মিয়ানমারের মুসলমানরা হুমকির মুখে

মিয়ানমারের মুসলমানরা হুমকির মুখে

মিয়ানমার, যুহাইর বিন কাইন, জুহাইর বিন কাইন, zuhair bin Kain , যোহাইর , যোহাইর বিন কাইন , লাইলা, উম্মে লাইলা, Laila, umme laila, Hazrat ali akbar, ali akbar, হজরত আলী আকবর, আলী আকবর, কারবালা, কুবানি, kubani, সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী, আমেরিকা, ভারত, মিয়ানমার, চীন, নরেন্দ্র মোদি, আসাম, ওবামা, বারাক ওবামা, মুখতার সাকাফি, মোখতার সাকাফি, mokhter sakafi, জাবের ইবনে হাইয়ান, ইমাম সাদিক, সুইডেন, Hazrat fizza, hazrat fijja, হজরত ফিজ্জা, হজরত ফিযযা, সিরিয়া, শাম, এজিদের দরবার, জয়নাব, সকিনা, রাফাহ ক্রসিং, অবমাননা, মহানবী, hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হাসান নাসরুল্লাহ , লেবানন, ইরান,  চীন, মালয়েশিয়া,  স্যাটেলাইট, কুয়ালালামপুর, বেইজিং, ভিয়েতনাম, মার্কিন, গোয়েন্দা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর, আল কায়েদা, তাকফিরী, ইখওয়ানুল মুসলেমিন, বাংলাদেশ, ভারত, জিহাদ, ফিলিস্তিন, ইহুদি, গাজা, শহীদ, জিহাদ, ক্ষেপণাস্ত্র, দূতাবাস, সৌদি আরব , কুয়েত, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, ভিয়েনা, পরমাণু, বাহারাইন, আফগানিস্থান, থাইল্যান্ড, হজরত ফাতিমা, মার্জিয়া, সিদ্দিকা, মোহাদ্দেসা, বাতুল, উম্মে আবিহা, যাহরা, মুবারেকা, যাকিয়া, তাহেরা, রাযিয়া, জিহাদুন নিকাহ, পোপ, পাদ্রি, বাইতুল মোকাদ্দাস, ওহাবী, সালাফি, মুফতি, ড্রোন, পাকিস্থান, এজিদ, মাবিয়া, আবু সুফিয়ান, আলী আকবর, হুসাইন, শাবান, আমল, শবে বরাত, রমজান, দায়েশ, তাকফিরী, তালেবান, মোতা, মোতা বিবাহ, সেগা করা,দায়েশ, তাকফিরি, তালেবান, ওহাবী, আইএসআইএল,গাজা, ফিলিস্তিন, ইসরাইল, শিশু হত্যা, কুদস দিবস, জুমআতুল বিদা, কুদস,সাদক্বা, দান খয়রাত, ফেতরা, জাকাত, সাদকা, ভিক্ষা,  শবে বরাত, লাইলাতুল বরাত, দায়েশ, জঙ্গি,  দামেস্ক, ইসরাইল, সাইবার হামলা, ‍ৃ

টিভি শিয়া: মিয়ানমারের অবস্থা শিথিল করার জন্য প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন অবশ্য আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মুসলমানদেরকে নাগরিক হিসেবে মেনে নেওয়ার একটা অস্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের চিন্তা করেছিল। সেইন চেয়েছিল মুসলমানদেরকে সাদা অস্থায়ী আই-ডি কার্ড বা পরিচয় পত্র দিয়ে তার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ কমাবে। অথচ সেদেশের উগ্র বৌদ্ধরা এই সামান্য অধিকার দিতেও নারাজ।

মিয়ানমার সরকার যে সাদা অস্থায়ী আই-ডি কার্ড বা পরিচয় পত্র দিতে চেয়েছিল সেটাও ছিল এক ধরনের ষড়যন্ত্রেরই অংশ। মিয়ানমার সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সেইসব মুসলমানকেই তারা অস্থায়ী পরিচয়পত্র বা সাদা কার্ড দেবে যারা নিজেদেরকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে পরিচয় দেবে। যদিও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানরা নিজেদেরকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কোনো মানে হয় না, তারপরও মিয়ানমার সরকার তাদের প্রতি এই শর্ত চাপিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আর সেদেশের উগ্র বৌদ্ধরা এই সমস্যাপূর্ণ পদক্ষেপকেও মেনে নিতে চায় না। তারা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে।

বিশেষ করে মিয়ানমারের পার্লামেন্ট ২ ফেব্রুয়ারিতে নতুন একটি আইন পাস করেছে এই মর্মে যে, এখন থেকে যারাই সাদা কার্ড ধারন করবে, তারা সংবিধান সংশোধনের জন্য গণভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

বর্তমানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের খুব কম সংখ্যকই সেদেশের নাগরিক হিসেবে গণ্য হচ্ছেন। যারা হচ্ছেন তারাও এই অস্থায়ী পরিচয়পত্র বা হোয়াইট কার্ডের অধিকারী। কারুরই পরিপূর্ণ নাগরিকত্ব নেই।

মিয়ানমার সরকার সংবিধান সংশোধনের জন্য যদিও সুনির্দিষ্ট কোনো দিন-তারিখ ঘোষণা করে নি, তারপরও সেদেশের উগ্র বৌদ্ধরা সরকারকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছে আগামি সপ্তায় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করা হবে। সংবিধান সংশোধনের জন্য মুসলমানদেরকে ভোটাধিকার দেওয়ার ব্যাপারে পার্লামেন্টে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই তারা বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।

রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে উগ্র বৌদ্ধদের ভয়াবহ আক্রমণ এবং সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেরিতে হলেও মিয়ানমার সরকারের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে এনেছে। এখান উল্লেখ করা যেতে পারে যে মিয়ানমার সরকার তথা নিরাপত্তা বাহিনী উগ্র বৌদ্ধদের সঙ্গে মিলেই সেদেশ থেকে মুসলমানদের নির্মূল করার চেষ্টা চালিয়েছে বলে ব্যাপকভাবে অভিযুক্ত। এতো চাপ এতো অভিযোগ সত্ত্বেও মিয়ানমার সরকার এখনও রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে মিয়ানমারের পরিপূর্ণ নাগরিকত্ব দিতে সম্মত হয় নি। এমনকি মুসলমানদেরকে অস্থায়ী পরিচয়পত্র তথা হোয়াইট কার্ড দেওয়ার ব্যাপারে পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও সেদেশের বৌদ্ধ উগ্রবাদীরা ব্যাপক বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

বেশিরভাগ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন যেসব উগ্র বৌদ্ধ সহিংসতা চালাচ্ছে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে নাশকতা করছে সরকার তাদেরকে শাস্তি দিতে গড়িমসি করার কারণে এবং মুসলমানদেরকে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব না দেওয়ার কারণেই সেদেশের উগ্রবাদীদের ওপর তার প্রভাব পড়েছে। তাঁরা আরও মনে করছেন মিয়ানমার সরকারের এই অবস্থান মুসলমানদের ওপর হত্যাকাণ্ড চালাতে চরমপন্থি বৌদ্ধদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুসলমানদের প্রতি তাদের নির্মম হত্যাকাণ্ডকে বংশনিধনযজ্ঞ বলেও বিশ্বের কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে।

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন