পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে ইমাম মাহদী (আ.)
পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে ইমাম মাহদী (আ.)’এর পরিচয়
১
وَأَسْبَغَ عَلَيْكُمْ نِعَمَهُ ظَاهِرَةً وَبَاطِنَةً
অর্থঃ এবং তোমাদের প্রতি তাঁর প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য নেয়ামতসমূহ পরিপূর্ন করে দিয়েছেন। (সূরা লোকমান, আয়াত নং ২০)
ইমাম মূসা কাযিম (আ.) উক্ত আয়াত সম্পর্কে বলেছেন: উক্ত আয়াতে প্রকাশ্য নেয়ামত বলতে উপস্থিত ইমামকে বুঝোনো হয়েছে এবং অপ্রকাশ্য নেয়ামত বলতে পর্দার অন্তরালে থাকা ইমামকে বুঝানো হয়েছে। (বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৫১, পৃষ্ঠা ৬৪)
২
ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ، الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ
অর্থ: এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য, যারা গায়েবী বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে। (সূরা বাকারা, আয়াত নং ২- ৩)
ইমাম সাদিক (আ.) উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেছেন: উক্ত আয়াতে (مُتَّقِينَ) বলতে হজরত আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) এর অনুসারীদেরকে (শিয়া) বুঝানো হয়েছে এবং (غَيْبِ) বলতে ইমাম মাহদী (আ.) কে বুঝানো হয়েছে। (বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৫১, পৃষ্ঠা৫২)
৩
أَمَّن يُجِيبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوءَ وَيَجْعَلُكُمْ خُلَفَاء الْأَرْضِ
অর্থ: বল তো কে নিঃসহায়ের ডাকে সাড়া দেন যখন সে ডাকে এবং কষ্ট দূরীভূত করেন এবং খলিফাদেরকে পৃথিবীতে পুর্ববর্তীদের স্থলাভিষিক্ত করেন। (সূরা নমল, আয়াত নং ৬২)
ইমাম বাকের (আ.) উক্ত আয়াত সম্পর্কে বলেছেন: ইমাম মাহদী (আ.) মাকামে ইব্রাহিমে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবেন এবং আল্লাহর দরবারে তাঁর প্রাপ্য অধিকারের আবেদন জানাবেন। মহান আল্লাহর শপথ উক্ত আয়াতে (الْمُضْطَرّ) হচ্ছেন ইমাম মাহদী (আ.) যার সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে:
أَمَّن يُجِيبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوءَ وَيَجْعَلُكُمْ خُلَفَاء الْأَرْضِ
৪
لْ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَصْبَحَ مَاؤُكُمْ غَوْرًا فَمَن يَأْتِيكُم بِمَاء مَّعِينٍ
অর্থ: বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি তোমাদের পানি ভূগর্ভের গভীরে চলে যায়, তবে কে তোমাদেরকে সরবরাহ করবে পানির স্রোতধারা? (সূরা মুলক, আয়াত নং ৩০)
হজরত মোহাম্মাদ (সা.) হজরত আম্মার (রা.)কে উদ্দেশ্যে করে বলেন:
হে আম্মার! মহান আল্লাহ শপথ করেছেন যে, ইমাম হুসাইন (আ.)’এর বংশধারা থেকে নয় জন ইমাম নির্বাচিত হবেন এবং নবম তথা সর্বশেষ ইমাম লোক চক্ষুর অন্তরালে থাকবেন এবং উক্ত আয়াত দ্বারা আল্লাহ তায়ালা এটাই বুঝাতে চেয়েছেন। (তাফসীরে বোরহান, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৩৬৬)
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন