ্ছেন যে, মার্কিন সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে না। তারা ইরানের সঙ্গে অত্যন্ত নরম সুরে ও মিষ্টি ভাষায় কথা বললেও অন্যান্য দেশের সঙ্গে ইরানের অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার পথে বাধা সৃষ্টি করছে।

জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্যদেশ ও জার্মানিকে নিয়ে গঠিত ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই পরমাণু সমঝোতা সই করে ইরান। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি এ সমঝোতা বাস্তবায়ন শুরু হয়। সমঝোতা অনুযায়ী ইরান নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেও মার্কিন নেতৃত্বাধীন ছয় জাতিগোষ্ঠী কার্যত এখনো তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আজ এ সম্পর্কে বলেন, পরমাণু সমঝোতা আরেকবার প্রমাণ করলো, মার্কিনীদের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো লাভ নেই। তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করে না এবং বিশ্বাস ভঙ্গ করতে ওস্তাদ। সর্বোচ্চ নেতা বলেন, বর্তমানে আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক সংকটগুলো নিয়েও তেহরানের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়। কিন্তু পরমাণু সমঝোতা প্রমাণ করেছে, আমেরিকার সঙ্গে আবার আলোচনায় বসা হবে বিষপানের সমতুল্য।

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন