আমেরিকার সবচেয়ে মারাত্মক শত্রু ইহুদিবাদী ইসরাইল
আমেরিকার সবচেয়ে মারাত্মক শত্রু ইহুদিবাদী ইসরাইল
ক্রিসেন্ট অ্যান্ড ক্রুশ সলিটারিটি মুভমেন্ট সহ প্রতিষ্ঠাতা মার্ক গ্লিন
ইহুদিবাদী ইসরাইল হলো আমেরিকার সবচেয়ে মারাত্মক শত্রু। লেখক, মার্কিন মানবাধিকার কর্মী , বিশ্লেষক এবং ক্রিসেন্ট অ্যান্ড ক্রুশ সলিটারিটি মুভমেন্ট নামের একটি সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা মার্ক গ্লিন ইরানের ইংরেজি নিউজ চ্যানেলকে দেয়া টেলিফোন সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন। তার এ সংস্থা ইহুদিবাদের মোকাবেলায় মুসলমান-খ্রিস্টান ঐক্য গড়ার কাজে নিয়োজিত।
তিনি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল আমেরিকার সবচেয়ে মারাত্মক শত্রু; নিয়ন্ত্রণ ও ব্ল্যাকমেইল করার জন্য মার্কিন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি করে ইসরাইল। এর ফলে এমন এক বিপদজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে মার্কিন কর্মকর্তাদের ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হতে হয়।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, গত বছর ইসরাইল-ফিলিস্তিন ব্যর্থ আলোচনার সময় তেল আবিব মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ফোনে আড়ি পেতেছিল। আর এ পরিপ্রেক্ষিতে মার্ক গ্লিন বলেন, এ জাতীয় তৎপরতা সব সময়ই চালায় ইসরাইল। তিনি বলেন, ইসরাইল এ জাতীয় তৎপরতার মধ্য দিয়ে মার্কিন রাজনীতিবিদদের নিয়ন্ত্রণ করে এবং নিজের স্বার্থে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতিকে ব্যবহার করে।
মার্ক গ্লিন আরো বলেন, আমেরিকার নির্বাচিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় আমেরিকা এবং এ ভাবে হাতিয়ে নেয়া তথ্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে। মার্কিন কর্মকর্তাদের জন্য লজ্জাজনক বা তারা কোনো অপরাধ তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েছে এ রকম কোনো তথ্য পাওয়া গেলে তার পুরো সুযোগ নেয় ইসরাইল। বিশ্বে আমেরিকা যতো শত্রুর মোকাবেলা করছে তার মধ্যে ইসরাইলই সবচেয়ে বিপদজনক বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, মার্কিনিরা যা মনে করে তা সত্য নয়, আমেরিকা কোনো পরাশক্তি বা মুক্ত ও স্বাধীন দেশ নয়। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে যেয়ে তিনি বলেন, তেল আবিবের গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া তথ্য প্রকাশিত হলে মার্কিন রাজনীতিবিদরা বিপদে পড়বেন এবং এ ভয়ে শেষ পর্যন্ত তারা ইসরাইলের কাছেই নতি স্বীকারে বাধ্য হন।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন