মার্কিন গবেষণাগার জীবাণু নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিধি মানছে না
মার্কিন গবেষণাগার জীবাণু নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিধি মানছে না
সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য রাখছেন সিডিসি’র পরিচালক টম ফ্রাইডেন
মার্কিন সরকারের সংক্রমণ রোগ গবেষণাগারগুলো ভয়াবহ মারাত্মক জীবাণু নাড়াচাড়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা বিধি মেনে চলছে না। গত এক দশকে কমপক্ষে পাঁচ দফা নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন করেছে এ সব গবেষণাগার।
চলতি বছরই অ্যান্থ্রাক্স এবং উচ্চ-সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন বার্ড ফ্লু’র জীবাণু নিয়ে কাজ করার সময় নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত গবেষণাগার দু’টি বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বা সিডিসি। একই সঙ্গে উচ্চ-সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন জীবাণু আনা-নেয়া সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সিডিসি।
অবশ্য উচ্চ-সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন বার্ড ফ্লু’র জীবাণু নিয়ে কাজ করার সময় নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় কেউ রোগ আক্রান্ত হয় নি। কিন্তু অ্যান্থ্রাক্সের ক্ষেত্রে কয়েক বিজ্ঞানী আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে সন্দেহ করার পর তাদেরকে প্রতিষেধক হিসেবে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়েছিল।
ভয়াবহ মারাত্মক জীবাণু নাড়াচাড়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা বিধি না মানার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিডিসি’র পরিচালক টম ফ্রাইডেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ জাতীয় ঘটনা কখনোই ঘটা
উচিত নয়। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সরকারি ভবনে গুটিবসন্তের জীবাণু উদ্ধার করার ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যে জীবাণু নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে বিধি ভঙ্গের এ সব ঘটনা প্রকাশ পেলো।
জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসের একটি মারাত্মক প্রজাতি এবং ১৯১৮ সালের প্রাণঘাতী ‘স্প্যানিশ ফ্লু’র আদলে ভয়াবহ ভাইরাস সৃষ্টি করেছেন আমেরিকার ম্যাডিসনের উইসকোনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানি বংশোদ্ভুত অধ্যাপক ইউশিহিরো কাওয়াকা। মানবিক ভুল বা দুর্ঘটনাক্রমে বা সন্ত্রাসের কারণে এমন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তার পরিণাম কি হবে তা নিয়ে বিজ্ঞানী মহলে যে আতঙ্ক ছিল তা আরো জোরদার হয়েছে এ সব ঘটনায়।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন