ওহাবীদের ষড়যন্ত্র ও হত্যাকান্ড-১

ওহাবীদের ষড়যন্ত্র ও হত্যাকান্ড-১

ওহাবী, সালাফি, তাবলিগ জামাত, খারেজি, দায়েশ, জেএমবি, আনসারুল্লাহ, আব্দুল্লাহ বিন ওহাব, সৌদি আরব, ইবনে তাইমিয়া,

ইসলামের ভিত্তিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে ওহাবী মতবাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। আর তাই আমরা দেখতে পাই যে, ওহাবীরা শুধুমাত্র মুসলমানদেরকেই হত্যা করছে। যাদের আল্লাহ ও রাসুল হচ্ছে এক। কিন্তু মুসলমানদের গুনাহ হচ্ছে যে তারা “মোহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ ওহাব”কে মেনে নেয়নি।

ওহাবীরা মুসলমানদের বেশে মুসলমানদের হত্যা করে যাচ্ছে। কিন্তু একবারও তারা ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, বাহরাইন, ইয়েমেন, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে যে সকল মুমলমানদেরকে হত্যা করা হচ্ছে তাদের বিরূদ্ধে প্রতিবাদ করে না। কিন্তু মুসলমানদেরকে রাসুল (সা.) এর কবর যিয়ারত এবং তাঁর আহলে বাইত (আ.)’এর প্রতি ভালবাসার কারণে গলা কেটে হত্যা করাকে তারা জয়েজ বলে মনে করে।

উক্ত গোষ্ঠির হত্যাযজ্ঞ, নারী ধর্ষণ, লুটপাট সহ বিভিন্ন কার্যাবলি বিভিন্ন সাইটে প্রচারের মাধ্যেমে জনসাধারণের মনে ভীতি সঞ্চার করার আপ্রাণ চেষ্টা তারা চাচ্ছে এবং তাদের পৃ্ষ্ঠপোষকতা করছে সৌদি আরব।

ওহাবী মতাদর্শের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে “মোহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাব নাজদি” (মৃত্যু ১২০৬ হিজরী ক্বামারী)। কিন্তু এর মূলে আরো একজনের মূখ্য ভূমিকা রয়েছে যার নাম হচ্ছে “ইবনে তাইমীয়া” যে নিজের চিন্তাধারাকে আহমাদ ইবনে হাম্বাল’এর হাদীসের দ্বারা লালন পালন করেছিল। কেননা সে ছিল একজন হাম্বালি মাযহাবের অনুসারী।

মোহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাব এবং ইবনে তাইমিয়ার বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তাধারা এক ছিল তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ওহাবী ছাড়া সকলকে কাফের বলে মনে করা, মক্কা মদীনা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হামলা করার মাধ্যমে নিজেদের দখলে নিয়ে আসা ইত্যাদি। অনুরুপভাবে মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করা, ইসলামের পবিত্র স্থানাবলিকে ধ্বংস করা তার অনুসারীদের জন্য ওয়াজিব বলে মনে করতো আর এগেুলো হচ্ছে ওহাবীদের মতাদর্শের অন্তর্ভূক্ত।

এছাড়া মোহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাব মুসলমানদেরকে রাসুল (সা.)’এর কবর যিয়ারত করাতে চরম ভাবে বাধা দান করতো। যেমনভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, কিছু লোক রাসুল (সা.)’এর কবর মোবারককে যিয়ারত করার জন্য আসে যখন শেইখ মোহাম্মাদ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয় এবং শুনতে পায় যে, তারা মোহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাবের কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে তখন সে নিদের্শ দেয় যে, যিয়ারতকারীদের যেন দাড়ি কামিয়ে গাধার উপরে আরোহন করানো হয়!

মোহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাব রাসুল (সা.)’এর কবরের কাছে যেয়ে দুরুদ শরীফ পাঠ করতে নিষেধাজ্ঞা জারী করে। আর যদি কোনভাবে সে অবগত হতো  তাহলে অত্যান্ত রাগান্বিত হতো এবং দুরুদ প্রেরণকারীকে চরম শাস্তি প্রদান করতো। একবার নির্দেশের কারণে একজন অন্ধ মোয়াজ্জিন যে রাসুল (সা.)’এর উপরে দুরুদ প্রেরণ করেছিল তাকে হত্যার নির্দেশ দান করে।

তার নির্দেশে রাসুল (সা.)’এর উপরে দুরুদ সংক্রান্ত বিভিন্ন পুস্তক সমূহকে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এমনকি অনেক ফিক্বহ, তাফসীর এবং হাদীসের গ্রন্থ যা তার মতাদর্শের সাথে সামন্জস্যপূর্ণ ছিল তা জালিয়ে দেয়ার নির্দেশ দান করে। এমনকি সে তার অনুসারীদেরকে কোরআনকে তার মতাদর্শের সাথে সামন্জস্য রেখে তাফসীর করার নির্দেশ দান করে।

একটা বিষয় স্পষ্ট যে, ওহাবী মতাদর্শের অনুসারীরা এখন তাদের পূর্বপুরুষদের অক্রমণাত্মক চিন্তাধার অনুসরণ করে যাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে তারা কোন কিছুকেই তোয়াক্কা করে না। কিন্তু এমন কি বিষয় ছিল যার কারণে আলে সউদ ওহাবী মতাদর্শের প্রচারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে? ইতিহাসে বর্ণিত হয়েছে যে, মোহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাব এবং আলে সউদ উভয়ে হচ্ছে বণী ইসরাইলের ইয়াহুদিদের বেঁচে যাওয়া বংশধর।

আর উক্ত বিষয়াবলি থেকে স্পষ্ট হয় যে, যদিও আলে সউদ হচ্ছে বাহ্যিকভাবে ওহাবী মতাদর্শের পৃষ্ঠপোষক কিন্তু তাদের পিছনে এমন একটি শক্তিশালী অশুভ শক্তি তাদেরকে সহায়তা করে যাচ্ছে যারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ইসলামী আকায়েদ ও স্থাপত্যগুলোকে ধ্বংস করার জন্য মুসলমাননামধারী চিন্তাধারী মানুষদেরকে ব্যাবহার করছে। আর এক্ষেত্রে আমাদের রাসুল (সা.)এর বাণী আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে তিনি বলেছিলেন: মুসলমানদের বিরূদ্ধে সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্রকারী ইয়াহুদী। 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন