ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক : মতপার্থক্য থাকার কথা স্বীকার
ইরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রাক্কালে ইরান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কূটনীতিকগণ ওমানে বৈঠকে মিলিত হন। সকল পক্ষই আলোচনা অবস্থানে বড় ধরনের মতপার্থক্য থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। খবর: ডি ডব্লিউ
রোববার মাস্কাটে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার লক্ষ্য ছিল ২৪ নভেম্বরের আগেই তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার বিনিময়ে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে দ্রুত অগ্রগতি অর্জন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও ইইউ’র দূত ক্যাথারিন অ্যাশটন আলোচনায় অংশ নেন। তিন জনের কেউই বৈঠকে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলেননি। তবে বৈঠকের আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পাশ্চাত্যের জন্য কোনো ফল বয়ে আনেনি। ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনা তাকে উদ্ধৃত করে জানায়, সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির আকার ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পদ্ধতি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে এখনো মতপার্থক্য রয়ে গেছে। অন্যপক্ষ যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা নিয়ে অগ্রসর হয় তাহলে আমরা একটি ঐকমত্যে পৌঁছতে পারব।
উল্লেখ্য, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের প্রেক্ষিতে ইরান এবং পি ৫+১ নামে পরিচিত জাতিসংঘের ৫টি স্থায়ী সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি গত নভেম্বরে একটি অন্তর্বর্তী চুক্তি স্বাক্ষর করে যাতে নিষেধাজ্ঞা সীমিত শিথিলের বিনিময়ে ইরান উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধকরণ বন্ধ রাখবে। জুলাই মসে এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা ৪ মাস বৃদ্ধি করা হয়।
রয়টার্স মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে জানায়, আলোচক পক্ষগুলোর মধ্যে এখনো বড় রকমের মতপার্থক্য রয়ে গেছে। রোববারের বৈঠকের পর পি ৫+১ দেশগুলোর প্রতিনিধিরা আজ মঙ্গলবার মাস্কাটে ফের বৈঠকে মিলিত হবেন। তারপর জার্মানি, ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স ও রাশিয়ার আলোচকরা ১৮ নভেম্বর জেনেভায় চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনায় যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন