দায়েশ- ১

দায়েশ- ১

hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হাসান নাসরুল্লাহ , লেবানন, ইরান,  চীন, মালয়েশিয়া,  স্যাটেলাইট, কুয়ালালামপুর, বেইজিং, ভিয়েতনাম, মার্কিন, গোয়েন্দা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর, আল কায়েদা, তাকফিরী, ইখওয়ানুল মুসলেমিন, বাংলাদেশ, ভারত, জিহাদ, ফিলিস্তিন, ইহুদি, গাজা, শহীদ, জিহাদ, ক্ষেপণাস্ত্র, দূতাবাস, সৌদি আরব , কুয়েত, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, ভিয়েনা, পরমাণু, বাহারাইন, আফগানিস্থান, থাইল্যান্ড, হজরত ফাতিমা, মার্জিয়া, সিদ্দিকা, মোহাদ্দেসা, বাতুল, উম্মে আবিহা, যাহরা, মুবারেকা, যাকিয়া, তাহেরা, রাযিয়া, জিহাদুন নিকাহ, পোপ, পাদ্রি, বাইতুল মোকাদ্দাস, ওহাবী, সালাফি, মুফতি, ড্রোন, পাকিস্থান, এজিদ, মাবিয়া, আবু সুফিয়ান, আলী আকবর, হুসাইন, শাবান, আমল, শবে বরাত, রমজান, দায়েশ, তাকফিরী, তালেবান, মোতা, মোতা বিবাহ, সেগা করা,দায়েশ, তাকফিরি, তালেবান, ওহাবী
বর্তমান বিশ্বে সে সকল উগ্রবাদী জঙ্গি দলের আগ্রাসন চলছে তার মধ্যে একটি এবং অন্যতম জঙ্গি দল হচ্ছে দায়েশ। দায়শ শব্দটি কয়েকটি শব্দের স্বমন্বেয়ে গঠিত আর তা হচ্ছে (شام عراق اسلامی دولت =داعش )। তাদের দাবী শ্লোগান হচ্ছে ইরাক ও শামে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করা। এর বিনিময়ে তাদের যা কিছু করার দরকার তারা করতে প্রস্তুত এবং তা তারা করছে।
অন্য একভাবে বলা হয়েছে (داعش= دولر آمریکا علیه شیعه) অর্থাৎ আমেরিকার ডলার শিয়াদের বিরূদ্ধে ব্যাবহার করা হবে।
দায়েশ দলটি শুধুমাত্র শিয়াদের বিরূদ্ধে কাজ করছে না বরং তারা আহলে সুন্নাতদের বিরূদ্ধেও কাজ করছে মোট কথা তারা আমেরিকা ও ইসরাইলের এজেন্ট হয়ে কাজ করছে। তাদের কার্যকলাপের মধ্যে ইসলামের কোনই ছাপ পাওয়া যায়না বরং তারা শুধূ জানে শিশু, বাচ্চা, নারী এবং পুরুষদের নির্মমভাবে জবাই আর হত্যা করতে।
তারা নিজেদেরকে সালাফি বা ওয়াহাবী বলে দাবী করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাদের চিন্তাধারা হচ্ছে তাকফিরীদের ন্যায়। যেরূপ চিন্তাধারা আব্দুল ওয়াহাব এবং ইবনে তাইমীয়ার ছিল।
আমরা আরবের ইতিহাসে প্রতি দৃষ্টিপাত করলে দেখতে পাই যে, আব্দুল ওয়াহাব এবং মোহাম্মাদ ইবনে সোউদ এ দুজনে মিলে ইসলামের কত ক্ষতিসাধন করেছে এবং অবাধে মানুষ হত্যা করেছে। তারা তায়েফ, হেজাজ এবং ইরাকের অনেক মানুষকে হত্যা করছে এবং শিরকের বাহানায় বিভিন্ন মহামনিষী, সাহাবী এবং ইমাম (আ.) এর কবরকে ভেঙ্গে দেয়েছে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তারা শ্লোগাণ দিয়ে আসছে আমরা চায় ইসলামী হুকুমত, শিরকের বিরোধিতা এবং তৌহিদ (ভ্রান্ত) প্রতিষ্ঠিত করতে। কিন্তু যদি আমরা পর্যবেক্ষণ করি তাহলে আমরা দেখব যে এর মূলে রয়েছে আল কায়েদার ভ্রান্ত চিন্তাধারা। এবং এ চিন্তাধারার প্রবর্তক হচ্ছে ওমর বাগদাদী যাকে ২০১০ সালে হত্যা করা হয় এবং তারপরে তারদের নেতা হয় আবু বকর আল বাগদাদী। তারা বিভিন্ভাবে বিভিন্ন দেশ সমূহে তাদের কার্যকলাপের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই যে তারা সারাবিশ্বে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে চাই কিন্তু তাদের উক্ত কার্যকলাপের মাধ্যেমে বিষয়টি প্রমাণিত হয় না যে তারা সারা বিশ্বে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে চাই বরং তাদের উক্ত হত্যাযজ্ঞ, লুটতারাজ, সমকামীতা, যৌনকাঙ্খিতা এবং সন্ত্রাসবাদ থেকে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয় তা হচ্ছে তারা ইসলামের নামে ইয়াহুদী এবং এবং আমেরিকার হয়ে কাজ করে যাচ্ছে এবং স্বয়ং আমেরিকায় আবার তাদের বরাত দিয়ে বিশ্বের সামনে মুসলমানদেরকে একটি হিংস্র জাতী হিসেবে প্রচার করছে। যদি তারা প্রকৃত পক্ষেই ইসলামের জন্য দরদী হতো তাহলে কি তারা তাদের উক্ত কাজের দ্বারা মুসলমানদের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতে পারতো।
ওহাবী জঙ্গি নেতা এবং দলটিকে নির্বাচনের জন্য আমেরিকা তার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে এবং অর্থ ব্যায় করেছে। তারা একের পর এক যে দেশ সমূহে ইসলামী স্থাপত্য এবং খনিজ সম্পদ রয়েছে সে সকল দেশে সমূহে হামলা করেছে এবং এখনও হামলা করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। সে সকল দেশ সমূহে মধ্যে ইরাক ও শাম হচ্ছে অন্যতম। কেননা শামের সাথে ইসরাইলের এবং আরবের সাথে রয়েছে ইরাকের ভুমি সীমান্ত রয়েছে। সৌদি এবং ইসরাইল এ দুটি দেশ তাদের লক্ষ্যবস্তু এক থাকার কারণে তারা এভাবে মুসলিম বিশ্বের ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে।
আবু বকর আল বাগদাদী যে তার স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নিজেকে আহলে সুন্নাত বলে দাবী করতো এবং এভাবে নিজের উদ্দেশ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। এক্ষেত্রে আমাদের আহলে সুন্নাত ভাইদের কর্তব্য হচ্ছে যে, তারা যেন নিজেদের ঈমানী দ্বায়িত্ব মনে করেন এবং বিভিন্ন জঙ্গি দলের কাছে আহলে সুন্নাতের নামকে কলঙ্কিত হওয়া থেকে রক্ষা করেন। কেননা কোন জঙ্গি দলই আহলে সুন্নাতের অনুসারী না বরং তারা শুধুমাত্র নিজেদেরকে বাচিয়ে রাখার জন্য আহলে সুন্নাতের নামকে ঢাল স্বরূপ ব্যাবহার করছে। বিভিন্ন জঙ্গি দল শুধুমাত্র শিয়া মুসলমানদেকেই হত্যা করছে না বরং তারা আহলে সুন্নাতের ভাইদেরকেও নির্বিবাদে হত্য করে যাচ্ছে। তারা আহলে সুন্নাতের বিভিন্ন মহা মনিষিদের কবর এবং ইসলামী নির্দশনকে ধ্বংস কর দিয়েছে যেভাবে মহানবী (সা.) এর দেশ মদীনার জান্নাতুল বাক্বিকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে এবং বিভিন্ন ইমাম (আ.) এবং জলিলুল কদর সাহাবীদের কবরকে ভেঙ্গে শুধুমাত্র পাথর রেখে দিয়েছে।
কেননা তাদের চিন্তাধারা হচ্ছে যদি কেউ কবর যিয়ারত করতে চাই, কবরের উপরের অংশটুকু উচু করে, সেখোনে তার মৃত আত্মিয় স্বজনদের জন্য দোয়া করে, মৃত্যু সম্পর্কে চিন্তা করে তাহলে সে শিরক করল তাহলে তার পরিণাম হচ্ছে মৃত্যু।
এ কয়েক বছর ধরে সে খবর সমূহ আমরা পাচ্ছি তা থেকে বিষয়টি স্পষ্ট হয় যে তাদের উদ্দেশ্যে হচ্ছে ইরাক ও শাম এবং তারা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ি এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু সিরিয়াতে সুষ্ঠভাবে ভোট হওয়াতে তারা এক বিরাট বাধার সম্মুখিন হয় এবং অসহায় অবস্থায় তারা ইরাকের বিভিন্ন স্থান সমূহে বোমা বিষ্ফোড়ণ এবং হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে।
আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে দায়েশ দল সম্পর্কে যে খবরগুলো শুনে আসছি বা দেখছি তা যদি একবার আমরা পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাব যে, দায়শ দলটি কিভাবে আহলে সুন্নাতের নামের অপব্যাবহার করে মুসলমানদেরকে নির্বিবাদে হত্য করে যাচ্ছে। যা দেখেলে সাধারণ মানুষের অন্তর কেপে উঠবে। তাদের কার্যকলাপের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মানুষ জবাই করা।
আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সমূহের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে দেখতে পাই যে তারা আফগানিস্থান, পাকিস্থান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, উত্তর আফ্রিকা, ইয়ামেন, ইরাক, সিরিয়া, তিউনেশিয়া, মালি, আল জাযায়ের এবং নাইজেরিয়া সহ বিভিন্ন দেশ সমূহে তাদের কার্যকলাপ করে যাচ্ছে এবং সেখানে তাদের সৈন্য বাহিনী তৈরী করছে। আমরা দেখতে পাই যে বুকো হারাম কিভাবে নাইজেরিয়াতে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। অনুরূপভাবে আব্দুর রহমান রিগি’ও উক্ত কাজগুলো করতো যেমন বিভিন্ন বাসগুলো থামিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দিত, মানুষ হত্যা করতো এবং উক্ত ক্লিপসগুলো জনসাধারণের মাঝে প্রচার করতো যেন জনগণ তাকে ভয় পায়। ইসইলিরাও উক্ত কাজগুলো করতো তারা ফিলিস্থিনের বিভিন্ন ব্যাক্তিত্ববর্গদেরকে আটক করতো এবং তাদেরকে হত্যা করতো।
জিহাদুন নিকাহঃ
যে জিহাদের নামে অসংখ্য মেয়ে এবং নারীর ইজ্জত সম্ভ্রম লুন্ঠিত করা হয়েছে এবং পতিতা বৃত্তির ন্যায় তাদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা দেখতে পাই যে উক্ত দলটি হারামকে হালাল এবং হালালকে হারাম করে দিচ্ছে এবং উক্ত কাজ সমূহকে সওয়াব বলে আখ্যায়িত করছে। ইসলামের দৃষ্টিতে নামাহরাম নারীর (যাদের সাথে বিবাহ জায়েজ) চুলের প্রতিও দৃষ্টিপাত করা হারাম কিন্তু তারা জিহাদের নামে তাদের সাথে প্রত্যেক ঘন্টায় ঘন্টায় দৈহিক মিলন করছে।
বিভিন্ন মনিষীদের কবরকে ধ্বংস করাঃ
তারা গত বছর রাসুল (সা.) এর সাহাবী হুজর বিন উদায় (রা.) এর কবরকে কিভাবে খনন করে এবং লাশ উত্তোলনের চেষ্টা করে।
মুসলমান নারীকে দাসী হিসেবে আখ্যায়িত করাঃ তারা সে সকল স্থানে হামলা করবে সেখানে আটককৃত নারীদেরকে তারা দাসী হিসেবে অখ্যায়িত করে। দায়েশ দলটি তাদের জান ও মালকে হালাল বলে মনে করে এবং তাদের সাথে যা ইচ্ছা করতে পারে। আমরা যদি ইসলামের ইতিহাসে প্রতি দৃষ্টিপাত করি তাহলে দেখতে পাব যেভাবে ইয়াযিদ ইবনে মুয়াবিয়া মদীনার মুসলমান নারীদেরকে তার সৈন্য বাহিনীর জন্য হালাল করে দিয়েছিলে এবং প্রায় হাজার নারী অবৈধভাবে গর্ভবতি হয়ে পড়েছিল অনুরূভাবে দায়েশ দলটিও মুসলমান নারীদেরকে তাদের জন্য হালাল বলে মনে করে এবং তাদের সাথে যতবার ইচ্ছা এবং যা ইচ্ছা এবং করতে পারে। যার ফলে আমরা দেখতে পাই যে তিউনিশিয়ার কত নারী এবং মেয়ে জিহাদুন নিকাহ’র নামে গর্ভবতি হয়ে নিজেদের দেশে ফিরে গেছে।
আমেরিকার এক সৈন্য জাপানে আসে এবং জাপানী নারীর সাথে অবৈধভাবে যৌনাচার করে উক্ত ঘটনাটি সারা বিশ্বের মানুষের অন্তরকে নাড়া দিয়েছিল এবং সকলেই উক্ত বিষয়টির বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু দায়েশ দলটি ইসলামের নামে অবাধে যৌনাচার করে যাচ্ছে অথচ মুসলমানরা তা নিরব দর্শকের ন্যায় তা অবলোকন ও সহ্য করে যাচ্ছে। তারা প্রকাশ্যেভাবে মুসলমানদেরকে বলে বেড়াচ্ছে যে তোমরা তোমাদের মেয়ে এবং স্ত্রীদেরকে জিহাদুন নিকাহর জন্য আমাদের কাছে প্রেরণ কর!!!
একজন নারী তাদের কাছে আসে এবং তাদের সাথে অবৈধভাবে যৌনাচার করে এবং যখন তার সন্তান জন্মগ্রহণ করে তখন সে বলে আমি জানিনা যে উক্ত সন্তানের পিতাকে? কিন্তু আমি গর্ববোধ করি যে আমি জিহাদুন নিকাহর মাধ্যমে একটি সন্তান ইসলামকে দান করতে পেরেছি। আমার মনে হয় সেও একজন জিহাদী হবে এবং জিহাদ করবে!!!
অমানবিকভাবে মানুষ হত্যাঃ
জবাই করা, ফাসি দেয়া, বাচ্চার সামনে তারা বাবা মাকে হত্যা করা হচ্ছে তাদের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। বর্তমান বিশ্বকাপ খেলাতে ইরানকে আর্জেনটিনা একটা গোল দিলে তারা আর্জেনটিনাকে স্বাগতম জানায় এ কারণে যে, তারা তাদের বিরোধি মুসলিম দেশ ইরানকে গোল দিয়েছে।
তারা ইরানের উপরে হামলা করা জন্য তার আশে পাশের বিভিন্নদেশ সমূহে হামলা করেছে যেমনঃ আফগানিস্থান, পাকিস্থান, ইরাক।
তারা নিজেদেরকে সূফিয়ানী বলে দাবী করেঃ
ইমাম জাফর সাদিক্ব (আ.) ইমাম মাহদী (আ.) এর আবির্ভাবের পূর্বের অবস্থা সম্পর্কে বলেছেনঃ কুফা থেকে মুমিনরা বাহিরে চলে যাবে যেভাবে সাপ এক ফুটো দিয়ে প্রবেশ করে এবং অপর ফুটো দিয়ে বাইরে চলে যায় অনুরূপভাবে ইলম স্থান্তরিত হবে কুফা থেকে কুম নগরীতে। তারা উক্ত জ্ঞানটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিবে এবং নিজেদের হুজ্জাতকে আদায় করবে। নারীরা পর্দার আড়ালে থেকে ইসলামের খেদমত করবে এবং এ সকল আলামত হবে ইমাম মাহদী (আ.) এর আবির্ভাবের পূর্বে।
দায়শ দলটি নিজেদেরকে ইসলামের খাদেম বলে দাবী করে যদি তারা প্রকৃত পক্ষেই ইসলামের খাদেমই হতো তাহলে কেন তারা ইসরাইলের ও আমেরিকার সাথে জিহাদ করে না? তারা শুধু পারে সাধারণ মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করতে।
তারা ইসলামের স্মৃতী বিজড়িত শহর নাজাফ, কারবালা কে ধ্বংস করার হুমকি দিয়েছেঃ বর্তমান বিশ্বে যে সকল ঘটনা ঘটছে এ সব কিছুই হচ্ছে ইমাম মাহদী (আ.) এর আবির্ভাবের আলামত সমূহ। সুফিয়ানীদের আগমণ হচ্ছে ইমাম মাহদী (আ.) এর আবির্ভাবের অন্যত আলামত।
বাচ্চাদেরকে হত্যা করাঃ বাচ্চাদেরকে কোন ধর্মই হত্যা করার হুকুম দান করে না। কিন্তু তারা বাচ্চাদেরকে এ বলে হত্যা করে যে তোমার বাবা মুশরিক কেননা সে ইমাম হুসাইন (আ.) এর কবর যিয়ারতের জন্য যায়। রেওয়ায়েতে বলা হয়েছে যে ইমাম মাহদী (আ.) আসবেন এবং ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠিত করবেন। কিন্তু তারা এভাবে বাচ্চাদেরকে হত্যা করে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
বাচ্চাদেরকে হত্যার কাজে ব্যাবহার করাঃ
তারা বাচ্চাদের শরীরে আত্মঘাতি বোমা বেধে জনগণের মাঝে প্রেরণ করে, তাদের বন্দুক ও তরবারী চালানোর প্রশিক্ষণ দান করে।
নারীদেরকে জিহাদুন নিকাহর জন্য বাধ্য করাঃ
তারা নারীদের উপরে এত জিহাদুন নিকাহর জন্য চাপ প্রয়োগ করে যে, এর কারণে ইরাকে চারজন নারী আত্মহত্যা করে।
মুসলমানের মাথা দিয়ে ফুটবল খেলা করাঃ
তারা মুসলমানদের কাটা মাথা দিয়ে ফুটবল খেলা করে এটি এমন এক বিভৎস কান্ড যা সাধারণ মানুষ কল্পনাও করতে ভয় পাবে।

ফাসি দেয়াঃ
যাদেরকে ফাসী দেয়া হয় তাদের মধ্যে একজনের অপরাধ হচ্ছে যে সে বিশ্বকাপ খেলা দেখছিল। কেননা ফুটবল দেখা হচ্ছে বিদআত এবং বিদআতকারী প্রাপ্য হচ্ছে মৃত্যু এবং তাকে ফাঁসী দেয়া হয়। তারা বুঝাতে চায় সে ফুটবল দেখা হচ্ছে একটি শরিয়ত বিরোধি কাজ এভাবে তারা বিশ্বের মানুষের কাছে মুসলমানদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। কি এর নামই হচ্ছে ইসলাম?
কারাবাসীদের মুক্তির শর্তঃ
আরবস্থানের যাবৎ জীবন কারাবাসীদের মুক্তি দান করার জন্য তাদেরকে শর্ত দেয় যে তারা যদি মুক্ত হতে চাই তাহলে তারা যেন সিরিয়া এবং ইরাকে যেয়ে জিহাদে অংশগ্রহণ করে।
মানুষের মাথা কাটাঃ
তারা মানুষের মাথা কাটে এবং এর বিনিময়ে অর্থ উপার্জনও করে। বিভিন্ন খবরে উল্লেখ করা হয়েছে যে তারা মানুষের মাথা কেটে নিয়ে যেয়ে বলতো যে এটা হচ্ছে শিয়াদের মাথা এবং এর বিনিময়ে তারা অর্থ উপার্জন করতো।
ইন্টারনেটে তাদের হত্যাযজ্ঞ প্রচারঃ
তারা ইন্টারনেটের মাধ্যেমে তাদের বিভিন্ন হত্যাযজ্ঞ এর প্রচার করে যেন মানুষের মনে তাদের সম্পর্কে ভয় ঢুকাতে পারে। তারা ইন্টারনেটে মানুষের মাথা কাটা, বাচ্চাদের হত্যা করা, মাজার বোমার মাধ্যমে উড়িয়ে দেয়া, ফাঁসী দেয়া, কলিজা খাওয়ার মতো অমানবিক কর্মকান্ডের ভিডিও প্রচার করে থাকে।
খবরে প্রচারিত হয়েছে যে প্রায় ৩১টি দেশ দায়েশ দলটি আর্থিক সাহায্যে করে। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আমরা মুসলমানরা অনেকই জেনে আবার অনেকে নিজের অজান্তেই উক্ত ওহাবী দায়েশ দলের সাথে জড়িয়ে পড়ছি। যারা ইমালামের নামে ইসলামকেই ধ্বংষ করতে চায়। তাই আমাদের উচিত যে আমরা যেন উক্ত ওহাবী দল সমূহ থেকে নিজেদেরকে ঈমানকে দূরে সরিয়ে রাখি এবং প্রকৃত ইসলামকে চিনার চেষ্টা করি।
চলবে...

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন