ওহাবীদের ষড়যন্ত্র ও হত্যাকান্ড-৪

ওহাবীদের ষড়যন্ত্র ও হত্যাকান্ড-

ওহাবী, সালাফি, তাবলিগ জামাত, খারেজি, দায়েশ, জেএমবি, আনসারুল্লাহ, আব্দুল্লাহ বিন ওহাব, সৌদি আরব, ইবনে তাইমিয়া,

পূর্ব আলোচনার পরে, আজকে আবারও আমরা আমাদের সম্মানিত দর্শকদের অবগতির জন্য নিন্মে ওহাবীদের আরো কিছু অমানুষিক কর্মকান্ডের বিবরণ উপস্থাপন করবো:

১৭- ইয়েমেন’এর হাজীদেরকে গণহত্যা:

১৩৪১ সালে ওহাবীরা ইয়েমেন’এর হাজীদেরকে নিরস্ত্র করে দেয় যেন প্রতিরক্ষার জন্য তারা কাছে কোন প্রকার অস্ত্র না থাকতে পারে।  প্রথমে তারা ইয়েমেনে হাজীদেরকে কিছুই বলেনি কিন্তু যখন তারা পাহাড়ের চুড়ায় এবং ইয়েমেনের হাজীরা নিচে অবস্থান করছিল তখন তারা হাজীদের উপরে কামান দ্বারা হামলা করে এবং উক্ত হমলায় মাত্র দুইজন জানে বেঁচে যায় এবং তারা সকলকে উক্ত মর্মান্তিক ঘটনা সম্পর্কে সকলকে অবগত করে।

১৮- জর্দানের নিরীহ মানুষদেরকে হত্যা:

১৩৪৩ সালে কিছু ওহাবীরা এক বর্বর সম্প্রদায়ের ন্যায় হঠাৎ জর্দানে হামলা করে এবং তারা নিরীহ নর-নারীদেরকে হত্যা করে এবং তাদের সকল সম্পদ সমূহকে লুট করে নেয়। কিন্তু কিছুদিন অতিবাহিত হতে না হতেই তারা পিছু সরতে বাধ্যে হয় এবং পরে ব্রিটিশদের সাহায্যে আবার ওহাবীরা মুক্তি লাভ করে। ১৩৪৬ সালে আবার ওহাবীরা ৩০ হাজার সৈন্য বাহিনী নিয়ে জর্দানে হামলা করে এবং হত্যা, রাহাজানি এবং সম্পদ লুট করতে থাকে।

১৯- মক্কায় ওহাবীদের রক্তক্ষয়ি হামলা:

১৪০৭ সালে স্বৈরাচারী আলে সউদ ৪ঠা জিলহজ্ব কাফেরদের উপরে লানত প্রেরণের দোষে হাজার হাজার হাজীকে গলা কেটে হত্যা করে এবং কাবার আশেপাশের এলাকা রক্তের বন্যায় বয়ে যায়। আর উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশে বিশেষত ইরানে তিন দিনের শোক দিবস পালন করা হয়।

২০- সিপাহে সাহাবা’এর অত্যাচার:

১৯৭৯ সালে পাকিস্তানে সিপাহে সাহাবা নামক একটি জঙ্গি দল গঠিত হয় যার ছিল ওহাবীদের আরেকটি নতুন শাখা তারা রাসুল (সা.)’এর আহলে বাইত (আ.)’এর অনুসারী এবং মোহাব্ব্তকারীদেরকে অমানবিকভাবে হত্যা করে।

২১- ইমাম মূসা কাযিম (আ.)’এর শোক প্রকাশকারীদেরকে হত্যা:

১৪২৬ হিজরী ২৫ রজব ইমাম মূষা কাযিম (আ.)’এর শাহাদতকে কেন্দ্র করে খাবারে বিষ মিশিয়ে দেয় এবং শোক প্রকাশকারীদের মিছিলে একাধিকবার হামলা করে এবং প্রায় ১৫০০ জনকে শহীদ করে।

২২- আফগানিস্তানে ওহাবী তালেবানদের অত্যাচার:

১৩৭২ সৌরবর্ষ অনুযায়ি ওহাবীরা তালেবান নামে আফগানিস্তানে হামলা করে এবং সৌদি আরব ও আমেরিকা তাদেরকে সার্বিক সহায়তা করে। ১৩৭৫ সালে তারা কাবুলে হামলা করে এবং সেখানে অসংখ্য শিয়া মুসলমানদেরকে হত্যা করে। ১৩৭৭ সালে মুসলমান নর-নারীদেকের ছাদের উপরে নিয়ে যেয়ে ফেলে হত্যা করতো এবং মাজার শরীফের আশেপাশের লোকদেরকে গণহত্যা করতো, গর্ভবতি নারীদের পেট কেটে বাচ্চাদেরকে হত্যা করে। এক পর্যায়ে ওহাবীরা প্রকাশ্যেভাবে নিজেদের হাতে অস্ত্র তুলে নেয় এবং নিরীহ ও নিরস্ত্র মুসলমানদেরকে হত্যা করতে থাকে।

২৩- সৌরবর্ষ অনুযায়ি ১৩৮৪ সালে ইরানের আহওয়ায নামক প্রদেশে বোমা হামলার ষড়যন্ত্রে ৪৬ জনকে আটক করা হয় যাদের মধ্যে ৪৪ জনই ছিল ওহাবী মতবাদের অনুসারী। আটককৃত ওহাবীরা জানায় যে তাদেরকে আমেরিকা, ইসরাইল’এর পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা করা হয়।

২৫- মসজিদে বোমা হামলা:

সৌরবর্ষ অনুযায়ি ১৩৮৫ সালে বোরাসায়ে বাগদাদ নামক মসজিদে বোমা হামলা করা হয় এবং উক্ত হামলায় ৬৯ জন মারা যায়, ১৩০ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়।

২৬- সৌরবর্ষ অনুযায়ি ১৩৮৬ মসজিদুল হারাম’এর পাশে ভাঙ্গা কাঁচ দ্বারা একজন শিয়া হাজীর উপরে হামলা করে এবং তাকে বিশ্রি ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে।

আর এভাবে ওহাবীরা বিভিন্ন নামে বিভিন্ন দলে বিভক্ত রয়েছে। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্যে, প্রকৃত চেহারা এবং পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে এক। আসলে ওহাবিরা মুসলমান না বরং তারা হচ্ছে ইসরাইল  এবং আমেরিকার এজেন্ট। যারা ইসলাম ও মুসলমানদেরকে ধ্বংস করার জন্য মুসলমানদের ছদ্মবেশে সারা বিশ্বে তাদের কর্মকান্ডকে চালিয়ে যাচ্ছে। আর তাই সকল মুসলমানদের উচিত সর্বক্ষণ সতর্ক থাকা যেন কেউ তাদেরকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে ধোকা না দিতে পারে।

সমাপ্ত

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন