ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে পরমাণু আলোচনা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টিতে

ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে পরমাণু আলোচনা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টিতে

hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হাসান নাসরুল্লাহ , লেবানন, ইরান,  চীন, মালয়েশিয়া,  স্যাটেলাইট, কুয়ালালামপুর, বেইজিং, ভিয়েতনাম, মার্কিন, গোয়েন্দা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর, আল কায়েদা, তাকফিরী, ইখওয়ানুল মুসলেমিন, বাংলাদেশ, ভারত, জিহাদ, ফিলিস্তিন, ইহুদি, গাজা, শহীদ, জিহাদ, ক্ষেপণাস্ত্র, দূতাবাস, সৌদি আরব , কুয়েত, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, ভিয়েনা, পরমাণু, বাহারাইন, আফগানিস্থান, থাইল্যান্ড, হজরত ফাতিমা, মার্জিয়া, সিদ্দিকা, মোহাদ্দেসা, বাতুল, উম্মে আবিহা, যাহরা, মুবারেকা, যাকিয়া, তাহেরা, রাযিয়া, জিহাদুন নিকাহ, পোপ, পাদ্রি, বাইতুল মোকাদ্দাস, ওহাবী, সালাফি, মুফতি, ড্রোন, পাকিস্থান, এজিদ, মাবিয়া, আবু সুফিয়ান, আলী আকবর, হুসাইন, শাবান, আমল, শবে বরাত, রমজান, দায়েশ, তাকফিরী, তালেবান,
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরমাণু আলোচনার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ইরান আন্তরিকতার সঙ্গে ও সৎ মনোভাব নিয়ে আলোচনায় বসেছে। এ অবস্থায় প্রতিপক্ষরাও যদি আন্তরিক হয়ে থাকে তাহলে আগামী ২০শে জুলাইয়ের মধ্যে পরমাণু বিষয়ে চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছা সম্ভব হতে পারে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্ত পরমাণু চুক্তি যদি না হয় এবং আলোচনার মেয়াদও বাড়ানো না হয় তাহলে কি ইরান জেনেভা সমঝোতার পূর্বের অবস্থানে ফিরে যাবে?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, আমরা আলোচনায় সাফল্যের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাব। তিনি বলেন, যদি আমরা লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারি তাহলে জেনেভা পূর্ব অবস্থানে ফিরে যাওয়ার অধিকার ইরানসহ সব পক্ষেরই আছে।

ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরমাণু আলোচনার চারটি সম্ভাবনাময় দিক রয়েছে। প্রথমত, প্রাথমিক জেনেভা সমঝোতা অনুযায়ী আগামী ২০শে জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছার সম্ভাবনা রয়েছে। দ্বিতীয়ত, চূড়ান্ত চুক্তির জন্য আংশিক খসড়া তৈরি ও তা পূর্ণ করতে কয়েক মাসের জন্য আলোচনার মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। তৃতীয়ত, চূড়ান্ত চুক্তির জন্য আলোচনার মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানো হতে পারে। চতুর্থত, কোনো সমঝোতাই যদি না হয় তাহলে সব কিছুই পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে।

গত ২৪ নভেম্বর জেনেভায় প্রাথমিক সমঝোতা হওয়ার পর এ পর্যন্ত পাঁচবার ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের আলোচনা হয়েছে। এসব আলোচনায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে সফলতা এসেছে আবার ব্যর্থতা বা চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে। তাই আলোচনায় চূড়ান্ত ফলাফল আশা করা যায় না। তবে গোটা আলোচনা প্রক্রিয়ায় ইরানের পক্ষ থেকে স্বচ্ছতা বজায় ছিল। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ঠিক এ বিষয়টি প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, আমরা আমাদের অধিকারের বাইরে বাড়তি কোনো কিছু চাই না এবং প্রতিপক্ষের উদ্বেগ নিরসনের চেষ্টা করছি যাতে চূড়ান্ত সমাধানে পৌঁছা যায়। আর এ লক্ষ্যে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রতিপক্ষরা ভিন্ন পথ বেঁছে নিয়েছে এবং তারা সর্বোচ্চ সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিপক্ষরা যদি আলোচনায় আন্তরিক হয়ে থাকে তাহলে আমরা সবাই একটা সমাধানে পৌঁছতে পারবো এবং তেহরান তার শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে। পরমাণু আলোচনার সঙ্গে যুক্ত কোনো কোনো সূত্র জানিয়েছে, একদিকে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও তার মজুদ এবং অন্যদিকে দেশটির ওপর থেকে পাশ্চাত্যের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে।

যাইহোক, ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরবর্তী আলোচনা ২রা জুলাই শুরু হবে। তবে এর আগে চীন, রাশিয়া, আমেরিকা, ফ্রান্স ব্রিটেন ও জার্মানিকে নিয়ে গঠিত ছয় জাতিগোষ্ঠীর কর্মকর্তারা ব্রাসেলসে বৈঠকে মিলিত হবেন। এ থেকেই পরমাণু বিষয়ে মতবিরোধ নিরসনের জন্য দু’পক্ষেরই সদিচ্ছার প্রমাণ পাওয়া যায়। কারণ কোনো পক্ষই আলোচনার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে ইচ্ছুক নয়। তবে পাশ্চাত্য যদি স্বেচ্ছাচারিতা অব্যাহত রাখে তাহলে পরিস্থিতি নেতিবাচক দিকে মোড় নেয়াও অপ্রত্যাশিত কিছু নয়।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন