তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা ও রাজপথে জনতা

তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা ও রাজপথে জনতা

তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা ও রাজপথে জনতা

তুরস্ক,  সেনা অভ্যুত্থান, রাজপথে জনতা,  তুর্কি টেলিভিশন, এমআইটি,

তুর্কি টেলিভিশন এনটিভি আজ (শনিবার) সকালে এমআইটি’র মুখপাত্রের বরাত দিয়ে খবরে জানিয়েছে যে, তুরস্কের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এমআইটি দাবি করেছে, শুক্রবার রাতে সামরিক বাহিনীর একটি অভ্যুত্থান চেষ্টাকে ‘প্রতিহত’ করার পর বর্তমানে দেশটির পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ রয়েছে।

টেলিভিশনটি বলছে, রাজধানী আঙ্কারায় অভ্যুত্থান চেষ্টার পক্ষে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করেছে সরকারি ফাইটার বিমান। সরকারি বাহিনী অভ্যুত্থানকারীদের হাত থেকে আঙ্কারার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা টিআরটি’র নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। তুর্কি সরকারি সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ৭৫৪ জন সেনাকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই সেনা সদস্য।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান আজ (শনিবার) বলেছেন, সামরিক অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের চড়া মূল্য দিতে হবে। ইস্তাম্বুল থেকে দেয়া সরাসরি ভাষণে এ কথা বলেছেন তিনি। 

দেশের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, পরিস্থিতি এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং রাজধানী আঙ্কারার আকাশে বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তুরস্কে অভ্যুত্থান চেষ্টাকালে ১৭ পুলিশসহ ৫৯ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। অভ্যুত্থানকারীরা হেলিকপ্টারের সহায়তায় রাজধানী আঙ্কারায় পুলিশের বিশেষ বাহিনীর প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালালে ১৭ পুলিশ নিহত হন। এ ছাড়া, বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৪২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। তুর্কি সরকার এ তথ্য জানিয়েছে।  

এর আগে, রাষ্ট্রীয় একটি টেলিভিশন থেকে তুরস্কের সেনাবাহিনীর একটি অংশ দাবি করে যে, তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে’ সশস্ত্র বাহিনী তুরস্কের ক্ষমতা দখল করেছে বলে খবরে বলা হয়। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, এখন থেকে একটি 'পিস কাউন্সিল' দেশ পরিচালনা করবে। দেশে কারফিউ এবং মার্শাল ল' জারি করা হয়েছে।

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন