জঙ্গিদের নারী ভোগের নতুন ফতোয়া!!!
জঙ্গিদের নারী ভোগের নতুন ফতোয়া!!!
টিভি শিয়া: প্রত্যেকটি দেশ এবং স্বয়ং ইসলাম মানুষকে ব্যাক্তি স্বাধিনতা দান করেছে। মানুষের ইবাদত এমন কি বিবাহ ওয়াজিব হওয়ার সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কিছু উগ্রপন্থি জঙ্গি গোষ্ঠি নিজেদেরকে মুসলমান পরিচয় দিয়ে ইসলামের নামে নিজেদের স্বেচ্ছাচারীতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তারা নিজেদের যৌন ক্ষুদা নিবারণের জন্য নারী সমাজকে তুচ্ছ দষ্টিতে দেখে এমনকি তারা সমকামীতাকেও জায়েজ বলে মনে করে। অথচ ইসলামে সমকামীতাকে কবীরা গুনাহ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখেতে পাই ওহাবী মুফতিরা ফতোয়া দিয়েছে সমকামীতা হচ্ছে জায়েজ। আর সেই ওহাবীদের ফতোয়াকে অনুসরণ করে তারা নারী, বালিকা এমনকি পুরুষদের সাথে পশুসুলভ আচরণ করে যাচ্ছে।
অমুসলিম, মুসলিম নারী ও শিশুদের দাস হিসেবে ব্যবহার করছে এবং তাদের সঙ্গে যৌনসঙ্গম করার বিষয়টি সমর্থন করেছে জঙ্গি গোষ্ঠি দাইশ (আইএস)। এমনকি উক্ত গোষ্ঠিটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েশিশুদের এ কাজে ব্যবহার করা যাবে বলে মত দিয়েছে।
“প্রশ্নোত্তরে নারী দাসী ও তাদের স্বাধীনতা” নামের আইএস’র একটি পুস্তিকায় এসব কথা বলা হয়েছে। আইএস ইরাকের আইএস অধিকৃত শহর মসুলের বাসিন্দাদের মধ্যে ওই পুস্তিকাটি বিতরণ করেছে।
ওই পুস্তিকায় অমুসলিম, মুসলিম নারী ও শিশুদের বিক্রি করা যাবে এবং উপহার হিসেবে অন্যদের দেয়া যাবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। আটক করা নারীরা “অবিশ্বাসী” হলে তাদের আটক অনুমোদনযোগ্য বলে পুস্তিকায় দাবী করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, স্ত্রী দাসীরা হল নারী যাদের মুসলিমরা শত্রুদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। পুস্তিকার অধিকাংশজুড়েই নারী দাসীদের সঙ্গে যৌনসঙ্গম করার ক্ষেতে আইএস’র নীতির বিষয়ে বলা হয়েছে।
এছাড়া পুস্তিকায় আইএস’র অন্যান্য আইন সম্পর্কেও বলা হয়েছে এবং বন্দিদের উপর বন্দিকর্তার পূর্ণ কর্তৃত্ব আছে বলে পরিষ্কার করা হয়েছে। আইএস’র ওই পুস্তিকার বিষয়ে মসুলের এক বাসিন্দা বলেছেন, “অধিকাংশই (আমাদের) মর্মাহত, কিন্তু (আমরা) এ বিষয়ে তেমন কিছু করতে পারছি না।” অনেকেই সিরিয়া ও ইরাকে আইএস’র নির্মম অভিযানের সময় গোষ্ঠিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে অপহরণ, বিক্রয় ও ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন বলে সিএনএন’র প্র্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আইএস’র চাপিয়ে দেয়া শরিয়া আইন মেনে নেয়নি বলে অনেক বেসামরিক লোকজনকে গোষ্ঠিটির সদস্যরা হত্যা করেছে।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন