জিলক্বদ মাসের ফযিলত ও আমল
জিলক্বদ মাসের ফযিলত ও আমল
এস, এ, এ
জিলক্বদ মাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সমূহ:
- ১লা জিলক্বদ:
রেওয়ায়েত অনুযায়ি ১৭৩ হিজরিতে হজরত ফাতেমা মাসুমা (সা.আ.) বিনতে ইমাম কাযিম (আ.) জন্মগ্রহণ করেন। (ফুরুগি আয কাউসার, পৃষ্ঠা ৩২)
- ১১ ই জিলক্দ ১৪৮ হিজরিতে ইমাম রেযা (আ.) জন্মগ্রহণ করেন।(বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৪৯, পৃষ্ঠা ৯, হাদিস নং ১৬)
- ২৫ শে জিলকদ, উক্ত দিনে প্রথমবারের মতো পৃথিবীর প্রথমাংশ কাবার স্থানটি পানি থেকে উত্থিত হয় তারপর ধিরে ধিরে তা বিস্তার লাভ করে। (বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৫০, পৃষ্ঠা ৬৪, কাশফুল গুম্মা, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৩৬৩)
- জিলকদ মাসের শেষ ২২০ হিজরি নবম ইমাম মোহাম্মাদ তাকি (আ.)’এর শাহাদত দিবস। আব্বাসিয় খলিফা মোতাসিম বাগদাদে তাঁকে বিষ প্রয়োগের মাধ্যেমে শহিদ করে । (মুনতাহিউল আমাল, তারিখে যিন্দেগি ইমাম মোহাম্মাদ তাকি (আ.))
إِنَّ عِدَّةَ الشهُّورِ عِندَ اللَّهِ اثْنَا عَشَرَ شهَرًا فىِ كِتَابِ اللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَ الْأَرْضَ مِنهْا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذَالِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ فَلَا تَظْلِمُواْ
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন, ‘‘নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস বারটি আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তার মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং এতে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। (সূরা তাওবা, আয়াত নং ৩৬)
জিলহজ্ব মাস সেই সকল মহিমান্বিত মাস সমূহের অন্যতম, যেগুলোকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্বয়ং সম্মানিত বা হারাম মাস বলে আখ্যা দিয়েছেন। উপরোল্লেখিত আয়াতে সম্মানিত মাসগুলো কি তা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীস শরীফে বলে দিয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে- যিলক্বদ, যিলহজ্ব, মুহাররম ও রজব। জাহেলিয়াতের যুগেও মক্কার মুশরিকরা এই মাসগুলোকে সম্মান করতো এবং পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহ, হানাহানী, ছিনতাই, লুটতরাজ থেকে বিরত থাকতো।
তাফসীর বিশারদদের ব্যাখ্যার আলোকে এই কথা প্রতীয়মান হয় যে, মূলতঃ জিলহজ্ব মাসের সম্মানেই বাকি মাসগুলোর মর্যাদা। কারণ এটি পবিত্র হজ্বের মাস। ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় এই মাসের সাথে জড়িত। বহু আগ থেকেই হজ্বের প্রথা চলে আসছিল। দুনিয়ার দূর-দূরান্ত থেকে হজ্বব্রতী হাজী তথা আল্লাহর মেহমানরা যেন নিরাপদে হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে আসতে পারেন, এজন্য জিলক্বদ মাস এবং নিরাপদে হজ্ব পালনোত্তর দেশে ফিরে যেতে পারেন, হজ্ব পরবর্তী মুহাররম মাসেও তারা যুদ্ধ-বিগ্রহ, মারামারি-হানাহানী থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকত।
একই উদ্দেশ্যে রজব মাসকেও তারা সম্মান করত। বছরের মাঝের এই মাসে জাযিরাতুল আরব থেকে যারা বাইতুল্লাহর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে আসতে চায় এবং উমরা করতে চায়, তারা যেন নিরাপদে আসতে পারে এবং উমরা পালন করে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে।
স্থান-কাল-পাত্র ভেদে দুনিয়াতেও হুকুম-আহকাম ভিন্ন হয়ে থাকে। সততা, নিষ্ঠা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যেমন সাধুবাদ ও বাহবা পাওয়ার যোগ্য, ঠিক তেমনিভাবে অন্যায়-অপরাধের শাস্তিও লঘু থেকে কঠোরতর হয়ে থাকে। সাধারণ অবস্থায় ও জায়গায় ঘটিত অপরাধ আর জরুরি অবস্থায় ও সংরক্ষিত এলাকায় ঘটিত অপরাধের শাস্তির পরিমাণ বলার অপেক্ষা রাখে না।
তাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যে সকল মাস সময় ইত্যাদিকে সম্মান ও বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন, সে সকল সময় নেক কাজের দ্বারা যেমন অনেক সাওয়াব লাভ হয়, ঠিক তেমনিভাবে গুনাহ ও নাফরমানিতে লিপ্ত হলেও এর ভয়াবহতা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সৈয়দ ইবনে তাউস জিলক্বদ মাসের ফযিলত সম্পর্কে বলেছেন: জিলক্বদ মাস হচ্ছে দোয়ার জন্য উত্তম মাস এবং অত্যাচারির অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়।(ইক্ববাল, পৃষ্ঠা ৩০৬)
তিনি আরো বলেছেন: যে উক্ত মাসটিকে দোয়া কবুলে মাস বলা হয়েছে সুতরাং এ মাসে প্রত্যেকটি মূহুর্তকে মূল্যায়ন করা উচিত। (ইক্ববাল, পৃষ্ঠা ৩০৭)
প্রত্যেক বিশেষ মাস দিন ও সময়ের কিছু করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় থাকে, যেগুলোর ব্যাপারে অবহেলার কোন সুযোগ নেই। ঠিক তেমনিভাবে এ মাসেও কিছু করণীয় ও বর্জনীয় কাজ রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা সেগুলোর ব্যাপারে আমাদেরকে যত্নবান হওয়ার তাউফিক দান করুন।
জিলক্বদ মাসের আমল:
১- জিলক্বদ মাসের রবিবারের নামাজ:
জিলহজ্ব মাসের রবিবারে নামাজ সম্পর্কে রাসুল (সা.) থেকে হাদিস বর্ণিত হয়েছে যে উক্ত নামাজটি পড়বে তার তওবাকে কবুল এবং তার গুনাহকে মাফ করা হবে। এমনকি উক্ত নামাজের বরকত সমূহ তার পরিবারের লোকজনও উপলব্ধি করতে পারবে। উক্ত ব্যাক্তি ঈমানের সহিত মারা যাবে। তার কবর নূরান্বিত অবস্থায় থাকবে। তার বাবা মা তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে এবং তাদের গুনাহ সমূহকেও মাফ করে দেয়া হবে এমনকি তার বংশধরদেরকেও ক্ষমা করে দেয়া হবে। মৃত্যুকালিন সময়ে তার কষ্ট কম হবে। যদি কেয়ামতের দিন উক্ত নামাজি ব্যাক্তির কাছে কারো দাবি থাকলে দাবিদার ব্যাক্তি রাজি হয়ে যাবে। (ইক্ববাল, পৃষ্ঠা ৩০৮)
উক্ত নামাজটি পড়ার পদ্ধতি হচ্ছে:
রাসুল (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রবিবারে যেন সে গোসল ও ওযু করে এবং দুই দুই রাকাত করে ৪ রাকাত নামাজ আদায় করে। প্রথম রাকাতে ১বার সূরা ফাতেহা, ৩বার সূরা তৌহিদ, ১ বার সূরা ফালাক্ব এবং ১ বার সূরা নাস পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতটিও অনুরূপভাবে পাঠ করতে হবে এবং নামাজ শেষে ৭০ বার আসতাগফিরুল্লাহ পাঠ করতে হবে। অতঃপর বলতে হবে:
لا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ اِلاَّ بِاللهِ الْعَلىِّ الْعَظيمِ
তারপরে আবার বলতে হবে:
يا عَزيزُ يا غَفّارُ، اِغْفِرْ لى ذُ نُوبى، وَذُ نُوبَ جَميـعِ الْمُؤْمِنينَ وَالْمُؤْمِناتِ، فَاِنَّهُ لا يَغْفِرُ
(ইক্ববাল, পৃষ্ঠা ৩০৮)
২- জিলক্বদ মাসের রোজা:
উক্ত মাসে তিনটি রোজা রাখার জন্যও তাকিদ করা হয়েছে। রাসুল (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, কেউ হারাম মাসে বৃহঃস্পতিবার, শুক্রবার এবং শনিবারে রোজা রাখবে তাকে এক বছরের ইবাদতের সওয়াব দান করা হবে। (ইক্ববাল, পৃষ্ঠা ৩০৮)
৩- ১৫ই জিলহজ্ব রাতের আমল:
রাসুল (সা.) থেকে রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে যে, ১৫ ই জিলহজ্বের রাত হচ্ছে অতি বরকতপূর্ণ একটি রাত। মহান আল্লাহ উক্ত রাতে তার মুমিন বান্দাদের প্রতি রহমত নাযিল করেন। যারা উক্ত রাতে ইবাদতের মাধ্যেমে অতিবাহিত করবে তাকে অগণিত সওয়াব দান করা হবে।
তিনি আরো বলেছেন: যদি মধ্যে রাতে কেউ আল্লাহর দরবারে দোয়া চায় তাহলে আল্লাহ তার দোয়াকে কবুল করেন। (ইক্ববাল, পৃষ্ঠা ৩০৯)
৪- ২৫ শে জিলক্বদ (দাহুল আরদ):
২৫শে জিলক্বদে প্রথমবারের মতো পৃথিবীর প্রথমাংশ পানি থেকে উত্থিত হয় তারপর ধিরে ধিরে তা বিস্তার লাভ করে। উক্ত দিনের জন্যও রেওয়ায়েত ও আমল বর্ণিত হয়েছে:
আমিরুল মুমিনিন থেকে রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে যে, ২৫শে জিলক্বদে প্রথমবারের মতো আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত নাযিল হয়। সুতরাং যদি কেউ উক্ত দিনে রোজা রাখে এবং উক্ত রাতে ইবাদত করে তাহলে তাকে ১০০ বছরের ইবাদতের সমপরিমাণ সওয়াব দান করা হবে।
আরো বলা হয়েছে যে, যদি কয়েকজন একত্রিত হয়ে উক্ত দিনে আল্লাহর যিকর করে তাহলে তাদের পৃথক হওয়ার পূর্বেই আল্লাহ তাদের দোয়াকে কবুল করে নিবেন। (ইকবাল, পৃষ্ঠা ৩১৪)
মুস্তাহাব হচ্ছে উক্ত দিনের সূচনা লগ্নে (সূর্য উঠার সময়)দুই রাকাত নামাজ আদায় করে। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহার পরে ৫ বার সূরা শামস তেলাওয়াতের মাধ্যেমে নামাজ আদায় করে। অতঃপর উক্ত দোয়াটি পাঠ করে:
لا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ اِلاَّ بِاللهِ الْعَلىِّ الْعَظيمِ، يا مُقيلَ الْعَثَراتِ، اَقِلْنى عَثْرَتى
يا مُجيبَ الدَّعَواتِ، اَجِبْ دَعْوَتى، يا سامِعَ الاْصْواتِ، اِسْمَعْ صَوْتى
وَارْحَمْنى وَتَجاوَزْ عَنْ سَيِّئاتى وَما عِنْدى، يا ذَاالْجَلالِ وَالاْكْرامِ
(ইকবাল, পৃষ্ঠা ৩১৪)
শেইখ তুসি বর্ণনা করেছেন যে, উক্ত দিনে নিন্মোক্ত দোয়াটি পাঠ করা হচ্ছে উত্তম:
اَللّـهُمَّ داحِىَ الْكَعْبَةِ، وَفـالِقَ الْحَـبَّةِ، وَصارِفَ اللَّزْبَةِ، وَكاشِفَ كُـلِّ
كُـرْبَـة، اَسْئَلُكَ فى هذَا الْيَوْمِ مِنْ اَيّامِكَ الَّتى اَعْظَمْتَ حَقَّها، وَاَقْدَمْتَ
سَبْقَها، وَجَعَلْتَها عِنْدَ الْمُؤْمِنينَ وَديعَةً، وَ اِلَيْكَ ذَريعَةً، وَ بِرَحْمَتِكَ
الْوَسيعَةِ، اَنْ تُصَلِّىَ عَلى مُحَمَّد عَبْدِكَ الْمُنْتَجَبِ، فِى الْميثاقِ الْقَريبِ
يَوْمَ التَّلاقِ، فاتِقِ كُلِّ رَتْق، وَداع اِلى كُلِّ حَقٍّ، وَعَلى اَهْلِ بَيْتِهِ الاْطْهارِ
الْهُداةِ الْمَنارِ، دَعائِمِ الْجَبّارِ، وَوُلاةِ الْجَنَّةِ وَالنّارِ، وَاَعْطِنا فى يَوْمِنا هذا
مِنْ عَطآئِكَ الْمَخْزُونِ، غَيْرَ مَقْطوُع وَلا مَمْنوُن، تَجْمَعُ لَنا بِهِ التَّوْبَةَ
وَحُسْنَ الاَْوْبَةِ، يا خَيْرَ مَدْعُوٍّ وَاَكْرَمَ مَرْجُوٍّ، يا كَفِىُّ يا وَفِىُّ، يا مَنْ لُطْفُهُ
خَفِىٌّ، اُلْطُفْ لى بِلُطْفِكَ، وَاَسْعِدْنى بِعَفْوِكَ، وَاَيِّدْنى بِنَصْرِكَ، وَلا تُنْسِنى
كَريمَ ذِكْرِكَ، بِوُلاةِ اَمْرِكَ، وَحَفَظَةِ سِرِّكَ، وَ احْفَظْنى مِنْ شَوائِبِ الدَّهْرِ
اِلى يَوْمِ الْحَشْرِ وَالنَّشْرِ، وَاَشْهِدْنى اَوْلِيآئَكَ عِنْدَ خُرُوجِ نَفْسى، وَحُلُولِ
رَمْسى، وَانْقِطاعِ عَمَلى، وَانْقِضآءِ اَجَلى، اَللّهُمَّ وَاذْكُرْنى عَلى طُولِ
الْبِلى، اِذا حَلَلْتُ بَيْنَ اَطْباقِ الثَّرى، وَنَسِيَنِى النّاسُونَ مِنَ الْوَرى،
وَاَحْلِلْنى دارَ الْمُقامَةِ، وَ بَوِّئْنى مَنْزِلَ الْكَرامَةِ، وَاجْعَلْنى مِنْ مُرافِقى
اَوْلِيآئِكَ، وَاَهْلِ اجْتِبآئِكَ وَأصْفِيائِكَ، وَبارِكْ لى فى لِقآئِكَ، وَارْزُقْنى
حُسْنَ الْعَمَلِ قَبْلَ حُلُولِ الاْجَلِ، بَريئاً مِنَ الزَّلَلِ وَسُوءِ الْخَطَلِ، اَللّـهُمَّ وَ
اَوْرِدْنى حَوْضَ نَبِيِّكَ مُحَمَّد صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ أَهْلِ بَيْتِهِ، وَاسْقِنى مِنْهُ
مَشْرَباً رَوِيّاً سآئِغاً هَنيئاً، لا اَظْمَأُ بَعْدَهُ، وَلا اُحَلاَّ وِرْدَهُ، وَ لا عَنْهُ اُذادُ،
وَاجْعَلْهُ لى خَيْرَ زاد، وَ اَوْفى ميعاد، يَوْمَ يَقُومُ الاْشْهادُ، اَللّهُمَّ وَالْعَنْ
جَبابِرَةَ الاْوَّلينَ وَالاْخِرينَ، وَبِحُقُوقِ اَوْلِيآئِكَ الْمُسْتَاْثِرينَ، اَللّـهُمَّ
وَاقْصِمْ دَعآئِمَهُمْ، وَاَهْلِكْ اَشْياعَهُمْ وَ عامِلَهُمْ، وَ عَجِّلْ مَهالِكَهُمْ،
وَاسْلُبْهُمْ مَمالِكَهُمْ، وَضَيِّقْ عَلَيْهِمْ مَسالِكَهُمْ، وَالْعَنْ مُساهِمَهُمْ
وَمُشارِكَهُمْ، اَللّـهُمَّ وَعَجِّلْ فَرَجَ اَوْلِيآئِكَ، وَارْدُدْ عَلَيْهِمْ مَظالِمَهُمْ،
وَاَظْهِرْ بِالْحَقِّ قآئِمَهُمْ، وَاجْعَلْهُ لِدينِكَ مُنْتَصِراً، وَبِاَمْرِكَ فى اَعْدآئِكَ
مُؤْتَمِراً، اَللّـهُمَّ احْفُفْهُ بِمَلائِكَةِ النَّصْرِ، وَبِما اَلْقَيْتَ اِلَيْهِ مِنَ الاَْمْرِ فى لَيْلَةِ
الْقَدْرِ، مُنْتَقِماً لَكَ حَتّى تَرْضى، وَيَعُودَ دينُكَ بِهِ وَعَلى يَدَيْهِ جَديداً
غَضّاً، وَيَمْحَضَ الْحَقَّ مَحْضاً، وَيَرْفِضَ الْباطِلَ رَفْضاً، اَللّـهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِ
وَعَلى جَميعِ آبائِهِ، وَاجْعَلْنا مِنْ صَحْبِهِ وَاُسْرَتِهِ، وَابْعَثْنا فى كَرَّتِهِ، حَتّى
نَكُونَ فى زَمانِهِ مِنْ اَعْوانِهِ، اَللّهُمَّ اَدْرِكْ بِنا قِيامَهُ، وَاَشْهِدْنا اَيّامَهُ، وَصَلِّ
عَلَيْهِ، وَعَلَيْهِ السَّلامُ، وَارْدُدْ اِلَيْنا سَلامَهُ، وَرَحْمَـةُ اللهِ وَبَرَكـاتُهُ.
(মেসবাহুল মোতাহাজজেদ, পৃষ্ঠা ৬৬৯)
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন