দায়েশ- ২

দায়েশ- ২

hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হাসান নাসরুল্লাহ , লেবানন, ইরান,  চীন, মালয়েশিয়া,  স্যাটেলাইট, কুয়ালালামপুর, বেইজিং, ভিয়েতনাম, মার্কিন, গোয়েন্দা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর, আল কায়েদা, তাকফিরী, ইখওয়ানুল মুসলেমিন, বাংলাদেশ, ভারত, জিহাদ, ফিলিস্তিন, ইহুদি, গাজা, শহীদ, জিহাদ, ক্ষেপণাস্ত্র, দূতাবাস, সৌদি আরব , কুয়েত, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, ভিয়েনা, পরমাণু, বাহারাইন, আফগানিস্থান, থাইল্যান্ড, হজরত ফাতিমা, মার্জিয়া, সিদ্দিকা, মোহাদ্দেসা, বাতুল, উম্মে আবিহা, যাহরা, মুবারেকা, যাকিয়া, তাহেরা, রাযিয়া, জিহাদুন নিকাহ, পোপ, পাদ্রি, বাইতুল মোকাদ্দাস, ওহাবী, সালাফি, মুফতি, ড্রোন, পাকিস্থান, এজিদ, মাবিয়া, আবু সুফিয়ান, আলী আকবর, হুসাইন, শাবান, আমল, শবে বরাত, রমজান, দায়েশ, তাকফিরী, তালেবান, মোতা, মোতা বিবাহ, সেগা করা,দায়েশ, তাকফিরি, তালেবান, ওহাবী
পূর্বের আলোচনায় উল্লেখ করেছি যে, দায়শ শব্দটি হচ্ছে কয়েকটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত একটি শব্দ। আবার অনেক এলাকায় এ দলটিকে (دولت) দৌলাত বলা হয়ে থাকে।
দৌলাত ইসলামী ইরাক শাম= দায়েশ দলটি শাম শহরটিকে নিজেদের কার্যক্রমের মূল ঘাটি হিসেবে বেছে নেয়। অনেকে উক্ত দলটিকে আল কায়েদার একটি শাখা, আবার অনেকে এটিকে একটি আলাদা দল হিসেবে যারা একটি দেশে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে বলে মনে করে, আবার অনেকে সিরিয়ার বিরোধি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি তৈরীকৃত দল বলে মনে করে। প্রকৃতপক্ষে দায়েশ দলটি কি? ইরাকে কিভাবে দায়েশ দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়?
এটা ঠিক যে, দায়েশ দলটি সিরিয়াতে হঠাৎ করেই আবির্ভূত হয় কিন্তু এটা কোন নতুল দল না তা তাদের অস্ত্রবাহিনী দ্বারা বুঝা যায়। দায়েশ দলটির ইতিহাস রচিত হয় ২০০৪ সালে যখন আবু মোসআব যরকাওয়ি “জামাআতে তৌহিদ ওয়া জিহাদ” নামক দলের নেতৃত্বের দ্বায়িত্ব নেয় এবং আল কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনের সাথে বাইয়াত করে ফিরে আসে এবং আল কায়েদার একটি শাখা হিসেবে যার নাম রাখা হয় “বেলাদুর রাফেদীন” এবং তা নামে পরিচিতি লাভ করে।
আল কায়েদার “বেলাদুর রাফেদীন” নামক শাখা দলটি প্রথমদিকে আমেরিকা বিরোধি একটি দল হিসেবে নিজেকে প্রচার করে এবং এভাবে তারা ইরাকের কিছু যুবকদেরকে তাদের দলের প্রতি আকৃষ্ট করে এবং নিজের দলটিকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে। এভাবে তারা ইরাকের বেশ কিছু এলাকাতে নিজেদের শক্তিশালী ঘাটি তৈরী করে ফেলে।
২০০৬ সালে আল যারকাওয়ি একটি ভিডিও ক্লিপ প্রচার করে এবং তাতে আব্দুল্লাহ রাশিদ বাগদাদী নামক ব্যাক্তির নেতৃত্বে “মাজলিসে শুরায়ে মুজাহেদীন” নামক সংগঠনের নাম উল্লেখ করে। আল যারকাওয়িকে সেই মাসেই হত্যা করা হয়। তারপর আবু হামযাতুল মুহাজের নামক ব্যাক্তিকে ইরাকে আল কায়েদার প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
২০০৬ সালের শেষের দিকে আবু ওমর বাগদাদী নামক ব্যাক্তির নেতৃত্বে ইরাকে মৌলবাদীদের “দৌলাতে ইসলামী” নামক একটি অস্ত্রে সজ্জিত দল সংগঠিত হয়।
আবু বকর বাগদাদী দায়েশ দলের নেতার পরিচয়ঃ
২০১০ সালের এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখে আমেরিকার সৈন্য বাহিনীরা আল সেরসার নামক এলাকায় আবু ওমর বাগদাদী এবং আবু হামযা মুহাজের’এর বাড়িতে হামলা চালায় এবং অসংখ্য বোমা বিষ্ফোড়ন এবং গুলি বর্ষণের পরে তারা দুজনেই মারা যায়। উক্ত দলটি প্রায় এক সপ্তাহ পরে তাদের নেতাদের মৃত্যুর খবর স্বীকার করে এবং তারপর প্রায় ১০ দিন পরে সোরায়ে দৌলাতে ইসলামী নামক দলের নেতা হিসেবে আবু ওমর বাগদাদীর উত্তরাধিকারী স্বরূপ আবু বকর বাগদাদীকে নির্বাচন করা হয় এবং দলের নামকরণ করা হয় “দৌলাতে ইসলামী ইরাক শাম”। কিন্তু আবার প্রশ্ন আসে যে উক্ত নতুন আমীরের পরিচয় কি?
চলবে...

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন