জুম’আর দিনের ফযিলত

জুম’আর দিনের ফযিলত

Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, hussain, mohammad, imam mahdi, ইসলাম, কোরআন, শিয়া, সুন্নী, সিফফিন, জঙ্গে জামাল, জঙ্গে নাহরাওয়ান, খায়বার, ওহদ, বনী সাকিফা, বণী সায়াদা, মোহাম্মাদ, আলী, হাসান, হুসাই, কারবালা, ইমাম খোমেনী, জুমআ, শুক্রবার
এস, এ, এ
সপ্তাহের অন্যান্য দিন সমূহের মধ্যে জুম’আর দিন হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। মহান আল্লাহ তায়ালা উক্ত দিনে প্রত্যেকটি ভাল কাজের জন্য অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েকগুণ বেশী সওয়াব দান করেন এবং গুনাহ সমূহকে মাফ করেন এবং দোয়া সমূহকে কবুল করেন।
জুম’আর দিনে কিছু আমলের বিশেষ তাকিদ করা হয়েছে যেমনঃ সেলাহ রাহাম (আত্মীয় স্বজনদের সাথে সাক্ষাত করা)করা হয় তাহলে তাকে অনকে সওয়াব দান করা হবে। জুম’আর দিন হচ্ছে মুসলমানদের জন্য ঈদের ন্যায়। জুমআ’র দিন এবং রাতের ফযিলত সম্পর্কে একাধিক হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে। মুমিনিনদের জন্য উত্তম আমলের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম আমল হচ্ছে ইমাম মাহদী (আ.)’র আবির্ভাবের জন্য দোয়া করা হচ্ছে মুস্তাহাব।
রাসুল (সা.) থেকে বর্নিত তিনি বলেছেনঃ জুম’আর দিন হচ্ছে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় ফযিলতপূর্ণ একটি দিন। খোদা উক্ত দিনে ভাল কাজের বিনিময় কয়েকগুণ সওয়াব দান করেন, গুনাহ সমূহকে মাফ করে দেন এবং দোয় সমূহকে কবুল করা হয় এবং মানুষের দুঃখ কষ্টকে দূর করা হয়। (কাফি, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৪০)
জুম’আর দিন হচ্ছে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় ফযিলতপূর্ণ একটি দিন এবং তা ঈদে ফিতর এবং ঈদে কুবানির ন্যায় একটি ঈদের দিন। উক্ত দিনের পাঁচটি বৈশিষ্ট রয়েছেঃ
- হজরত আদম (আ.)’কে সৃষ্টি করা হয়।
- হজরত আদম (আ.)’কে উক্ত দিনে দুনিয়ার বুকে প্রেরণ করা হয়।
- হজরত আদম (আ.) উক্ত দিনে ইহলোক ত্যাগ করেন।
- উক্ত দিনে এমন সময় আছে যখন খোদার কাছে হালাল যা কিছু চাওয়া হয় খোদা তার বান্দাকে তা দান করেন।
- খোদার নিকটতম ফেরেস্তা, আসমান, জমিন, সমুদ্র, মরুপ্রান্তর সব কিছুই শুক্রবারের দিনটিকে ভয় করে কারণ এদিনেই কেয়ামত সংঘটিত হবে। (কাফি, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ৪১৪)
রাসুল (সা.) বলেছেনঃ জুম’আর দিন আমার উপরে দুরুদ পাঠ কর কেননা উক্ত দিনে ‍মানুষের ভাল আমলের জন্য কয়েকগুণ বেশী সওয়াব দান করা হয়। (দোয়ায়েমুল ইসলাম, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ১৭৯)
রাসুল (সা.) বলেছেনঃ যদি কেউ জুম’আর দিন অথবা রাতে মারা যায় খোদা তার জন্য কবরের আযাবকে বন্ধ করে দেন। (রওযাতুল মুত্তাক্বিন, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১৬২)
তিনি আরো বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের পরিবারের সদস্যদের জুম’আর দিন কিছু উপঢৌকন দান কর যেন তারা পরবর্তি জুম’আর দিন পর্যন্ত প্রফুল্ল থাকে। (রওযাতুল মুত্তাক্বিন, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৫৮৯)
ইমাম বাকের (আ.) বলেছেনঃ জুম’আর দিন ভাল এবং খারাপ কাজের বিনিময় দ্বিগুণ করা হয়।(মুসতাদরাকে ওসায়েল, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৪১৭)
তিনি আরো বলেছেনঃ জুম’আর দিন হচ্ছে সাদক্বা দেয়ার জন্য উত্তম দিন।(ইদ্দাতুদ দায়ি, পৃষ্ঠা ৯২)
জুম’আর দিন গোসল করতে ভুল না কেননা উক্ত দিনে গোসল করা হচ্ছে সুন্নাত এবং উত্তম হচ্ছে যাওয়ালের (যোহরের পূর্বে) সময় গোসল করা। (দোয়ায়েমুল ইসলাম, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ১৮১)
ইমাম সাদিক্ব (আ.) বলেছেনঃ জুম’আর দিন প্রত্যেক পুরুষ এবং নারী চাই তারা সফরে থাকুক বা না থাকুক গোসল করা হচ্ছে মুস্তাহাব এবং এর প্রতি বিশেষ তাকিদ করা হয়েছে। (আল মাহাসেন, পৃষ্ঠা ৬০)
খোদা যা কিছুই সৃষ্টির চিন্তা করেছেন তা জুম’আর দিনে সৃষ্টি করেছেন।(রওযাতুল মুত্তাক্বিন, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৫৮৮)
জুম’আর গোসলের সময়ঃ
জুম’আর গোসলের উত্তম সময় হচ্ছে ফজরের আযান থেকে নিয়ে যোহরের আযান পর্যন্ত। আর যদি তা না হয় তাহলে যোহরের আযান থেকে নিয়ে আসরের আযান পর্যন্ত কাযা বা আদা’র নিয়ত ছাড়াই গোসল করা। যদি জুম’আর দিন গোসল করতে না পারে তাহলে সে যেন মুস্তাহাব হচ্ছে শনিবার সকাল থেকে নিয়ে বিকালের মধ্যে তা সম্পাদন করে। যদি কেউ মনে করে জুম’আর দিন পানি পাওয়া যাবে না তাহলে সে বৃহঃস্পতিবারে জুম’আর দিনের নিয়ত করে গোসল করতে পারে। জুম’আর দিনের গোসলের সময় উক্ত বাক্যটি বলা হচ্ছে মুস্তাহাব(گويد اشهد ان لا اله الا الله وحده لا شريک له وان محمدا عبده ورسوله اللهم صل علي محمد وآل محمد وا جعلني من التوابين وا جعلني من المتطهرين)। (তৌযিহুল মাসায়েল, মাসআলা নং ৬৪৪)
জুম’আর দিনের গোসল হচ্ছে মুস্তাহাবে মোয়াক্বাদা, আবার অনেক আলেমগণ তা ওয়াজিবের কাছাকাছি বলে মনে করেন।
সূত্রঃ হিকমাতহায়ে দারাখশান।

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন