সৌদি রাজতন্ত্রের ষড়যন্ত্র

সৌদি রাজতন্ত্রের ষড়যন্ত্র

হাজি, হজ, সৌদি আরব, বাদশাহ সালমান, মোহাম্মাদ বিন সালমান, ওহাবি, সালাফি,

মিনাতে মারাত্মক দুর্ঘটনার নামে কাবা গৃহের অতিথিদেরকে হত্যা করা হয়েছে। আর উক্ত কারণে হাজিদের হজকে মৃত্যুকূপে পরিণত করা হয়েছে। উক্ত ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে মুসলমানদের মাঝে শোকের বন্যা বয়ে গেছে।

প্রকৃতপক্ষে সৌদি আরবের উক্ত অমানবিক কর্মকান্ডের কারণে সারা বিশ্বে মুসলমানদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। সৌদি আরব বিভিন্ন দেশ থেকে হাজিদেরকে দাওয়াত করে তাদেরকে অমানবিকভাবে হত্যা করেছে। কিন্তু অপরপক্ষে তারা দায়েশ, আন নুসরা, তালেবান, আমেরিকা ও ইসরাইলকে সহায়তা করছে।

মুসলমানরা তাদের এ দুঃখকে কার কাছে প্রকাশ করবে যখন সৌদি আরবের মতো মুনাফিক যারা বিভিন্ন দেশের মুসলমানদেরকে ডেকে নিজ দেশে হত্যা করেছে। সৌদি আরবের রাজপুত্রের জন্য রাস্তা উন্মুক্ত করার অজুহাতে হাজার হাজার হাজিকে অমানবিকভাবে হত্যা করা হয়েছে।

দাম্ভিক ও বিশ্বাসঘাতক সৌদি আরব তার কৃত অপরাধের কারণে মক্কার হাজিদের কাছে ক্ষমাতো করেইনি বরং প্রার্থনা করেনি বরং সে মিথ্যা ও হাস্যকর অজুহাত উপস্থাপনের মাধ্যেমে নিজেকে উক্ত ঘটনা থেকে দায়মুক্ত করার চেষ্টা করছে।

যারা আলে সউদের সাথে ইয়াহুদি এবং ইংল্যান্ডের সখ্যতার বিষয়টি জানেন তারা সৌদি আরব এবং ইংল্যান্ডের গভির বন্ধুত্ব সম্পর্কেও অবগত রয়েছেন যে তারা কিভাবে উক্ত পবিত্র নগরিকে বিদ্রুপ করে থাকে। হয়তো বাহ্যিকভাবে উক্ত ত্রুটি সমূহ পরিচালনার পক্ষ থেকে হয়েছে বলে প্রকাশ করা হয়েছে কিন্তু প্রকৃতভাবে তারা তাদের উক্ত কর্মের মাধ্যমে ইব্রাহিম (আ.)’এর সুন্নাতকে অবহেলা ও অবজ্ঞা করেছে। তারা তাদের উক্ত কর্মের মাধ্যেমে চেষ্টা করেছে যে, বিশ্বের মুসলমানরা যেন হজের সময় বিশ্বের মুসলমানদের সম্পর্কে আলোচনা করতে না পারে তারা যেন বুঝতে না পারে যে, কেন প্রত্যেক রাতে সিরিয়ার হাজার হাজার মুসলমানরা অনাহারে ঘুমাচ্ছে?

কেন আলে ইয়াহুদ খাদেমুল হারামাইন বিগত ছয় মাস ধরে নির্দিধায় ইয়েমেনের নিরিহ জনগণকে হত্যা করছে?

কোন বিবেকবান মানুষ এটা বিশ্বাস করবে না যে, আলে সউদ ইয়েমেনের নিরিহ জনগণকে হত্যা করে আনন্দিত হচ্ছে না?

যে সময়ে কোন পশুকে হত্যা করা হচ্ছে হারাম তখন ১৪০৭ হিজরিতে কি বিলিয়ামের অনুগামিরা ইয়াহুদি জেনারেল উলরিখ ভেনগার’এর নেতৃত্বে অসংখ্য হাজিদেরকে রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছে। যে মাসগুলোতে যুদ্ধ করাকে হারাম বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে সে মাসগুলোতে তারা ইয়েমেনের অসহায় মুসলমানদের উপরে হামলা চালিয়েছে। আর এ ধরণের ব্যাক্তিরাই নিজেদেরকে খাদেমুল হারামাইন বলে প্রচার করে বেড়ায়। কি কোন মুসলমান নেই যারা তাদের বিরূদ্ধে এবং মজলুমদের সহায়তার জন্য এগিয়ে আসবে?

তারা কোন অধিকারে ইয়াহুদিদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করছে যারা হজের মৌসুমে হাজিদেরকে অমানবিকভাবে হত্যা করে?

কি সৌদি বাদশাহ’এর পুত্রের জিবন এতই বেশি মূল্যবান যে, তার সুবিধার্থে হাজার হাজার হাজিদের জিবনকে মূল্যহিন বলে বিবেচিত করা হয়েছে?

সৌদি রাজতন্ত্র কিভাবে হাজার স্বজনহারা মুসলমানদের জবাবদিহি করবে?

তবে হ্যাঁ যদি ইয়েমেন এবং বাহরাইনের অসহায় মুসলমানদের হত্যার অজুহাত তারা উপস্থাপন করতে পারে তাহলে মক্কার হাজিদেরকে হত্যা করার মিথ্যা অজুহাত তারা উপস্থাপন করতে পারবে।

ওহাবিদের দৃষ্টিতে সকল মুসলমানরা হচ্ছে কাফের ও মুশরিক। আর এ কারণে ওহাবিদের কাছে তাদের রক্তের কোন মূল্য নেই। কেননা মুসলমানরা সাহাবি, ওলি-আউলিয়া এমনকি রাসুল (সা.)’এর কবরের যিয়ারত করে। আর এটা হচ্ছে ওহাবিদের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় শিরক।

সুতরাং তাদের দৃষ্টিতে সকল মুসলমানদের উচিত তারা যেন সকলেই তওবা করে কেননা তারা শিরক করেছে।

বর্তমান বিশ্বে বিষয়টি কারো কাছে গোপন নেই যে, ওহাবিরা হচ্ছে জঙ্গিগোষ্ঠিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। মুক্তমনা এবং স্বাধিন চিন্তাধারি মুসলমানদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট যে, সৌদি ওহাবিদের মাধ্যমে রাসুল (সা.)’এর আহলে বাইত (আ.)’দের মাজার ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।

বর্তমান বিশ্বে সকলের কাছে স্পষ্ট যে, দায়েশ, আন নুসরা, আল কায়েদা, বুকো হারাম সহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠিদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে সৌদি আরব।

এমন কোন দিন নেই যেদিন পত্রিকার পাতা উল্টালে বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলোতে মুসলমানদের নারি শিশুদের আর্তনাদ শুনতে পাই না। কেয়ামতের দিন আমরা আল্লাহর দরবারে কি জবাবদিহি করবো যখন আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে তোমাদের সামনে তোমাদের ভাইদেরকে হত্যা করা হচ্ছিল তখন কেন তোমরা নিরবতা অবলম্বন করেছিলে?

কেন সৌদি রাজতন্ত্রের ওহাবিরা মুসলমানদের শত্রু আলে ইয়াহুদদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করেছে। কেন তারা অসহায় মুসলমানদের পাশে এসে দাড়ায় না? যদি তারা মুসলমানদের প্রথম কিবলাকে ইসলামের একটি নিদর্শন বলে মনে করতো তাহলে কেন তারা ফিলিস্তিনের মুসলমানদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় না? কারণ তারা তাদেরকে মুসলমান, আরব এমনকি মানুষ বলেও মনে করে না। কি মুসলমানগণ পশুদের চেয়েও নিন্মস্তরের?

হ্যাঁ ওহাবিরা ইসলামের কোন পরশকে তারা অনুভব করতে চায়নি। যদি তারা আরবি হওয়ার দাবি করে তাহলে তাদের দাবি হবে মিথ্যা কেননা আরবিয়রা কখনই তাদের আরেক আরব ভাইকে অবহেলা বা তার সাথে শত্রুতা করে না।

যাইহোক আল্লাহ যেন মুসলমানদের শত্রুদের সকল ষড়যন্ত্র যেন তাদের দিকেই ফিরিয়ে দেন।

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন