পার্বত্য চট্টগ্রামের ৮ সংগঠন: ইসরাইল মানবতাবিরোধী হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে
পার্বত্য চট্টগ্রামের ৮ সংগঠন: ইসরাইল মানবতাবিরোধী হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে
পার্বত্য চট্টগ্রামের ৮টি গণসংগঠন এক যৌথ বিবৃতিতে ফিলিস্তিনে ইহুদিবাদি ইসরাইলের নির্বিচার বোমা হামলায় নিরপরাধ শিশুসহ শতাধিক লোকের প্রাণনাশের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আজ (শনিবার) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ৮ সংগঠনের নেতারা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞকে 'মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধ' আখ্যায়িত করে বলেছেন, "তিন ইসরাইলি কিশোরকে অপহরণ ও হত্যা যেমন অপরাধ এবং নিন্দনীয়; একইভাবে ‘অপরাধী’ শায়েস্তার নামে ইসরাইল যেভাবে গোটা গাজা এলাকায় কথিত অপহরণকারীদের প্রতিবেশী ও তাদের বাড়িতে রকেট নিক্ষেপ, সাধারণ ফিলিস্তিনি জনগণের আবাসস্থলে বোমা বর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে, তা রীতিমত মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধের সামিল এবং নিন্দনীয়। কোনো সভ্য মানুষ এ ধরনের বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডে সমর্থন দিতে পারে না।"
৮ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, মুক্তিকামী সংগঠন, মানবতাবাদী ব্যক্তি-সংস্থাকেও ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে মাইকেল চাকমা ও অংগ্য মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি থুইক্যচিং মারমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা, সাজেক নারী সমাজের আহ্বায়ক নিরূপা চাকমা (২), সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি জ্ঞানেন্দু চাকমা, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির প্রতিনিধি কাজলী ত্রিপুরা ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের সদস্য সচিব আনন্দ প্রকাশ চাকমা।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন