দায়েশ – ৩

দায়েশ – ৩

hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হাসান নাসরুল্লাহ , লেবানন, ইরান,  চীন, মালয়েশিয়া,  স্যাটেলাইট, কুয়ালালামপুর, বেইজিং, ভিয়েতনাম, মার্কিন, গোয়েন্দা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর, আল কায়েদা, তাকফিরী, ইখওয়ানুল মুসলেমিন, বাংলাদেশ, ভারত, জিহাদ, ফিলিস্তিন, ইহুদি, গাজা, শহীদ, জিহাদ, ক্ষেপণাস্ত্র, দূতাবাস, সৌদি আরব , কুয়েত, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, ভিয়েনা, পরমাণু, বাহারাইন, আফগানিস্থান, থাইল্যান্ড, হজরত ফাতিমা, মার্জিয়া, সিদ্দিকা, মোহাদ্দেসা, বাতুল, উম্মে আবিহা, যাহরা, মুবারেকা, যাকিয়া, তাহেরা, রাযিয়া, জিহাদুন নিকাহ, পোপ, পাদ্রি, বাইতুল মোকাদ্দাস, ওহাবী, সালাফি, মুফতি, ড্রোন, পাকিস্থান, এজিদ, মাবিয়া, আবু সুফিয়ান, আলী আকবর, হুসাইন, শাবান, আমল, শবে বরাত, রমজান, দায়েশ, তাকফিরী, তালেবান, মোতা, মোতা বিবাহ, সেগা করা,দায়েশ, তাকফিরি, তালেবান, ওহাবী
আমরা আজকের আলোচনায় দায়েশ দলটির নেতাদের পরিচয় সম্পর্কে আলোচনা করব। পূর্ব আলোচনার পরেঃ
“ইব্রাহিম বিন আওয়াদ বিন ইব্রাহিম আল বাদরী” হচ্ছে দায়েশ দলের পরবর্তি নেতা। ১৯৭১ সালে সামেরা শহরে জন্মগ্রহণ করে। তার নাম এবং উপাধি অনেক রয়েছে যেমনঃ আলী বাদরী আল সামরোয়ী, আবু দোয়া, ডক্টর ইব্রাহিম, আল করার এবং অবশেষে আবু বকর বাগদাদী নামে পরিচিতি লাভ করে। সে ইরাকের বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স, এম এ এবং ডক্টরেট পড়ে। সে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েই ধার্মিক শিক্ষক হিসেবে কাজ করতে থাকে এবং ইসলামী সংস্কৃতি, ফিক্বহ এবং ইতিহাস সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান ছিল। সে তাকফিরী ও সালাফি আকিদাধারী ঘরে জন্মগ্রহণ করে এবং তার নাম রাখা হয় ইব্রাহিম বিন আওয়াদ বিন ইব্রাহিম বাদরী। তার বাবা ইব্রাহিম বিন আওয়াদ হচ্ছে ইরাকের আলে আবু বাদরী বংশের একজন গুরুজন।
আল বাগদাদী সে তার কার্যক্রমকে ধর্মীয় মোবাল্লিগদের প্রশিক্ষণ দ্বারা শুরু করে তারপর ধিরে ধিরে সে জিহাদের চিন্তা চেনতার দিকে এগিয়ে যায়। একসময় সে ইরাকের সামেরা শহরে সালাফী জিহাদীদের প্রধান হিসেবে পরিচিতি অর্জন করে। সর্বপ্রথম সে আহমাদ বিন হাম্বাল নামক মসজিদ থেকে কার্যক্রম শুরু করে। তারা ইরাকে সন্ত্রাসী, এবং ছোট যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতো। তারপর সে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের কিছূ মৌলবাদী লোকজনকে একত্রিত করে এবং বাড়দাদ, সামেরা এবং ইরাকের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে থাকে। পরে তারা মাজলিসে শোরায়ে মুজাহেদীন’এ যোগ দেয় এবং দৌলাতে ইসলামী ইরাক নামক দলের ঘোষণা করে। আবু ওমর বাগদাদী এবং আবু বকর বাগদাদী’এর মধ্যে এক গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে এমনকি আবু ওমর বাগদাদী ওসীয়ত করে যে সে মারা গেলে আবু বকর বাগদাদী হবে দৌলাতে ইসলামী ইরাকে’এর নেতা। ২০১০ সালের আগষ্ট মাসে আবু বকর বাগদাদী দৌলাতে ইসলামী ইরাক’এর নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়।
যখন আবু বকর বাগদাদী দৌলাতে ইসলামী ইরাকে’এর নেতা হয় তখন থেকে আল কায়েদা’র নেতা আল যারকাওয়ি’র যুগের তুলনায় সন্ত্রাসী হামলা আরো বেশী বেড়ে যায় এবং তাতে হাজার হাজার ইরাকির জীবন বিপন্ন হয় এবং সবচেয়ে ভয়ানক বাগদাদের “উম্মুল কোরা” নামক মসজিদে যে হামলা করা হয় উক্ত হামলায় সংষদ সদস্য খালেদ ফাহদাওয়ি মারা যায়। তারা উসামা বিন লাদেনের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে শতশত ইরাকি পুলিশ এবং নাগরিককে হত্য করে। আল বাগদাদী ইন্টারনেট আল কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে একশত আত্মঘাতী হামলার কথা স্বীকার করে এছাড়াও সে র্কোটের সদর দপ্তর সহ আবু অইয়ুব ও আল হুত নামক কারাগারে হামলার কথাও স্বীকার করে।
চলবে...

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন