ইসরাইল তুরস্কের তেল নিয়ে গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে
ইসরাইল তুরস্কের তেল নিয়ে গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে
ইসরাইলের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের যেসব বিমান হামলা চালাচ্ছে সেগুলোর তেল সরবরাহ করছে তুরস্ক। এমন খবর দিয়েছে তুরস্কের পত্রিকা ‘দ্যা ডেইলি আয়দিনলিক’।
পত্রিকাটি বলেছে, মাল্টায় রেজিস্টার করা ‘মেরিনার-এ’ নামের একটি ট্যাঙ্কারের সাহায্যে গত ৩ জুন থেকে এ পর্যন্ত জেট ফুয়েলের সাতটি চালান ইসরাইলকে দিয়েছে তুরস্ক। আয়দিনলিক পত্রিকা বলছে, জাহাজটি তুরস্কের ইস্কান্দারুন ও মেরসিন বন্দর থেকে তেল বহন করেছে।
তবে, তুর্কি সরকার আয়দিনলিক পত্রিকার এ খবর অস্বীকার করেছে। অবশ্য, তুরস্কের শূল্ক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘মেরিনার-এ’ নামের ওই জাহাজটি তুরস্কের মেরসিন বন্দর থেকে ডিজেল চালিত যন্ত্রপাতি হাইফা বন্দরে পৌঁছে দিয়ে খালি অবস্থায় ফিরে আসে।
এদিকে, তুর্কি সরকার আয়দিনলিক পত্রিকার খবর অস্বীকার করেছে। তবে সরকারি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে পত্রিকাটি বলেছে, গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে ইসরাইলে তেল সরবরাহ করা হয়েছে ১২৪ টন। পত্রিকাটি আরো বলেছে, শুধু মার্চ মাসেই ইসরাইলের কাছে এক লাখ ২৪,৫৬২ কেজি জেট ফুয়েল রপ্তানি করেছে তুরস্ক। ইসরাইলি বাহিনীর কাছে এ মুহূর্তে এফ-৪, এফ-১৫ এবং এফ-১৬ জঙ্গিবিমান রয়েছে এবং এই ১২৪ টন জেট ফুয়েল ইসরাইলের ২৪টি এফ-১৬ জঙ্গিবিমানকে সরবরাহ করা হয়েছে।
আয়দিনলিক পত্রিকার সাংবাদিক দারিয়া দারভিশ তার রিপোর্টে বলেছেন, ক্ষমতাসীন একেপি পার্টির অনুমতি নিয়েই এসব তেল ইসরাইলের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তার তথ্য মতে- জুনের ৩ তারিখ থেকে জুলাইয়ের ১০ তারিখের মধ্যে সাতটি চালানে মাল্টার পতাকাধারী মেরিনার-এ জাহাজ এসব তেল বহন করেছে।
যদিও এরদোগানের নেতৃত্বাধীন তুরস্কের একেপি পার্টির সরকার বলছে, যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইল তার আগ্রাসী নীতি বাদ না দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভবিক করা সম্ভব নয়। গাজায় চলমান গণহত্যাকে এরদোগান হিটলারের সঙ্গেও তুলনা করেছেন। অথচ ইসরাইলের সঙ্গে দিন দিন তুরস্কের ব্যবসায়িক সম্পর্ক বেড়েই চলেছে। ২০১০ সালে যেখানে ইসরাইল ও তুরস্কের মধ্যে ৩০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়েছে সেখানে ২০১৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০০ কোটি ডলারে। ২০১৪ সালে এ বাণিজ্য আরো বেড়ে যাবে বলে ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী নাফতালি বেনেতের বরাত দিয়ে আয়দিনলিক পত্রিকা খবর দিয়েছে। শুধু তাই নয় তুরস্কের সবচেয়ে বড় রপ্তানি-অংশীদার হিসেবে ইসরাইল ২৪তম অবস্থান থেকে ১৭তম অবস্থানে চলে এসেছে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন