সাদক্বা হচ্ছে মুক্তির কবজ
সাদক্বা হচ্ছে মুক্তির কবজ
এস, এ, এ
ইসলামী রেওয়ায়েত অনুযায়ি সাদক্বা প্রদানের জন্য একাধিক রেওয়ায়েতে এবং আহকাম বর্ণিত হয়েছে।
রাসুল (সা.) বলেছেনঃ সাদক্বা প্রদানের কারণে ৭০টি বীপদের দূর হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেছেনঃ তোমরা সাদক্বা দানের মাধ্যমে নিজেদের অসুস্থতার চিকিৎসা কর।
ইমাম সাদিক্ব (আ.) বলেছেনঃ যদি কেউ প্রত্যেকদিন সকালে সাদক্বা দেয় তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে সেদিন বিভিন্ন বীপদ থেকে রক্ষা করবেন।
তিনি আরো বলেছেনঃ সাদক্বা হচ্ছে মৃত্যুর জন্য (আগুনে পুড়া, পানিতে ডুবে যাওয়া, উপর থেকে পড়ে যাওয়া ইত্যাদি) প্রতিবন্ধক স্বরূপ। সাদক্বা ৭০ প্রকারের বীপদকে দূর করে দেয়। আমাদের সাদক্বাবা দানের সময় ৭০ প্রকারের শয়তান আমাদের কুমন্ত্রণা দেয় যেন আমরা সাদক্বা না দিতে পারি।
তিনি বলেছেনঃ সৎ আমল এবং সাদক্বা দারিদ্রতাকে দূর করে এবং মানুষের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পায়।
ইমাম সাদিক্ব (আ.) বলেনঃ একদা হজরত ঈসা (আ.) তার সাহাবীদের সাথে বসে ছিলেন এবং বলেন যে আজ রাতে উক্ত কনেটি মারা যাবে। কিন্তু পরের দিন তারা দেখতে পায় যে, উক্ত কনেটি জিবীত রয়েছে। হজরত ঈসা (আ.) বলেনঃ চল দেখি তার জিবীত থাকার কারণ কি?
সবাই তার ঘরে যায় এবং তাকে জিজ্ঞাসা করেন তুমি গত রাতে এমন কোন ভাল কাজ করেছ যে তোমার বীপদ দূর হয়ে গেছে।
কনেটি বলেঃ প্রত্যেক বৃহঃস্পতিবার রাতে আমাদের বাড়িতে এক ফকির আসে এবং আমরা তাকে সাহায্যে করি যেহেতু গতকাল আমাদের বিবাহ হয়েছিল সে উপলক্ষে আমি তাকে সাদক্বা দান করি। তখন হজরত ঈসা (আ.) তাকে বলেনঃ তুমি একটু সরে দাড়াও যখন কনেটি উক্ত স্থান থেকে সরে দাড়ায় তখন দেখে যে, একটি সাপ আছে।
তখন হজরত ঈসা (আ.) তাকে বলেনঃ তোমার সাদক্বা তোমার জীবন রক্ষা করেছে।
ইমাম রেযা (আ.) বলেনঃ একবার বণী ইসরাইলের যুগে দূর্ভিক্ষ আসে। একদা এক নারী রুটির এক অংশ নিজের মুখে দেয় তখন একজন ফকির আসে এবং তার কাছে ভিক্ষা চাই। তখন নারীটি নিজের খাওয়ার রুটিটুকু উক্ত ফকিরটিকে দান করে।
উক্ত নারীর এক ছেলে ছিল যে মরুভুমিতে জ্বালানি কাঠ জমা করতো। একদা তার উপরে নেকড়ে বাঘ হামলা করে তখন তার মা সাহায্যের জন্য চিৎকার শুরু করে। মহান আল্লাহ তায়ালা হজরত জিব্রাইল (আ.) কে প্রেরণ করেন তিনি তার ছেলেকে নেকড়ে বাঘের হাত থেকে রক্ষা করে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয় এবং তাকে বলে তোমার এক টুকরা খাবার দানের বিনিময়ে তুমি তোমার ছেলেকে ফিরে পেয়েছ।
সূত্রঃ বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৯৬, অধ্যায় ১৪, পৃষ্ঠা ১১১-১৩৮।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন