দায়েশ- ৪

দায়েশ- ৪

দায়েশ- ৪

hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হাসান নাসরুল্লাহ , লেবানন, ইরান,  চীন, মালয়েশিয়া,  স্যাটেলাইট, কুয়ালালামপুর, বেইজিং, ভিয়েতনাম, মার্কিন, গোয়েন্দা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর, আল কায়েদা, তাকফিরী, ইখওয়ানুল মুসলেমিন, বাংলাদেশ, ভারত, জিহাদ, ফিলিস্তিন, ইহুদি, গাজা, শহীদ, জিহাদ, ক্ষেপণাস্ত্র, দূতাবাস, সৌদি আরব , কুয়েত, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, ভিয়েনা, পরমাণু, বাহারাইন, আফগানিস্থান, থাইল্যান্ড, হজরত ফাতিমা, মার্জিয়া, সিদ্দিকা, মোহাদ্দেসা, বাতুল, উম্মে আবিহা, যাহরা, মুবারেকা, যাকিয়া, তাহেরা, রাযিয়া, জিহাদুন নিকাহ, পোপ, পাদ্রি, বাইতুল মোকাদ্দাস, ওহাবী, সালাফি, মুফতি, ড্রোন, পাকিস্থান, এজিদ, মাবিয়া, আবু সুফিয়ান, আলী আকবর, হুসাইন, শাবান, আমল, শবে বরাত, রমজান, দায়েশ, তাকফিরী, তালেবান, মোতা, মোতা বিবাহ, সেগা করা,দায়েশ, তাকফিরি, তালেবান, ওহাবী
সিরিয়াতে দায়েশ’এর কাযক্রম
আল বাগদাদী সিরিয়ার জটিল অবস্থায় সুযোগের সৎ ব্যাবহার করে। সে সিরিয়াতে নিজের অবস্থান ও স্বীয় আকিদার প্রচার করে এবং অন্যান্য জঙ্গি দলের ন্যায় যেমনঃ আল কায়েদা, তাকফিরী’র ন্যায় সন্ত্রাসী আগ্রাসণ চালায় যেন মানুষের মনে ভয়ের সঞ্চার হয়। এভাবে সে সিরিয়া ও ইরাকে নিজের প্রভাব বিস্তার করে। দায়েশ দলটি আহলে সুন্নাতের মতাদর্শের অনুসারীদের সাহায্যের জন্য আহবান জানায় এবং ইরাকের পূর্ব এলাকা থেকে সিরিয়াতে প্রবেশ করে এবং সিরিয়ার সেনাবাহিনীর বিরূদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
২০১১ সালে সিরিয়াতে আল কায়েদা সহ আবু মোহাম্মাদ জুলানীর নেতৃত্বে জেবহাতুন নাসর’এর রাজনৈতীক ও সামাজিক পরিবেশে পদাচারণ ঘটে এবং অতি দ্রুত তারা প্রভাব বিস্তার করে এবং কয়েক মাসের মধ্যেই উক্ত দলটি একটি বিশাল আকার লাভ করে। তারা ইরাকের ন্যায় সিরিয়াতেও প্রভাব বিস্তার করে। ২০১৩ সালের জুন মাসে সামুখুল ইসলাম নামক একটি চ্যানেলে আবু বকর বাগদাদী’র একটি অডিও বার্তা প্রচার করা হয়। উক্ত বার্তায় সে বলে জেবহাতুন নাসর এবং দৌলাতে ইসলামী ইরাক হচ্ছে “দৌলাতে ইসলামী ইরাক শাম” নামক দলের অন্তর্ভূক্ত এবং তখন থেকেই দায়েশ দলের সূত্রপাত ঘটে।
দায়েশ ও জেবহাতুন নাসরঃ
জেবহাতুন নাসর’এর নেতা আবি মোহাম্মাদ জুলানী সে একটি ছোট অডিও বার্তায় জেবহাতুন নাসর এর সাথে দৌলাতে ইসলামী ইরাক শাম’এর সম্পর্কের কথা প্রকাশ করে। কিন্তু তার এবং শোরায়ে মাজলিসে জেবহাতুন নাসর’এর সম্পর্ক আল বাগদাদীর পক্ষ থেকে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। সে উক্ত সম্পর্কের বিরোধিতা করে এবং সে আফগানিস্থানের আল জাওয়াহেরীর কাছে তার বাইয়াতের কথা স্বীকার করে। তা সত্ত্বেও সিরিয়াতে জেবহাতুন নাসর এবং দায়েশ দলের মধ্যে দ্বন্দ বিদ্যমান ছিল। কেননা উক্ত দুটি দল (দায়েশ এবং জেবহাতুন নাসর) দুটি বাতিল তাকফিরী চিন্তাধারী দল ছিল এবং উভয়ে সালাফি জিহাদীর অনুসরণ করতো এবং তাদের উদ্দেশ্যে ছিল শামে একটি ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে যে সমস্যাটি দ্বন্দের মূল কারণ হয়ে দাড়ায় তা হচ্ছে, তারা সিরিয়ার প্রকৃত অবস্থা এবং জনগণকে ভালভাবে চিনতে পারেনি।
জেবহাতুন নাস ‘এর কারণে ২০১১ সালের শেষের দিকে সিরিয়াতে সঙ্কট শুরু হয় কেননা সিরিয়ার সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা, তদন্ত মত এবং ধর্মনিরপেক্ষ সিস্টেম সম্পর্কে তাদের ধারণা ছিল দায়েশ দলের চেয়ে বেশী।
যেহেতু দায়েশ দলটি কিছুদিন হয়েছিল যে তারা সিরিয়াতে প্রবেশ করেছিল এবং তারা সিরিয়ার রাজনীতি সম্পর্কে তেমভাবে অবগত ছিল না কিন্তু তারপরেও তারা নিজেদের কতৃর্ত্ব এবং আধিপত্য দ্বারা সিরিয়ার জনগণের উপরে প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিল।
জেবাহাতুন নাসর’এর অনেক নেতা যারা সিরিয়ার জেলে বন্দি ছিল কিন্তু রাজক্ষমা পাওয়ার কারণে তারা জেল থেকে মুক্তি পায় এবং তারা গোপনে সরকার এবং দেশেরে বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে এবং কিছু আল কায়েদার সাথে যোগ দেয় এবং আফগানিস্থান, ইরাক এবং চেচেন’এর সাথে বিভিন্ন যুদ্ধে তারা অংশগ্রহণ করে। জেবহাতুন নাসর নামক দলে যথেষ্ট বিদেশীরা সৈন্য হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিল।
কিন্তু দায়েশ সম্পর্কে বলতে হয় যে উক্ত দলে নেতা এবং সৈন্য বাহিনীর মধ্যে নিজ দেশের তুলনায় বিদেশীদের অবস্থান ছিল বেশী। এ কারণে বলা যেতে পারে যে জেবহাতুন নাসর দায়েশ দলের চেয়ে সিরিয়া সম্পর্কে ছিল বেশী অভিজ্ঞ। কিন্তু তারপরেও দায়েশ দলের সদস্যরা যদিও ছিল এ বিষয়ে নতুন কিন্তু তারপরেও তারা সিরিয়ারে পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভুমিকা রাখে এবং তারা “দৌলাতে ইসলামী ইরাক শাম” নামক দলের পরিচালনা করে।
যেহেতু জেবহাতুন নাসর এবং দায়েশ দলের উদ্দেশ্যে হচ্ছে এক সেহেতু তারা একসাথে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের নেতাদের চিন্তাধারা সম্পূর্ণভাবে আলাদা। তারা নিজ নিজ স্বার্থের কারণে লড়াই করে যাচ্ছে, জেবহাতুন নাসর তারা নিজেদেরকে একটি স্বতন্ত্র দল হিসেবে মনে করে এবং দায়েশ দলটিকে তারা মুরতাদ বলে মনে করে।
দায়েশ দলটি আল বাগদাদীর পক্ষ থেকে দৌলাতে ইসলামী ইরাক শাম’এর ঘোষণা করার পর জেবহাতুন নাসর দলের অনেক সদস্যরা উক্ত দলে যোগ দেয় এবং মাজলিশে শোরায়ে মুজাহেদীন আবুল আসীর’কে হালাবের আমীর বলে ঘোষণা করে। অনুরূপভাবে শেইখ ওমর চেচেনীর নেতৃত্বে মুহাজেরীন এবং আনসাররা দায়েশ দলে যোগ দেয় এবং “আহরারুশ শাম ওয়া তৌহিদ” নামক দলের সদস্যরাও দয়েশ দলে যোগ দেয়।
চলবে...

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন