আবু কাতাদা: আইএসআইএল-এর খিলাফত অবৈধ

আবু কাতাদা: আইএসআইএল-এর খিলাফত অবৈধ

hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হাসান নাসরুল্লাহ , লেবানন, ইরান,  চীন, মালয়েশিয়া,  স্যাটেলাইট, কুয়ালালামপুর, বেইজিং, ভিয়েতনাম, মার্কিন, গোয়েন্দা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর, আল কায়েদা, তাকফিরী, ইখওয়ানুল মুসলেমিন, বাংলাদেশ, ভারত, জিহাদ, ফিলিস্তিন, ইহুদি, গাজা, শহীদ, জিহাদ, ক্ষেপণাস্ত্র, দূতাবাস, সৌদি আরব , কুয়েত, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, ভিয়েনা, পরমাণু, বাহারাইন, আফগানিস্থান, থাইল্যান্ড, হজরত ফাতিমা, মার্জিয়া, সিদ্দিকা, মোহাদ্দেসা, বাতুল, উম্মে আবিহা, যাহরা, মুবারেকা, যাকিয়া, তাহেরা, রাযিয়া, জিহাদুন নিকাহ, পোপ, পাদ্রি, বাইতুল মোকাদ্দাস, ওহাবী, সালাফি, মুফতি, ড্রোন, পাকিস্থান, এজিদ, মাবিয়া, আবু সুফিয়ান, আলী আকবর, হুসাইন, শাবান, আমল, শবে বরাত, রমজান, দায়েশ, তাকফিরী, তালেবান, মোতা, মোতা বিবাহ, সেগা করা,দায়েশ, তাকফিরি, তালেবান, ওহাবী, আইএসআইএল,
জর্দানের সুন্নি আলেম আবু কাতাদা (ফাইল ছবি)
সন্ত্রাসী হামলার জন্য অভিযুক্ত জর্দানের বিশিষ্ট সুন্নি আলেম আবু কাতাদা তথাকথিত ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক এন্ড লিভান্ট বা আইএসআইএল-এর খিলাফত ঘোষণাকে অবৈধ ও ভিত্তিহীন বলে নাকচ করে দিয়েছেন।

গতকাল (মঙ্গলবার) তার এই বক্তব্য কয়েকটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

২১ পৃষ্ঠার এক নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, আইএসআইএল-এর খিলাফত ঘোষণা অবৈধ ও অর্থহীন, কারণ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের জিহাদিরা তা অনুমোদন করেনি।

উল্লেখ্য সন্ত্রাস বিষয়ক মামলার আসামী হিসেবে জর্দানে সুদীর্ঘ সময় ধরে কাতাদার বিচার চলছে।

আবু কাতাদা লিখেছেন: ‘সব মুসলমানের ওপর শাসন করার অধিকার বা বৈধতা এই গ্রুপের নেই এবং খিলাফত সংক্রান্ত তাদের ঘোষণা তাদের নিজেদের ওপরই প্রযোজ্য।’

‘গ্রুপটি তার বিরোধীদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে, অন্য গ্রুপগুলোকে কোণঠাসা করছে এবং সহিংস পন্থায় বিরোধীদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে; আর এসবই বড় ধরনের পাপ বা গুনাহ যা গ্রুপটির চরিত্রের বাস্তবতা তুলে ধরছে।‘-মন্তব্য করেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত কাতাদা।

তিনি তাকফিরি এই গ্রুপে যোগ না দিতে মুসলমানদের আহ্বান জানান।

কাতাদা লিখেছেন: ‘এরা যখন অন্য জিহাদি গ্রুপগুলোর সঙ্গেই আচার-আচরণে নির্দয় তখন তারা দরিদ্র ও অন্যদের সঙ্গে কেমন আচরণ করবে?’

এর আগে মিশরের আল আজহারের বিতর্কিত বিশিষ্ট সুন্নি আলেম ও ইখওয়ানের সাবেক নেতা কারজাওয়িও আইএসআইএল-এর প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়ে বলেছেন: গ্রুপটির খিলাফত ঘোষণা বৈধ নয়।

আইএসআইএল ইরাক ও সিরিয়ায় সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে আসছে। গ্রুপটি গত ২৯ জুন এই দুই দেশেই নিজের খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় এবং আবুবকর বাগদাদিকে খলিফা বলে ঘোষণা করে। কথিত বাগদাদি এখন নিজেকে ‘খলিফা ইব্রাহিম’ বলে উল্লেখ করছে।

সম্প্রতি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার দলত্যাগী কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেন তাঁর ফাঁস করা গোপন দলিল-প্রমাণের ভিত্তিতে জানিয়েছেন যে, এই সংস্থাটিসহ ব্রিটেনের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-সিক্স ও ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একটি সুপরিকল্পিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আইএসআইএল গড়ে তোলা হয়েছে। মোসাদ কথিত আবুবকর বাগদাদিকে এক বছর ধরে সামরিক ও ধর্মীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে বলেও তিনি জানান। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল বিরোধী দেশগুলোর মধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করাই এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য বলে স্নোডেন জানান।

জানা গেছে, কথিত আবুবকর বাগদাদির আসল নাম আবুবকর নয় এবং সে কখনও বাগদাদের অধিবাসীও ছিল না।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন