মোদিকে কেরি: বাণিজ্য চুক্তিতে ভারতের 'না' ভুল বার্তা পাঠাবে বিশ্বকে

মোদিকে কেরি: বাণিজ্য চুক্তিতে ভারতের 'না' ভুল বার্তা পাঠাবে বিশ্বকে

hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হাসান নাসরুল্লাহ , লেবানন, ইরান,  চীন, মালয়েশিয়া,  স্যাটেলাইট, কুয়ালালামপুর, বেইজিং, ভিয়েতনাম, মার্কিন, গোয়েন্দা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর, আল কায়েদা, তাকফিরী, ইখওয়ানুল মুসলেমিন, বাংলাদেশ, ভারত, জিহাদ, ফিলিস্তিন, ইহুদি, গাজা, শহীদ, জিহাদ, ক্ষেপণাস্ত্র, দূতাবাস, সৌদি আরব , কুয়েত, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, ভিয়েনা, পরমাণু, বাহারাইন, আফগানিস্থান, থাইল্যান্ড, হজরত ফাতিমা, মার্জিয়া, সিদ্দিকা, মোহাদ্দেসা, বাতুল, উম্মে আবিহা, যাহরা, মুবারেকা, যাকিয়া, তাহেরা, রাযিয়া, জিহাদুন নিকাহ, পোপ, পাদ্রি, বাইতুল মোকাদ্দাস, ওহাবী, সালাফি, মুফতি, ড্রোন, পাকিস্থান, এজিদ, মাবিয়া, আবু সুফিয়ান, আলী আকবর, হুসাইন, শাবান, আমল, শবে বরাত, রমজান, দায়েশ, তাকফিরী, তালেবান, মোতা, মোতা বিবাহ, সেগা করা,দায়েশ, তাকফিরি, তালেবান, ওহাবী, আইএসআইএল,গাজা, ফিলিস্তিন, ইসরাইল, শিশু হত্যা, কুদস দিবস, জুমআতুল বিদা, কুদস,
ভারত সফরকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) অবাধ বাণিজ্য চুক্তিতে ভারতের সই না করা বিশ্বজুড়ে ভুল বার্তা পাঠাবে।

তিন দিনের ভারত সফরের শেষ দিন (শুক্রবার) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন। পাশাপাশি দিল্লির কাছে দ্রুত বিষয়টি নিয়ে সমাধানে পৌঁছার আবেদন জানান তিনি। বৈঠকের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের কেরি বলেন, “আন্তর্জাতিক দুনিয়ার সামনে ভারতকে বিনিয়োগের আদর্শ ক্ষেত্র হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পরিস্থিতিতে ভারতের কারণেই বাণিজ্য চুক্তি ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনায় তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।”
চুক্তিটি কার্যকর হলে তা ডব্লিউটিও ১৯ বছরের ইতিহাসে প্রথম কোনো গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হতো বলেও কেরি মন্তব্য করেন।

কেরির এ কথার জবাবে মোদি বলেন, ‘যদিও আমি বিশ্বাস করি, টিএফএ ভারতের জন্য ভালো, কিন্তু আমি ভারতের ক্ষুদ্র কৃষকদের নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।’
ডব্লিউটিও ওই চুক্তিটির প্রসঙ্গ টেনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের দরিদ্রতম মানুষের প্রতিই আমার সরকারের প্রথম দায়িত্ব। আমরা চুক্তিটির বিরোধিতা করি না। আমরা বিশ্বাস করি, সমাজের প্রান্তিক পর্যায়ে বসবাসকারী মানুষের চাহিদার কথা শুধু ভারত নয়, সব জায়গায়ই সামনে তুলে ধরা উচিত।’

কেরির মন্তব্যকে অবশ্য ভারতের ওপর পাল্টা চাপ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ তাদের মতে, মার্কিন প্রশাসন জানে, দেশকে আর্থিক উন্নয়নের পথে টেনে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন মোদী। যা পূরণে তাঁর সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো বেশি বিদেশি বিনিয়োগের পথ খুলে দেয়া। এই অবস্থায় মোদীর সেই স্পর্শকাতর জায়গাতে আঘাত করেই ভারতের অবস্থান বদলানোর কৌশল নিতে চাইছেন কেরি।

মোদী যদিও স্পষ্ট জানিয়েছেন, দারিদ্র্য দূর করতে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের প্রাণপণ প্রয়াস ও সেই জন্য সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য বোঝা উচিত উন্নত দেশগুলোর। বাণিজ্য-চুক্তিতে ‘না’ করার বিষয়ে সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারও মন্তব্য, অবাধ বাণিজ্য ব্যবস্থা চায় ভারতও। তবে দেশের খাদ্য সুরক্ষার স্বার্থের সঙ্গে আপোস করে নয়।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ডব্লিউটিও’র অবাধ বাণিজ্য চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ভারত তা নবায়ন করেনি।

এদিকে, বৃহস্পতিবার জন কেরির সঙ্গে ৩ ঘণ্টার বৈঠকে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষার পাশাপাশি ভারতের রাজনৈতিক নেতা ও অন্যদের ওপর আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থার নজরদারির প্রসঙ্গও তোলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

বৈঠকের পর সাংবাদিকরা সুষমা কাছে জানতে চান, ২০১০ সালে আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) বিজেপি নেতাদের ওপর নজরদারি চালিয়েছিল বলে যে চাঞ্চল্যকর খবর ওই গুপ্তচর সংস্থারই সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেন ফাঁস করেছিলেন, তা নিয়ে কি কেরির সঙ্গে আলোচনা করেছেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘আমি তাদের (মার্কিন প্রতিনিধি) বলেছি, ভারতের সংবাদপত্রে আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থার নজরদারির খবরটি প্রকাশের পর ভারতীয়রা ক্ষুব্ধ হয়েছে। যেখানে দুই দেশই পরস্পরকে বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করে, সেখানে এক বন্ধুর ওপর অন্যজন গোপনে খবরদারি করতে পারে না।’

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কেরি অবশ্য আমেরিকার নজরদারির পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, “ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক, উভয়ের দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা মূল্য দিই। সন্ত্রাসবাদ দমন ও দুটি দেশের উভয়ের কাছেই বিপদ, এমন ইস্যুতে পরস্পরের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদানকেও গুরুত্ব দেয় আমেরিকা প্রশাসন। সাধারণত, কোনো প্রশ্ন বা মতপার্থক্য থেকে থাকলে তা মেটাতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে তারা। দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থের পথে যখনই কোনও বাধা, বিপদ আসবে, ভারতের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে আমেরিকা কাজ করে যাবে।”

বুধবার তিন দিনের সফরে ভারতে যান জন কেরি। তার সঙ্গে ছিলেন আমেরিকার বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি প্রিটজকার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন সাকি। কেরির এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল মোদি সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়ানো। একই উদ্দেশে ৭ আগস্ট সফরে যাচ্ছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হাগেল।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন