ইসরাইল সেনা প্রত্যাহার করেছে
ইসরাইল সেনা প্রত্যাহার করেছে
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করেছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। তেল আবিব বিমান হামলার মাধ্যমে নারী ও শিশুসহ প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলেও সম্মুখযুদ্ধে যে হামাসের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তার প্রমাণ পাওয়া গেল স্থলসেনা প্রত্যাহার দেখে।
হামাস অবশ্য বলেছে, তারা ৭২ ঘন্টার যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল এবং তা মেনেই উপত্যকা থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করেছে তেল আবিব। ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল পিটার লেরনার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আগেই তাদের সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে এক সমঝোতা অনুযায়ী আজ (মঙ্গলবার) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এর আগে গাজার আশপাশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় তেল আবিব।
ইসরাইলি মিডিয়া জানিয়েছে, চার সপ্তাহের এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল হামাস যোদ্ধাদের নির্মূল করা ও সব সুড়ঙ্গ ধ্বংস করা। তবে তেলআবিবের এই উদ্দেশ্যের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল পাওয়া যায়নি। তারা নৃশংসভাবে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর গণহত্যা চালিয়েছে। অথচ হামাসের তেমন কোনো ক্ষতিই তারা করতে পারেনি। মাত্র কয়েকটি সুড়ঙ্গ তারা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া, হামাসের রকেট হামলা বন্ধ করা ছিল ইহুদিবাদীদের আরেকটি ঘোষিত লক্ষ্য। কিন্তু আজ যুদ্ধবিরতি শুরুর পাঁচ মিনিট আগে তেল আবিব ও জেরুজালেম অভিমুখে এক ঝাঁক রকেট পাঠিয়েছে হামাস।
গতকাল হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে বলেছিল, ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের অসম সাহসিকতার কারণে সম্মুখ লড়াই থেকে পালিয়ে গেছে ইহুদিবাদী সেনারা। এর পরিবর্তে তারা এখন নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর দূর থেকে কামান এবং বিমান হামলার পথ বেছে নিয়েছে।
গাজায় গত ৮ জুলাই থেকে ইসরাইলের বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৩০টি শিশুসহ এক হাজার ৮৬৭ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছে সাড়ে ৯ হাজারের বেশি। এদের মধ্যে শিশু ২,৮০০, নারী ১,৮০০ এবং ৩৭৪ জন বৃদ্ধ। এ ছাড়া, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।
অসম এ যুদ্ধে ৬৪ সেনা নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে ইসরাইল। কিন্তু হামাস বলছে, প্রকৃতপক্ষে দেড় শতাধিক ইহুদিবাদী সেনা নিহত হয়েছে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন