আলে ইয়াহুদ সৌদির ষড়যন্ত্র- ১

আলে ইয়াহুদ সৌদির ষড়যন্ত্র- ১

ইসলাম, দায়েশ, জঙ্গি, মুসলমান, ইযাদি নারী, তালেবান, তাকফিরি,

বর্তমান যুগে আমাদের সাথে কখনও কি এমনটি হয়েছে যে, আমরা খবর শুনেছি বা পড়েছি এবং তাতে কোন যুদ্ধ, হত্যা, জিহাদুন নিকাহ এবং ধর্ষণের মতো অমানবিক বা অমানুষিক খবরের মুখোমুখি হয়নি।

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে নিয়ে এ পর্যন্ত এমন কোন কোন সময় অতিবাহিত হয়নি যখন আমরা মুসলমানরা কোন যুদ্ধ বা বিগ্রহের সম্মুখিন হয়নি। আর উক্ত যুদ্ধের কারণে সাধারণ মানুষেরা যে সকল, ক্ষতির সম্মুখিন হয় তা হচ্ছে পরিবার বিপর্যয়ের মুখে পড়ে, বাচ্চারা এতিম হয়ে যায়, নারীরা বিধবা হয়ে যায়, অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েন এবং এসকল মানুষেরা বেশীরভাগ জীবনের অন্তিম লগ্ন পর্যন্ত এর ভুক্তোভুগি হয়ে থাকেন।

জঙ্গিদের ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার মিথ্যা আশ্বাসের কারণে বিশ্বে যতগুলো অপকর্ম, অত্যাচার এবং হত্যা করা হয়েছে তা হচ্ছে মানব ইতিহাসে নজির বিহীন। সবচেয়ে মারাত্মক যে বিষয়টি তা হচ্ছে উক্ত যুদ্ধগুলোর সাথে ইসলামকে তুলনা করা হচ্ছে এবং অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, ইসলামের কারণেই উক্ত যুদ্ধগুলো সংঘটিত হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর ধরে মুসলমানরা বিভিন্ন যুদ্ধের মোকাবেলা করছে। আমরা হয়তো অনেকেই একটি ভিডিও দেখেছি যেখানে দেখানো হয়েছে যে, কিভাবে একজন জঙ্গি একজন মৃত সৈনিকের বুক চীরে তার কলিজা বাহির করে চিবাচ্ছে!!!

হয়তো আমরা অনেকই ইরাকের ইযাদি গোত্রের নারীদেরকে দেখেছি যাদের পুরুষদেরকে হত্যা করে তাদের সাথে পাশবিক নির্যাতন করার পরে তাদেরকে বিক্রয় করা হয়েছে।  

হয়তো আপনারা সে বাচ্চার ভিডিওটি দেখেছেন যেখানে একটি বালকের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া হয় এবং সে উক্ত অস্ত্র দ্বারা একজন পুরুষের মাথাকে তার শরীর থেকে আলাদা করে দেয়।

-  আপনারা কি চাকু দ্বারা মানুষের গলা কাটার মতো অমানুষিক দৃশ্যটি দেখেছেন?

-  আপনারা কি খৃষ্টানদের ক্রুশকে একজন নারীর মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে হত্যা করার মতো অমানবিক দৃশ্যটি দেখেছেন?

-  আপনারা কি জঙ্গিদের কর্তৃক পাহাড়ের চূড়া থেকে কোন মুসলমানকে নিক্ষেপ করে হত্যা করতে দেখেছেন?

-  একজন মা যে তার সন্তানকে খোঁজার জন্য জঙ্গিদের কাছে যায় এবং জঙ্গিরা তাকে ার বাচ্চার গোশত রান্না করে খাওয়ায় এবং যখন সে সন্তানের মা তাদেরকে বলে যে আমার সন্তান কোথায় তখন জঙ্গিরা তাকে বলে, তুমিতো তোর সন্তানেরই গোশত খেয়েছ!!!

বর্তমান যুগে দায়েশ এবং তাকফিরিদের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন যেমন: বোকো হারাম, আল কায়েদা, আন নুসরার সদস্যরা সারা বিশ্বের কাছে মুসলমানদের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করছে। আর উক্ত জঙ্গিদের বিভিন্ন পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে সৌদি আরব হচ্ছে অন্যতম!

আর এসব কারণে মুসলমানরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে যে তাদের করণীয় কি? তারা কি জঙ্গিদের সাথে মিশে যাবে? যা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের জন্য অসম্ভব একটি ব্যাপার। নাকি তারা জঙ্গিদের বিরূদ্ধে রূখে দাঁড়াবে? এর জন্য প্রয়োজন সকল মুসলমানদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা। মুসলমানরা যদি সকল মাযহাবগত সকল ভেদাভেদকে ভুলে ইসলাম এবং মুসলমানদের স্বার্থে তাগুতি শক্তি এবং জঙ্গিদের বিরূদ্ধে রূখে দাড়ায় তাহলে অবশ্যই ইসলামের শত্রুরা পরাজিত হবে। 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন