ইসরাইলের জন্য গাজা যুদ্ধ আরেকটি রাজনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে
ইসরাইলের জন্য গাজা যুদ্ধ আরেকটি রাজনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে
যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহু
গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের ব্যর্থতার চিত্র ক্রমেই ফুটে উঠছে। ইসরাইলের অনেক কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যম কর্মী গাজা যুদ্ধে নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন। ইসরাইলের এ ব্যর্থতার কারণ নির্ণয়ের জন্য এরই মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী ওয়ারি অ্যারিয়েল এ ব্যাপারে বলেছেন, এর আগের যুদ্ধগুলো থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করিনি। তিনি বলেন, চলমান গাজা যুদ্ধে আমরা মারাত্মক পরাজয়ের আশঙ্কা করছি। ইসরাইলের পর্যবেক্ষকরা গত কয়েকদিন ধরে গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিজয়ের সম্ভাবনা এবং ইসরাইলের লজ্জাজনক পরাজয়ের আশঙ্কার কথা বলে আসছিল। এ ব্যাপারে ইসরাইলের দৈনিকগুলোতে প্রচুর লেখালেখিও হয়েছে।
ফিলিস্তিনিদের মোকাবেলায় ইসরাইলের ব্যর্থতার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর ইসরাইলি সংসদের নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনের প্রধান জানিও অ্যালকিন ব্যর্থতার কারণ খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও সেনাবাহিনীর প্রধান বেনি গান্তারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
উল্লেখ করা যায়, ব্যর্থতার কারণ খতিয়ে দেখার এ আহবান জানানো থেকে বোঝা যায়, ইসরাইল ২০০৬ সালে লেবাননে হিজবুল্লার সঙ্গে ৩৩ দিনের যুদ্ধে পরাজয়ের মত আরেকটি লজ্জাজনক পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। আর এ পরিস্থিতিতে ইসরাইলের সামরিক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তারা বড় ধরণের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০০৬ সালে হিজবুল্লার সঙ্গে যুদ্ধে পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধানের জন্য গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে তিনজন ব্যক্তিকে ব্যর্থতার জন্য দায়ী করা হয়েছিল। এ তিনজন হচ্ছে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইহুদ ওলমার্ট, যুদ্ধমন্ত্রী আমির পারথেয এবং সেনা প্রধান ড্যান হালুতয্। ওই প্রতিবেদনকে ইসরাইলের জন্য রাজনৈতিক সুনামি বা মহা বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে দেখা হত। কেননা এ প্রতিবেদন প্রকাশের ফলে ইসরাইলের বহু সামরিক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছিলেন।
বর্তমানেও গাজা যুদ্ধে ইসরাইল এখন পর্যন্ত সফল না হওয়ায় ইসরাইলি কর্মকর্তারা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন এবং এ নিয়ে অভ্যন্তরীণ সংকট ও বাদানুবাদ তীব্রতর হয়ে উঠেছে। হামাসকে পরাজিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় ইসরাইল নতুন করে আরেকটি রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে ছিটকে পড়তে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন